পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে ৮ উইকেটে হারিয়ে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় অস্ট্রেলিয়ার। ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ এ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩৬০ রানের ব্যবধানে পাকিস্তানকে হারায় অস্ট্রেলিয়া, এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে ৭৯ রানের জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। আর এখন সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে ৮ উইকেটের জয় নিয়ে পাকিস্তানকে হোয়াইট ওয়াশ করে অস্ট্রেলিয়া। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের জয়ের পর আবার নতুন বছরটা টেস্ট সিরিজের বিশাল ব্যবধানের জয় দিয়ে শুরু অস্ট্রেলিয়ার।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে শুরুতে টসে জিতে ব্যাটিং করতে নামে পাকিস্তান। ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে ৩১৩ রান করে সব উইকেট হারিয়ে শেষ হয় পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস। তবে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসের ব্যাটিংয়ের শুরুটা খুব একটা ভালো ছিলো না। শূন্য রানেই প্রথম উইকেট হারিয়ে ফেলে এরপর দলের চার রানের সময় আবার দ্বিতীয় উইকেটের পতন। এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আঃ সালমান এর ৯৪ রানের পার্টনরশিপ ও আমের জামাল এবং মির হামজার ৮৬ রানের পার্টনারশিপ মিলে দলের ভালো একটা রানের সংগ্রহ নিয়ে আসে। ৭৭ ওভার ১ বলে সব উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসের রানের সংগ্রহ ছিলো ৩১৩ রান।
এরপর অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে ১০৯ ওভার ৪ বলে রানের সংগ্রহ ছিলো ২৯৯ রান। তাদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ছিলো ভালো। ওপেনিংয়ে ডেভিড ওয়ার্নার ও ওসমান খাওয়ায মিলে ৭০ রানের পার্টনারশিপ করে আউট হন ডেভিড ওয়ার্নার। শুরু থেকে টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা ভালো করলেও লো অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা ব্যাট হাতে তেমন একটা সুবিধা করতে পারেনি। আর এখানে সর্বোচ্চ ব্যাক্তিগত রানের মালিক মার্নাস লাবুসচেন। ১৪৭ বলে ৬০ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেন মিচেল মার্শ, ১১৩ বলে ৫৪ রান করেন তিনি। ১৪৩ বলে ৪৭ রান করেন উসমান খাওয়াজা, ৬৮ বলে ৩৪ রান করেন ডেভিড ওয়ার্নার, ৫৮ বলে ৩৮ রান করেন অ্যালেক্স কেরি।
পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে বল হাতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করেন আমের জামাল। ২১ ওভার ৪ বলে ৬৯ রান দিয়ে তুলে নেন ৬ উইকেট। ২০ ওভারে ৪৩ রান দিয়ে দুই উইকেট তুলে নেন আঃ সালমান। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে বল হাতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করেন প্যাট কামিন্স। ১৮ ওভারে ৬১ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন তিনি। ১৬ ওভারে ৭৫ রান দিয়ে দুই উইকেট তুলে নেন মিচেল স্টার্ক।
প্রথম ইনিংস শেষে পাকিস্তান ১৫ রানের লিডে থেকেও এইটা কোনো কাজে লাগাতে পারে নি পাকিস্তান। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১১৫ রানেই সব উইকেট হারিয়ে ফেলে পাকিস্তান। ফলে অস্ট্রেলিয়ার জন্য ১৩০ রানের টার্গেট ছিল খুব সামান্য ব্যাপার। পাকিস্তানের দেওয়া ১৩০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই শূন্য রানে এক উইকেট হারিয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। ৬ বলে খেলে শূন্য রানেই প্রথমে আউট হন ওসমান খাওয়াযা।
শুরু অস্ট্রেলিয়া একটু চাপে পড়বে বলে মনে হলেও ডেভিড ওয়ার্নার ও মার্নাস ল্যাবুসচেন দুইজনের হাফ সেঞ্চুরিতে দলকে জয়ের দার প্রান্তে নিয়ে যান তারা। ব্যাট হাতে ৭৫ বল খেলে ৫৭ রান করেন ডেভিড ওয়ার্নার আর ব্যাট হতে ৭৩ বল খেলে ৬২ রান করে অপরাজিত ছিলেন মার্নাস ল্যাবুসচেন। সবশেষে মাত্র দুই উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্য ছুঁয়ে নেয় ডেভিড ওয়ার্নার ও প্যাট কামিন্সদের দল।