আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪ উইকেটে ১৭৫ রান তোলে বেঙ্গালুরু
জবাবে ৫ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় কলকাতা
টানা দুই ম্যাচ হারের পর ঘুরে দাঁড়াল কলকাতা নাইট রাইডার্স। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে আজ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয় কলকাতা। এই জয়ে ৮ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারেই রইল দলটি। অন্যদিকে, ৭ ম্যাচে পঞ্চম হারে টেবিলে ধুঁকছে বিরাট কোহলির দল বেঙ্গালুরু।
কোহলির ৪৪ বলে অপরাজিত ৬৮ রানে ভর করে ৪ উইকেটে ১৭৫ রান তুলেছিল বেঙ্গালুরু। এবারের আইপিএলে এটা কোহলির তৃতীয় ফিফটি। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, কোহলির এই তিন ফিফটির একটিতেও তাঁর দল জেতেনি। এর আগে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের বিপক্ষে কোহলি ৯২ রানে অপরাজিত থাকলেও হেরেছিল তাঁর দল বেঙ্গালুরু। এ ছাড়া রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ৫৭ রান করলেও জেতেনি তাঁর দল।
আজও ঠিক তাই ঘটল। কোহলি ফিফটি পেলেন, কিন্তু হারল বেঙ্গালুরু। জয়ের জন্য শেষ ৪ ওভারে ৪৩ রান দরকার ছিল কলকাতার। ১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে চোটের কারণে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরে যান নীতিশ রানা (১৫)। তাঁর বদলে ব্যাটিংয়ে নামা আন্দ্রে রাসেল প্রথম বলেই আকাশছোঁয়া ক্যাচ দিয়ে নিজের ৩০তম জন্মদিন পণ্ড করেন।
শেষ ৩ ওভারে ২৯ রান দরকার ছিল দীনেশ কার্তিকের দলের। টিম সাউদির করা ১৮তম ওভার থেকে ১৪ রান নেন কার্তিক ও লিন। লক্ষ্যটা তাই নেমে আসে ১২ বলে ১৫ রানে। ১৯তম ওভারে মোহাম্মদ সিরাজের দ্বিতীয় বলে ছক্কা মেরে জয়টাকে স্রেফ সময়ের ব্যাপারে পরিণত করেন কলকাতা অধিনায়ক কার্তিক। তবে এই ওভারেরই পঞ্চম বলে কলকাতা অধিনায়ককে দুর্দান্ত ক্যাচে ফেরান কোহলি।
কার্তিকের খেলা ১০ বলে ২৩ রানের ইনিংসটি ম্যাচের শেষ দিকে কলকাতার জয়ে দারুণ ভূমিকা রেখেছে। ২০তম ওভারের প্রথম বলেই চার মেরে কলকাতার জয় নিশ্চিত করেন শুভমান। ৫ বল হাতে রেখেই দুর্দান্ত জয় তুলে নেয় কলকাতা। এর আগে দুই ওপেনার ক্রিস লিন ও সুনীল নারাইন বেশ ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন কলকাতাকে। ৭.১ ওভারে নারাইন (২৭) ফিরে যাওয়ার আগে লিনকে সঙ্গে নিয়ে নিয়ে ৫৯ রান তুলেছেন।
দ্বিতীয় উইকেটে ৩১ বলে ৪৯ রানে জুটি গড়েন রবিন উথাপ্পা-লিন। শেষ ১০ ওভারে ৫৪ বলে ৭৮ রান দরকার ছিল কলকাতা। ১৩তম ওভারে উথাপ্পাকে (৩৬) ফেরান মুরুগান অশ্বিন। রান কম ওঠায় এ সময় কলকাতা কিছুটা চাপে পড়লেও লিনের দুর্দান্ত ইনিংসে দলটি চাপ কাটিয়ে নোঙর করে জয়ের বন্দরে। ৫২ বলে ৬২ রানের দারুণ এক অপরাজিত ইনিংস খেলেন এই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার।৭ চার ও ১ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান তিনি।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বেঙ্গালুরু। দুই বিস্ফোরক ওপেনার কুইন্টন ডি কক-ব্রেন্ডন ম্যাককালাম তেমন ঝোড়ো শুরু এনে দিতে পারেননি দলকে। ৮.১ ওভারে ডি কক (২৯) যখন আউট হন বেঙ্গালুরুর সংগ্রহ তখন ১ উইকেটে ৬৭। ২৭ বলে ২৯ রান করেন ডি কক। এক ওভার পর ম্যাককালামও (৩৮) ফিরে যান। ২৮ বলে ৩৮ রান করেন তিনি। ম্যাককালামকে ফেরানোর পরের বলে মনন ভোহরাকেও ফিরিয়ে বেঙ্গালুরুকে চাপে ফেলেন কলকাতার পেসার আন্দ্রে রাসেল।
কিন্তু কোহলির দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে পাশার দান উল্টে যায়। তাঁর ৫ চার ও ৩ ছক্কায় সাজানো ইনিংসটি বেঙ্গালুরুর রানের গতি বাড়িয়েছে। ২০তম ওভারের শেষ বলে ছক্কা মেরে বেঙ্গালুরুর ইনিংসের দারুণ সমাপ্তিও টানেন দলটির অধিনায়ক। কিন্তু দল জিতলে না এমন ইনিংস খেলে শান্তি!
Congratulations! This post has been upvoted from the communal account, @minnowsupport, by naeemahmed from the Minnow Support Project. It's a witness project run by aggroed, ausbitbank, teamsteem, theprophet0, someguy123, neoxian, followbtcnews, and netuoso. The goal is to help Steemit grow by supporting Minnows. Please find us at the Peace, Abundance, and Liberty Network (PALnet) Discord Channel. It's a completely public and open space to all members of the Steemit community who voluntarily choose to be there.
If you would like to delegate to the Minnow Support Project you can do so by clicking on the following links: 50SP, 100SP, 250SP, 500SP, 1000SP, 5000SP.
Be sure to leave at least 50SP undelegated on your account.