এশিয়া কাপে প্রথম ম্যাচ হার দিয়েই শুরু হলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। ওয়ানডে ফরমেটে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের দাপট যেনো দিন দিন কমেই যাচ্ছে। একটা সময় ছিলো যখন বাংলাদেশ দল ওয়ানডে ফরমেটে যেকোনো দলকে হারাতে সক্ষম ছিলো। অন্য দুই ফর্মেটের থেকে ওয়ানডে ফরমেটে বাংলাদেশ অনেক বেশি শক্তিশালী ছিল। তখন বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে একটা ঐক্য ছিলো, কিন্তু এখন আর সেটা দেখাই যায় না। বাংলাদেশ দলের পুরোনো সমস্যা ওপেনিং ব্যাটসম্যান এর সমস্যা, এটা এশিয়া কাপের দ্বিতীয় ম্যাচ বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার মধ্যকার ম্যাচের মধ্যেও দেখা গেলো। দুঃখের বিষয় বাংলাদেশ এখনো পার্মানেন্ট ওপেনার দলে নিয়ে আসতে পারলো না। আমাদের দেশে এমন কিছু লোক আছে যারা তামিমের অবসর নেওয়াকে খুশি মনে মেনে নিয়েছিলো এবং বলেছিলো তামিমকে দলে আবার দরকার নেই। তামিমই এক মাত্র খেলোয়াড় যে কিনা বাংলাদেশ দলের হয়ে ওপেনিংয়ে দীর্ঘ সময় ভালো পারফর্ম করে গেছেন।
এশিয়া কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ম্যাচে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের বাজে ব্যাটিংয়ের কারণে শ্রীলংকার কাছে পরাজিত হলো টিম টাইগার্স। এখানে বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলেছেন মোহাম্মদ নাইম, তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, তৌহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মেহেদী হাসান মিরাজ, মেহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান। আর লংকানদের হয়ে খেলেছেন পথুম নিসাঙ্কা, দিমুথ করুনারত্নে, কুসল মেন্ডিস , সাদিরা সামারাউইক্রমা, চরিথ আসালাঙ্কা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, দাসুন শানাকা , দুনিথ ওয়েললাগে, মহেশ থেকশানা, কাসুন রাজিথা, মাথিশা পাথিরানা।
শুরুতে টসে জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ওডিআই দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ দলের হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন মোহাম্মদ নাঈম যার ওডিআই ফরমেটে ৫ ম্যাচে মোট রান ২৬ এবং গড় রান ৬.৫। আর এইদিকে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক দলের হয়ে অভিষেক ম্যাচ খেলেন তানজিদ হাসান। শুরুতে ১ ওভার ২ বলে বাংলাদেশ দলের প্রথম উইকেটের পতন ঘটে। দুই বলে কোনো রানের দেখা না পেয়েই সাজ ঘরে ফিরেন তামজিদ হাসান। এরপরের উইকেট এর পতন ঘটে মোহাম্মদ নাঈম এর, ২৩ বলে ১৬ রান করে মাঠ ছাড়েন এই বাম হাতি ব্যাটসম্যান। দলের হয়ে ব্যাট হতে তেমন একটা রান করতে পারেনি দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও। ১০ ওভার শেষ হতে না হতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে টিম টাইগার্স। এরপর দলের বিপর্যয়ে দলকে বাঁচাতে আসার আলো দেখাচ্ছিলো নাজমুল হাসান শান্ত ও তৌহিদ হৃদয়। তারা দুই জন মিলে ভালো একটা রানের পার্টনারশিপ গড়ার চেষ্টা করলেও ব্যার্থ হয় তারা। সানাকার বলে lbw আউট হয়ে মাত্র ২০ রানেই শেষ হয় তওহীদ হৃদয়ের ব্যাটিং ইনিংস।
এরপর একে একে মুশফিকুর রহিম, মিরাজ, মেহেদি হাসান কেউই ব্যাট হাতে বেশিক্ষণ মাঠে টিকতে পারে নি। নাজমুল হাসান শান্ত একাই লড়াই করে গেছেন, ১২২ বলে ৮৯ রান করে আউট হন এই বাম হাতি ব্যাটসম্যান। আক্ষেপের বিষয় মাত্র ১১ রানের জন্য সেঞ্চুরির দেখা মিল্লোনা না শান্তর কপালে। সবশেষে ৪২ ওভার ৪ বলে দশ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রানেই থেমে যায় টাইগাররা।
জবাবে ১৬৫ রানের টার্গেটে ব্যাটিং করতে নেমে তাসকিন এর ওভারে প্রথম উইকেটের পতন ঘটে লংকানদের। দুই ওভার শেষ হতে না হতেই প্রথম উইকেট হারায় তারা। আর দশ ওভারের মধ্যেই লংকানরা যখন তিন উইকেট হারায় তখন একটা জয়ের সম্ভাবনা দেখলেও এরপর প্রায় ২০ ওভারে মধ্যে কোনো উইকেট তুলে নিতে পারেনি বাংলাদেশী বোলাররা। ২৯ ওভার ১ বলে চতুর্থ নম্বর উইকেটের পতন ঘটে এবং ৩১ ওভারের মাথায় পঞ্চম নম্বর উইকেটের পতন ঘটে লংকানদের। যদিও সেটা অনেক দেরি হয়ে গেছে টাইগারদের জন্য। ইতি মধ্যে জয়ের জন্য লংকানদের আর দরকার ছিলো মাত্র ৩৭ রান। সবশেষে ৩৯ ওভার শেষে ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয় লাভ করে লংকানরা।
এশিয়া কাপে প্রথম ম্যাচ হেরে সুপার ফোরে ওঠা এখন অনিশ্চিত টাইগারদের জন্য। এরপর আর মাত্র একটা ম্যাচ বাকি আছে টাইগারদের জন্য। টিম টাইগার্সদের পরের ম্যাচ এখন রয়েছে আফগানদের সাথে। আফগানদের সাথে এখন বড় ব্যবধানে জিততে পারলে হয়তো টিম টাইগার্সদের সুপার ফোরে খেলার একটা সম্ভাবনা থাকতে পারে।
Congratulations @imam-hasan! You have completed the following achievement on the Hive blockchain And have been rewarded with New badge(s)
Your next target is to reach 4500 upvotes.
You can view your badges on your board and compare yourself to others in the Ranking
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word
STOP
Check out our last posts: