ট্রেন ভ্রমণের কাহিনী
(পার্ট ১) ও (পার্ট ২) এর পর যা ঘটলো ......
অনেক ধুর ভ্রমণের কারনে সবাই অনেক কালান্ত হইয়া পড়েছে । এর পর আমরা খুলনা চলে আসলাম । যতিকে ঘুম থেকে ডেকে তুল্লাম । সে ঘুম থেকেই উঠে বমি করা শুরু করল । কি হইল কিছুই বুজলাম না । হটাত করেই যতি বলল তার মাথা অনেক ঘুরতেছে । ওর দ্রুত ট্রেন থেকে নামালাম এবং পাশেই একটা ডাক্তার এর কাছে নিয়া গেলাম । ডাক্তার কিছু ওষুধ দিল এবং লিখে দিল এইগুলো খেতে বলল এই গুলো খেলে যতি অনেকটা ভাল থাকবে । ওর অনেক গাস্তিক এর সমস্যা আছে এই জন্য এই সমস্যা হচ্ছে । এর ভিতরে খুলনার আমার এক বন্ধু ছিল রাসেদ ওর কাছে কল দিলাম ও গাড়ি নিয়া হাজির হল এবং যতিকে নিয়া তার বাড়িতে রেখে আসতে যাইতেছি । যতির বাড়ি যখন গেলেম ওর বাড়ির সবাই অনেক চিন্তা করতেছিল । আমরা যাওয়াতে ওর পরিবারের সবাই অনেক খুসি হল । এবং আমাদেরকে সবার ফ্রেশ হত বলল আমারা ৪ জন ছিলাম । সবাই এত ট্রেন ভ্রমন করে অনেক কালান্ত হইয়া গেছিলাম । সবাই গোসল করে নিলাম । এবং আমাদের জন্য আগে থেকে অনেক রান্না করেছিল কিন্তু আমরা বুজতে পারিনি যতি তার বাড়িতে কখন জানাল ।
যতিও গোসল করে আমাদের সাথেই খাওয়া দাওয়া করে নিল । যতি বাড়ি আসার পর পুরাই সুস্ত হইয়া গেল । যতি বলল আজ তাদের বাসাই থাকতে তাহলে কাল যতিও আমাদের সাথেই সুন্দর বনে ঘুরতে যাবে । আমরা থাকতে চাইছিলাম না কিন্তু যতির জন্য রাজি হইয়া গেলাম । ও সুন্দরবনে এর অনেক আগে গেছে একবার নতুন করে তার আর যাওয়া হইনি । আর একা ঘুরার মত তার কোন সঙ্গী ছিল না । সে আমাদের কে সাথে পাইয়া অনেক খুসি ছিল । সে আমাদের সাথেই ঘুরতে চাই । সব শেষে আমরা কাল যাওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিলাম রাতে যতিদের বাসাই সবাই থেকে গেলাম । এত ভ্রমন করার পরে সবাই অনেক কালান্ত হইয়া গেছে । আর যতিদের বাসায় থাকার কারনে সবাই জন্য অনেক ভাল হল । কাল সাবাই ভালমত ঘুরতে পারবে । কেউ কালান্ত হবে না।
রাতে সবাই আমরা খাওয়াদাওয়া করে খুলনার ছোট খাট ঘুরার জাইগা গিল আমরা ঘুরতে যাওয়ার জন্য বের হলাম । খুলনা শহরে আমরা এর আগে কখনও আসেনি । যতি আমাদের রূপসা ব্রিজে নিয়া গেল । রাতের বেলা রূপসা ব্রিজে অনেক সুন্দর দেখাই । এই খানে সন্ধাই অনেকে ঘুরতে আসে । বেশ সুন্দর জাইগা । আমরা অনেক ছবি তুলেছিলাম ।
এই ভ্রমণের সৃতি গুলো সারাজিবন থাকবে । পরের পার্টে বাকি গুলো থাকবে । ধন্যবাদ