Brain work hard

in #skilldevelop6 years ago

কিছু দিন হলো উচ্চমাধ্যমিক পরিক্ষা শেষ হয়েছে। এখন ছাত্রছাত্রিদের নতুন মিশন কিভাবে ভালো ভার্সিটিতে চান্স পাওয়া যাবে। আর সেই লক্ষ্যে সবার তার পছন্দের তিন চারটি বিষয় নির্বাচন করে আবেদন করে। কিন্নতু সবাই কি তার সেই কাঙ্খিত বিষয়ে চান্স পায় ? কেউ পায় আবার কেউ পায় না। ভর্তির পর দেখা যায় খুব কম সংখ্যক শিক্ষার্থিরা তাদের পছন্দের বিষয়টা পায়। যারা নিজের পছন্দের বিষয়টা পায় না তারা অনেকেই হতাশ হয়ে পরে । হতাশ হবেই না বা কেন ? আমরা সকলে বিষয় নির্বাচনের সময় নিজের মনের চাহিদার কথা না ভেবে বাজারে চাকরির চাহিদার কথা ভাবি এবং সেই হিসেবে বিষয় নির্বাচন করি। আর সেই কারনে অনেকে ভার্সিটির প্রথম বর্ষ থেকেই অনাকাঙ্খিত বিষয়ের উপর থেকে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। এই আগ্রহ হারিয়ে ফেলে আমরা অনেকেই নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারি । কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা বা মানতে চাই না ক্যারিয়ার গড়ে নিতে হয় নিজেকে, এইখানে আপনি কোন বিষয় নিয়ে পড়ছেন সেটার প্রভাব তেমন নেই বললেই চলে। আপনার যোগ্যতা থাকলে অবশ্যই আপনি সফল্য পাবেন, কোন বিষয়ের ছাত্র ছিলেন কোন বিষয়ে গ্রাযুয়েট করেছেন , সেটা কোন মুখ্য ব্যাপার নয়

image

ভার্সিটি পর্যায়ে পড়াশুনা হয়া উচিত আনন্দময় এবং উৎসাহময় , এখানে যেমনি জ্ঞ্যানের চর্চা হবে তেমনি জ্ঞ্যানের সৃষ্টিও হবে। আমাদের সবার পরিচিত ব্যক্তি জাফর ইকবাল স্যার বলেছিলেন "একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাসরুমের ভেতরে একজন ছাত্র বা ছাত্রী যেটুকু শিখে তার চেয়ে অনেক বেশি শিখে ক্লাসরুমের বাইরে!" ক্ল্যাসের টপ ছাত্র যে বাস্তব জীবনে খুব ভালো চাকরি পাবে এমনটা কিন্তু পুরোপুরি সত্য নয়। অনেক সময় দেখা যায় ক্লাসের সব চেয়ে ইরেগুলার ছাত্র কোন বড় কর্পোরেট কম্পানির উচ্চ পর্যায়ে কাজ করছে । ব্যক্তি জীবনে ও চাকরি জীবনে উন্নতি করতে হলে আপনাকে ভার্সিটি তে অন্যান্য শিক্ষার্থিদের তুলনায় এক্সট্রা অর্ডিনারি হতে হবে। কেননা চাকরির ইন্টারভিউতে আপনাকে আপনার পড়াশুনার পাশাপাশি এটা অবশ্যই জিজ্ঞাসা করবে যে আপনার মধ্যে এক্সট্রা এমন কি গুন রয়েছে যা তাদেরকে অনুপ্রেনিত করবে আপনাকে হায়ার করার জন্য।

image

আমরা আমাদের জীবনের প্রায় ২০০-২১০ সপ্তাহ অতিবাহিত করি ভার্সিটি জীবন হিসেবে। এ সময় আমাদের জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ সময় এবং আনন্দময় সময় । এ সময়ের মধ্যেই যেকোন পরিস্থিতির মোকাবেলা করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে । সিজিপিএ ভালো করার জন্য সারাদিন পড়াশুনা করা লাগে না। নিয়ম মাফিক দৈনিক অল্প করে পড়লেই হয়। শুধুমাত্র সিজিপিএ এর পেছনে ছুটলেই হবে না ছুটতে হবে জ্ঞ্যানের পিছনে। একমাত্র জ্ঞ্যানই পারবে আপনার জীবনে সাফল্য বয়ে আনতে ।

image

আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা introvert । আমিও এই ক্যাটাগরির একজন। ভার্সিটিতে বিভিন্ন ধরনের সংগঠন রয়েছে। আপনি যদি introvert হয়ে থাকেন তাহলে এসব সংগঠনের সাথে জড়িত হয়ে Extra curricular activities এ অংশগ্রহন করতে পারেন। এতে আপনার একঘেয়েমি দূর হবে ।