এমন কোন স্মার্ট ফোন অয়ালা নেই যে কিনা ওয়াইফাই চালায় নাই।
আর তাছাড়া আমারা অনেকি জানিনা ওয়াইফাই কি? Rouder কি?
তাই আজ আমি নিয়ে এলাম ওয়াইফাইএর কিছু বিস্তারিত।↓
ওয়াই-ফাই (WiFi) এর পূর্ণরূপ
হলো
Wireless Fidelity
। অর্থাৎ
এটি একটি তারবিহীন স্বাধীন
নেটওয়ার্ক যা আপনাকে বাড়ীতে,
হোটেল রুম, কনফারেন্স রুম সর্বত্রই
তারবিহীন অবস্থায় ইন্টারনেট জগতে
প্রবেশের অনুমতি দেয়। মূলত এটি একটি
ওয়্যারলেস টেকনোলজি যা
সেলফোনের মতো কাজ করে।
রাউটারঃ
এক কথায় বলা যায় এক নেটওয়ার্ক থেকে
আরেক নেটওয়ার্কে ডেটা পাঠানোর
পদ্ধতিকে বলা হয় রাউটিং। আর রাউটিংয়ের
জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস হলো রাউটার।
সহজ কোথায় বলতে গেলে তার যুক্ত
ইন্টারনেট সংজোগ কে তার বিহীন ভাবে
ব্যবহারের জন্য উপযোগী করে
তোলে যে ডিভাইস বা যন্ত্র সেটাই
রাউটার ।
রাউটারের কাজ হল আপনি রাউটার ব্যবহার
করে ওয়াইফাই এর মাধ্যমে তার বিহীন
ভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন ।
১.আপনি কয়টা ডিভাইস ব্যবহার করবেন তা আগে ঠিক
করুন।
২.আপনার কতটুকু জায়গা কাভারেজ প্রয়োজন সেটি
ঠিক করুন।
৩.আপনার বাসার গঠন বুঝে নিন। ওয়াইফাই দেয়াল ভেদ
করে যেতে সিগনাল উইক হয়ে যায়। এজন্য ভালো
কাভারেজ পাওয়া যায়না। আপনার বাসায় যদি অনেক
দেয়াল থাকে আর আপনি পুরু বাসায় কাভারেজ
পেতে চান তাহলে হাই পাওয়ার্ড রাউটার লাগবে।
৪.ইন্টারনেট কানেকশন ছাড়াও আপনার কি কি ফিচার
লাগবে ঠিক করুন।
৪.১৩জি ৪জি মডেম সাপোর্ট – অনেক রাউটার
আছে যেগুলো তে মডেম ব্যবহার করা যায়।
সেসব রাউটারে ইউএসবি পোর্ট থাকে এবং ওয়ান
পোর্ট ও থাকে যাতে ব্রডব্যান্ড এর লাইন ব্যবহার
করা যায়। কিন্তু মনে রাখবেন মডেমটি অবশ্যই
অটো কানেক্ট করার কাপাবিলিটি থাকতে হবে। সব
রাউটার সব মডেম সাপোর্ট করে না। রাউটারের
ওয়েবসাইটে মডেম কম্পাটিবিলিটি লিস্ট দেয়া আছে।
যারা বাংলালায়ন আর কিউবি মডেম ব্যবহার করতে চান
অটো কানেক্ট হয় এমন মডেম নিতে হবে
ওদের কাছ থেকে। আপনি যদি সিওর না হয়ে থাকেন
তাহলে কাস্টমার কেয়ারে ফোন করে জেনে
নিবেন।
৪.২এডিএসএল সাপোর্ট – আমাদের দেশে
বিটিসিএল টেলিফোন সেট দিয়ে ইন্টারনেট
কানেকশন দিয়ে থাকেন। বিটিসিএল এর কানেকশন এর
জন্য এডিএসএল রাউটার লাগবে।
৪.৩ইউএসবি কানেকশন- রাউটারে ইউএসবি কানেকশন
থাকলে আপনি এফটিপি সার্ভার হোস্ট করতে
পারবেন। কারন আপনি সহজেই ইউএসবি স্টোরেজ
ডিভাইস কানেক্ট করতে পারবেন।
৩জি/৪জি রাউটারেও ইউএসবি পোর্ট থাকে
কিন্তু আপনি যদি ভাবেন সেটি থেকে ফাইল
সার্ভার হোস্ট করবেন সেটি ভুল। আপনার
রাউটারে ফাইল সার্ভার হোস্ট করার অপশন থাকতে
হবে।
৪.৪ডাউনলোড ম্যানেজার – আপনি যদি হেভি
ডাউনলোডার হয়ে থাকেন আর বাসায় না থাকলেও
ডাউনলোড করতে চান তাহলে ডাউনলোড
ম্যানেজার এনাবল রাউটার কিনুন। আপনি ইউএসবি
স্টোরেজ কানেক্ট করে পিসি ছাড়া ডাউনলোড
করতে পারবেন।
৪.৫স্ট্রিমিং- আপনার বাসায় স্মার্ট টিভি আছে আপনি চান
আপনার পিসি থেকে মুভি দেখতে আপনি সহজেই
রাউটার থেকে এ সুবিধা পেতে পারেন। ভালো
সার্ভিস পাওয়ার জন্য অন্তত ৩০০ এমবিপিএস এর রাউটার
প্রয়োজন।
৪.৬৫ গিগাহার্টজ ব্যান্ড – বর্তমানে প্রায় সব
ওয়ারলেস ডিভাইস ই ২.৪ গিগাহার্টজ ব্যান্ড এ পরিচালিত
হয়। এর জন্য ফ্রিকুয়েন্সি জ্যাম এর কারনের স্ট্রিমিং এ
সমস্যা হয়। আপনি যদি বাসায় স্মার্ট টিভি, পিএস৪ এ স্ট্রিমিং
করে থাকেন তাহলে ৫ গিগাহার্টজ ব্যান্ড আপনাকে
অনেক ভালো সাপোর্ট দিবে। ৫ গিগাহার্টজ ব্যান্ড
ব্যবহার করতে হলে রাউটার এবং ওয়াইফাই ডিভাইস ২
টাতেই ৫ গিগাহার্টজ সাপোর্ট করতে হবে।
৪.৭ক্লাউড সাপোর্ট – আপনি বাসার বাইরে
থেকেও রাউটার কন্ট্রোল করতে পারবেন।
৪.৮ভিপিএন সাপোর্ট – মনে করুন আপনার বাসা
মিরপুরে। আপনার বাসায় প্রাইভেট আইপি তে আপনি
ফাইল সার্ভার হোস্ট করেছেন এখন আপনি চাচ্ছেন
আপনার সার্ভারটি আপনার বন্ধু গুলশান থেকে
এক্সেস করুক। সাধারনত এটি সম্ভব না। কিন্তু ভিপিএন
সাপোর্টেড রাউটার দিয়ে এই কাজটি করা সম্ভব।
৪.৯পোর্টাবিলিটি – কিছু রাউটার আছে যেগুলো
মোবাইলের সিম ব্যবহার করা যায়। ডিভাইসে একটা
ব্যটারি থাকে যেটা চার্জ দিয়ে বাসার বাইরে রাউটার
ব্যবহার করা যায়।