Horror stories of ghosts - 01 <English and Bengali> (read only the brave people)

in #storys7 years ago

night-85586.jpeg

A raw road was directly connected to our village along with the Faridpur Police Station. The road was in the middle of agricultural land of farmers of 3 villages. At one time in 1971, a small army of Pakistani soldiers tried to enter the village through that road. But due to a part of the road connecting the road to our village, they failed to enter the village. They proceeded along the road to the police station and continued their abduction for a short time. Nobody could say the exact number of dead. After the killing of Pakistani soldiers, the bodies were thrown into a deep well near the road. Kuyota was near a hijal tree. It is only 3/3 miles around the hijal tree that is the agricultural land. There is no house room. Even if no target of that well is found today, the Hijal tree has been witness to that brutal massacre. There are many stories about this Hijal tree and well in the villages are going on. Many people during the night, or when they passed by this tree, heard the words "water, water". Even today, when people pass by the hijal tree, they get out of the way. Hijal tree is half a mile distance from the village. Many people who have heard the voice of Ashari heard of Faridpur at night while returning home, in villages, many people have been found. Even after returning to the village at night, the half-mile walk could not cross the whole night, people who are not even in the village are few.
Ramnagar village near Betuyan village A man named Akkas of Ramnagar village lost his goat. Later in the afternoon, after finding the whole goat goat, he came to know that his goat was wasting a vegetable garden of a farmer entering the Betuan border, so the Chakpahri of Betuyan (the Defense Force for the protection of the land in the village) went under his goat. If you do not feel angry about the incident, then you have gone poorly thinking about the situation. Then the Maghrib became the call of Azan.
Even after leaving the head of the anger, Akhas Mia suddenly remembered Hijal tree. Hey hijal tree in front! That's it. Along with her, she got thorns in her body. Akkas Miah did not move forward. Because life is far bigger than goats. The goat can be brought in tomorrow. But life ... fearing that he would step back home, he thought that someone was calling him.
Will you go to Behui?
Akkas Mia got shocked and said,
-Cada you?
I'm Moktar. My house is the last mother of Batuan. The distance between the aisle tree and the threshing floor of the tree. What is your home?
-And Kwinna Bye My house is Ramnagar. My sister's goat (goat) is my friend. I was going to the law enforcement and I was going to get it. Riot mala has gone.
He is the brother alone, Jasassina alone. Güchelm walks on the sidewalk. Come back to the return trip. He is going to know the cabbage alone. Let's move on the wire to my brother. Rait Khan Thaika Kailka Barahi (goat) Leiya home Jainne.
Akkas Mia saw the offer is not bad. Besides, there are clouds in the sky. This situation is going home and trouble. So he did not raise the voice and went with the man.
To make the story of both of them came close to the hijal tree at one time. Suddenly, the man named Moktar went into a clash. At the same time, Akkas Moktar was surprised to take hold of his hand. That's why this man's hand is so cold? Is the human body so cold?
Moktar stood up and said,
-Door Sarah Gaya went to Kaido Lyiga. Let's go to the front of the brother. Come wash your hands.
Because of this, Moktar Akkas responded without waiting for the answer. The cold stream of fear of Akkas was scary. Quota was abandoned a long time ago. Where did the water come from? Suddenly the lightning struck the sky. Akkas got clear in light of electricity, the Moktar did not have foot.
Akkasera got a shake with the whole body knows how. Then the people of the moktar! He is taking him to the well overnight; What does that mean that he is a ghost!
Akkas did not delay one more moment. Straight on the ground the eyes fell on the ground and fell asleep. (It is said in the village that ghosts or evil spirits can not touch the soil, their power is on one side of the soil). After some time Akkas heard someone say to Akkas with a girly purse, "The child of a dog is bypassed." On the ground, Shuli Azka Toc Kuo's Mardi Gaara Thulamane . "
This is how Akkas Mian was lying on the ground till the next morning. Maybe even today a man could not cross the half-mile path.

