চলতি অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ ২০২৩ সালের ১০ তম আসরের বিজয়ী দল বাংলাদেশ। ছোটদের এশিয়া কাপে বাংলাদেশের জন্য এটাই প্রথম বিজয়। ১০ অসেরের মধ্যে সর্বোচ্চ আটবার জয়ী দল ভারত একবার আফগানিস্তান। আর এবার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দল বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে ভারতকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে এশিয়া কাপ চাম্পিয়ন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব উনিশ দল। ২০১৯ সালে প্রথম ফাইনালে উঠেও তখন জেতা হয়নি এশিয়া কাপ। সেবার ভারতের কাছে হেরে হাতছাড়া হয় এশিয়া কাপ।
Bangladesh Cricket: The Tigers
কিন্তু এবার ২০২৩ এশিয়া কাপ আসরে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ১৯৫ রানে হারিয়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দল বাংলাদেশ। শুরুতে বাংলাদেশ ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৮২ রান করে। জবাবে সংযুক্ত আরব আমিরাত ব্যাট করতে নেমে ২৪ ওভার ৫ বলে ৮৭ রানেই সব উইকেট হারিয়ে ফেলে। ফাইনালে ১২৯ রান করে ম্যাচ সেরা আশিকুর রহমান শিবলী। ও পুরো এশিয়া কাপ আসরে ৩৭৮ রান করে টুর্নামেন্ট সেরা হন বাংলাদেশী এই ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলী।
এশিয়া কাপের ফাইনালে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব উনিশ দলের মূল একাদশে খেলেছেন আশিকুর রহমান শিবলী , জিশান আলম, চৌধুরী মোঃ রিজওয়ান, আরিফুল ইসলাম, মোহাম্মদ শিহাব জেমস, আহরার আমিন, পারভেজ রহমান জীবন, মাহফুজুর রহমান রাবি (অধিনায়ক), রোহানাত দৌল্লা বরসন, মোঃ ইকবাল হোসেন ইমন, মারুফ মৃধা। আর সংযুক্ত আরব আমিরাতের অনূর্ধ্ব উনিশ দলের মূল একাদশে খেলেছেন আরিয়ানশ শর্মা (উইকেটরক্ষক), অক্ষত রাই, তানিশ সুরি, ধ্রুব পরাশর, ইথান ডিসুজা, অয়ন আফজাল খান (অধিনায়ক), ইয়াইন রাই, আম্মার বাদামি, হার্দিক পাই, আয়মান আহমেদ, ওমিদ রহমান।
শুরুতে টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাটিং করতে নেমে প্রথম পাঁচ ওভারে ১৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১৫ বলে ৭ রান করে প্রথমে আউট হয়ে সাজ ঘরে ফিরেন জিশান আলম। তবে এরপর চৌধুরী মোঃ রিজওয়ান ও আশিকুর রহমান শিবলী মিলে ১২৫ রানের বিশাল এক পার্টনারশিপ গড়েন। এরপর ৭১ বলে ৬০ রান করে আউট হন চৌধুরী মোঃ রিজওয়ান। ৪০ বলে ৫০ রান করেন আরিফুল ইসলাম। আর ১৪৯ বলে ১২ চার ও এক ছক্কায় ১২৯ রানের বড় ইনিংস খেলেন আশিকুর রহমান শিবলী। তাদের এই দুর্দান্ত ইনিংসে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের রানের সংগ্রহ গিয়ে দাড়ায় ২৮২ রান।
আর এইদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট তুলে নেন আয়মান আহমেদ। ১০ ওভারে ৫২ রান খরচ করে তিনি তুলে নেন ৪ উইকেট। আর ১০ ওভারে ৪১ রান খরচ করে দুই উইকেট তুলে নেন ওমিদ রহমান। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট তোলেন রোহানাত দৌল্লা বরসন ও মারুফ মৃধা। ৬ ওভার বল করে ২৬ রান খরচ করে তিন উইকেট তুলে নেন রোহানাত দৌল্লা বরসন। আর ৭ ওভার বল করে ২৯ রান খরচ করে তিন উইকেট তুলে নেন মারুফ মৃধা। ইকবাল হোসেন এমন ও পারভেজ রহমান জীবন দুই জনেই তুলে নেন দুই উইকেট করে।
বাংলাদেশের দেওয়া ২৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে ছিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত। ৪ ওভার ৪ বলে ১২ রানের সময় প্রথম উইকেটের পতন ঘটে এবং ১৭ বলে ৯ রান করে প্রথম আউট হয়ে সাজ ঘরে ফেরেন আরিয়ানশ শর্মা। ২২ বলে ১১ রান করে আউট হন আরব আমিরাত এর আর এক ওপেনার অক্ষত রাই। আর এরপর কেউই ব্যাট হাতে ১০ রানের কোঠা ছুঁতেই পারে নি। ৪০ বলে ২৫ রান করে অপরাজিত ছিলো ধ্রুব পরাশর। আর এরমধ্যেই ২৪ ওভার ৪ বলেই অল আউট হয়ে যায় সংযুক্ত আরব আমিরাত। ২৫ ওভার ২ বল হাতে থাকতেই ১৯৫ রানের বিশাল জয় নিয়ে এশিয়া কাপ চাম্পিয়ান বাংলদেশে অনূর্ধ্ব ১৯ দল।