আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর শুরু হয়েছিল ঘরের মাঠে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। এরপর এখন নিউজিল্যান্ডের মাটিতে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। এরপর আবার শুরু হবে টি টুয়েন্টি ফরমেটের সিরিজ। বাংলাদেশের মাটিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে প্রথম ম্যাচে ১৫০ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।আর দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের ৪ উইকেটের জয়ে সিরিজে সমতা আসে। এখন নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৪ রানে হারলো বাংলাদেশ। ওয়ানডে ফরমেটে বাংলাদেশের অবস্থা যে খুব একটা ভালো না সেটা এইবার বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অবস্থা দেখলেই বোঝা যায়।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে শুরুতে নিউজিল্যান্ড ব্যাটিং করতে নেমে ২৪০ রানের টার্গেট দিলে জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৪ রানে পরাজিত বাংলাদেশ। তবে বৃষ্টির কারণে ওয়ানডে ক্রিকেটের নির্ধারিত ৫০ অভারকে কমিয়ে আনা হয় ৩০ ওভারে। আর এই ৩০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ গিয়ে দাড়ায় ২৩৯ রান। তবে DLS মেথডে টার্গেট গিয়ে দার করায় ২৪৫ রান। ৩০ ওভারে ২৪৫ রানের লক্ষ্য বাংলাদেশের জন্য অনেক টাই জটিল ছিলো। বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচে দলে ফিরেছেন সৌম্য সরকার, এনামুল হক ও আফিফ হোসেইন।
এই ম্যাচে বাংলাদেশ দলের হয়ে মূল একাদশে খেলেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, আনামুল হক, তৌহিদ হৃদয়, আফিফ হোসেন, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), মেহেদী হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম। আর নিউজিল্যান্ড দলের হয়ে মূল একাদশে খেলেছেন উইল ইয়াং, রাচিন রবীন্দ্র, হেনরি নিকোলস, টম ল্যাথাম (অধিনায়ক), টম ব্লুন্ডেল (উইকেটরক্ষক), মার্ক চ্যাপম্যান, জোশ ক্লার্কসন, অ্যাডাম মিলনে, ইশ সোধি, জ্যাকব ডাফি, উইলিয়াম ওউরকে।
শুরুতে বাংলাদেশ টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং নিউজিল্যান্ড ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই প্রথম ওভারে দুই উইকেট তুলে নেয় শরিফুল ইসলাম। প্রথমে দুই বলে কোনো রানের দেখা না পেয়েই মাঠ ছাড়েন রচিন রবীন্দ্র। এরপর হেনরি নিকোলস ও ব্যাট হাতে কোনো রান সংগ্রহ না করেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যেতে হয়। প্রথম দিকে বাংলাদেশের জন্য এইটা সুখোকর হলেও পরে উইল ইয়াং ও টম ল্যাথাম দুইজনে মিলে বিশাল এক পার্টনারশিপ করে রানের পাহাড় গড়েন। ৭৭ বলে ৯২ রান করে আউট হন টম ল্যাথাম এবং ৮৪ বলে ১০৫ রান করে আউট হন উইল ইয়াং। ১১ বলে ২০ রান করেন মার্ক চ্যাপম্যান। ৩০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের রানের সংগ্রহ হয় ২৩৯ রান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে এক রানে প্রথম উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। অনেকদিন পর জাতীয় দলে জায়গা পেয়েও ব্যাট হাতে শূন্য রানে আউট হন সৌম্য সরকার। এতদিন পর দলে জায়গা পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে না তিনি। অপরদিকে আবারও জাতীয় দলে জায়গা পেলেন বাংলাদেশের আর এক ওপেনার এনামুল হক। দলে ফিরে ৩৯ বলে ৪৩ রান করেন তিনি। ১০ বলে ১৫ রান করে আউট হন নাজমুল হাসান শান্ত, ১৯ বলে ২২ রান করেন লিটন দাস, ২৭ বলে ৩৩ রান করেন তওহীদ হৃদয় , ২৮ বলে ৩৮ রান করেন আফিফ হোসেইন এবং ২১ বলে ২৮ রান করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। দলের হয়ে ব্যাট হাতে সবার রান ছিলো এভারেজ পর্যায়ের। দলকে জেতানোর জন্য রানের খাতা দীর্ঘায়িত করতে পারেনি কেউ। ৩০ ওভারে ২০০ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে থেকে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। সবশেষে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৪ রানে পরাজিত হয় বাংলাদেশ।