ভূত-
আমাদের গ্রামের পাশ দিয়ে একটি কাঁচা সড়ক সরাসরি যুক্ত ছিল ফরিদপুর থানার সাথে। সড়কটা ছিল ৩টি গ্রামের কৃষকদের কৃষি জমির মাঝ বরাবর। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের কোন এক সময় পাকিস্তানী সৈনিকদের একটি ছোট বাহিনী সেই রাস্তা দিয়ে গ্রামে প্রবেশ করার চেষ্টা চালিয়ে ছিল। কিন্তু আমাদের গ্রামের সাথে রাস্তাটির সংযোগ সড়কের একটা অংশ কাটা থাকায় তারা গ্রামে প্রবেশ করতে ব্যর্থ হয়। তারা সড়ক বরাবর থানার দিকে এগিয়ে যায় এবং স্বল্প সময়েও তাদের হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যায়। মৃতের সঠিক সংখ্যা কেউ বলতে পারে নি। কারন পাকিস্তানী সৈন্যরা হত্যা শেষে লাশগুলো রাস্তার পাশে একটা গভীর কুয়ার মধ্যে ফেলে দিয়ে যায়। কুয়োটা ছিল একটা হিজল গাছের পাশে। সেই হিজল গাছের আশেপাশের ২/৩ মাইল শুধুই কৃষি জমি। কোন বাড়ি ঘর নেই। সেই কুয়োর কোন নিশানা আজ পাওয়া না গেলেও হিজল গাছটা ঠিকই সাক্ষী হয়ে আছে সেই নৃশংস হত্যাযজ্ঞের। এই হিজল গাছ আর কুয়ো নিয়ে অনেক গল্প চালু রয়েছে গ্রামে। রাতের বেলা অনেকেই নাকি এই গাছের পাশ দিয়ে যাবার সময় "পানি, পানি" বলে আর্তনাদ করতে শুনেছে। আজও নাকি হিজল গাছের পাশ দিয়ে আসার সময় মানুষ পথ হাড়িয়ে ফেলে। হিজল গাছ থেকে গ্রামের দুরত্ব আধা মাইলের মত। ফরিদপুর থেকে রাতের বেলা বাড়ি ফেরার সময় আশরীর কণ্ঠ শুনেছে এমন অনেক মানুষের দেখা পাওয়া যায় গ্রামে। এমনকি রাতের বেলা গ্রামে ফিরতে গিয়ে আধা মাইল পথ সারা রাতেও পার হতে পারে নি, এমন মানুষও কম নেই গ্রামে।
বেতুয়ান গ্রামের পাশের গ্রাম রামনগর। রামনগর গ্রামের আক্কাস নামের এক লোক তার ছাগল হারিয়ে ফেলেছে। সারা দুপুর ছাগল খোজা-খুজির পর বিকেলে সে জানতে পারল তার ছাগল বেতুয়ানের সীমান্তে ঢুকে একজন কৃষকের সবজির ক্ষেত নষ্ট করছিল, তাই বেতুয়ানের চকপহরি (গ্রামে জমি পাহারা দেওয়ার জন্য নিয়জিত প্রতিরক্ষা বাহিনী) তার ছাগল ধরে নিয় গেছে। ঘটনা শুনে রাগে ক্ষোভে কোন কিছু না ভেবেই বেচারা রওনা দিল বেতুয়ানের দিকে। তখন মাগরিবের আযান হয়ে গেছে।
রাগের মাথায় রওনা দিলেও একসময় আক্কাস মিয়ার হঠাৎ করেই মনে পরে গেল হিজল গাছের কথা। আরে সামনেই তো হিজল গাছ! ঐ-তো দেখা যাচ্ছে। সাথে সাথে তার সমস্ত শরীরে কাঁটা দিয়ে উঠল। আক্কাস মিয়া আর সামনের দিকে অগ্রসর হল না। কারণ ছাগলের চাইতে জীবন অনেক বড়। ছাগল তো কালকেও আনা যাবে। কিন্তু জীবন…ভয়ে তিনি বাড়ি ফিরে যাবার জন্য যেই পা বাড়াবেন ঠিক তখনি তার মনে হল কেউ একজন তাকে ডাকছে।
-ভাই কি বেতুয়ান যাবেন?
আক্কাস মিয়া চমকে উঠে জোর গলায় বলল,
-কেডা আপনে?
-ভাই আমি মোক্তার। আমার বাড়ি বেতুয়ানের শেষ মাতায়। ঐ ইজল গাছের থেনে মাইল খানিক ফাঁকে। আপ্নের বাড়ি কোনে?
-আর কয়েন্না বাই। আমার বাড়ি রামনগর। আপ্নেগরে গাওয়ের চকপোউরি আমার বরহি(ছাগল)খান দোইরা লিয়্যা গ্যাছে। সেই বরহি আইনব্যারি যাচ্ছিলাম তিন্তুক আজকা আর যাব লয়। রাইত ম্যালা হয়্যা গেছে।
-ঐ চিনত্যাতেই তো ভাই একা জাসসিন্যা। গেছিল্যাম আপ্নেগরে গাওয়ের হাঁটে। ফিরতি ফিরতি বেলা গরা আইলো। এহন একা যাতি ক্যাবা জানি লাগতেছে। তারচে চলেন ভাই আমার বাড়িত যাই। রাইত খান থাইকা কাইলকা বরহি(ছাগল) লিয়্যা বাড়ি জায়েন্নে।
আক্কাস মিয়া দেখল প্রস্তাবটা খারাপ না। তাছাড়া আকাশে মেঘও করেছে। এই অবস্থায় বাড়ি ফিরে যাওয়া ও ঝামেলা। তাই সে আর কথা না বাড়িয়ে লোকটার সাথে রওনা দিলো।
দুজনে গল্প করতে করতে এক সময় হিজল গাছের প্রায় কাছে চলে এলো। এমন সময় হঠাৎ করেই মোক্তার নামের লোকটা কাঁদার মধ্যে পরে গেল। সাথে সাথে আক্কাস মোক্তারকে হাত ধরে তুলতে গিয়ে চমকে উঠল। একি, এই লোকটার হাত এতো ঠাণ্ডা কেন? মানুষের শরীর কি এতো ঠাণ্ডা হয়?
মোক্তার আস্তে করে উঠে দাঁড়িয়ে বলল,
-দুরা। সারা গায় ক্যাদো লাইগা গেল। চলেন ভাই সামনের কুয়োত যাই। হাত মুক ধুইয়া আসি।
কথাটা বলেই মোক্তার আক্কাসের উত্তরের অপেক্ষা না করেই কুয়োর দিকে পা বাড়াল। আক্কাসের শরীরে ভয়ের শীতল স্রোত বয়ে গেল। কুয়োটা অনেক দিন আগে থেকেই পরিত্যক্ত। সেখানে পানি আসবে কোথা থেকে? হঠাৎ আকাশে বিদ্যুৎ চমকে উঠল। বিদ্যুতের আলোতে আক্কাস স্পষ্ট দেখতে পেল, মোক্তারের পা নেই।
সারা শরীর কেমন জানি একটা ঝাঁকি দিয়ে উঠল আক্কাসের। তাহলে মোক্তার মানুষ না! আবার এতো রাতে তাকে কুয়োর দিকে নিয়ে যাচ্ছে; তার মানে কি সে আইষ্ঠাখোর ভূত!
আক্কাস আর এক মুহূর্তও দেরি করল না। সোজা মাটির উপর চোখ বুজে টানটান হয়ে শুয়ে পড়ল। (গ্রামে কথিত আছে, ভূত বা খারাপ আত্মা মাটি স্পর্শ করতে পারেনা। তাদের ক্ষমতা মাটির একহাত উপরে) কিছুক্ষণ পর আক্কাস শুনতে পেলো কেউ একজন ন্যাকা সুরে আক্কাসকে উদ্দেশ্য করে বলছে, "কুত্তার বাচ্চা বাইছা গেলু। মাটির উপর না শুলি আজক্যা তোক কুয়োর মদ্দি গাইরা থুল্যামনে।"
ঠিক এভাবেই পরের দিন সকাল পর্যন্ত মাটির উপর শুয়েছিল আক্কাস মিয়াঁ। হয়তো আজও রাতের বেলা কোন মানুষ সেই আধা মাইল পথ পার হতে পারেনি।।