হঠাৎ করেই দাম্পত্য জীবনে ঝামেলা দেখা দিচ্ছে। আপনার স্বামীর আচরণ হঠাৎ করেই বদলে যাচ্ছে। বাইরে যাওয়ার সময় তার মেজাজ ভাল থাকলেও বাসায় ঢোকার পর থেকেই মেজাজ হয়ে যাচ্ছে খারাপ। তাহলে স্ত্রী হয়ে আপনার একটু হলেও স্বামীর দিকে নজর দেয়া উচিত। স্বামীকে আগেই যে সন্দেহ করতে হবে তা নয়। বাইরে সে কোন ঝামেলাতেও থাকতে পারে, হয়ত সেটা শেয়ার করতে পারছে না।
তাই আগে তার সঙ্গে কথা বলুন। তার আচরণ পর্যবেক্ষণ করুন। যদি খোঁজ নিয়ে বুঝতে পারেন কোন ঝামেলাতেই নেই তাহলে এবার অন্য কিছু ভাবুন। তিনি অন্য কোন নারীতে আসক্ত হয়ে যাচ্ছেন কিনা খোঁজ নিন। আর যদি, এরকম কিছু পেয়ে থাকেন তাহলে স্বামীকে নয় আগে নিজেকে পরিবর্তন করুন। স্বামীকে পরকীয়া থেকে মুক্ত রাখতে কিছু পরামর্শ মেনে চলুন।
১. বেশিভাগ মেয়েই বিয়ের পর একদম আগাগোড়া বদলে যান, আর সন্তান হবার পর তো সেই পরিবর্তন আরও ভয়াবহ। একেবারেই যেন অন্য মানুষ হয়ে ওঠেন। একটা জিনিস মনে রাখবেন, প্রিয় পুরুষটি কিন্তু বিয়ের আগের আপনাকে দেখেই ভালো বেসেছেন। তাই বিয়ের পর নিজেকে ধরে রাখুন। এতটাও বদলে যাবেন না যে স্বামীর কাছে আপনাকে অচেনা মনে হয়।
২. বিনা কারণে অমূলক সন্দেহ করা বন্ধ করুন বা সন্দেহ করে কথা শোনানো বন্ধ করে। এই অমূলক সন্দেহ করার প্রবণতা স্বামীর মনে আপনার প্রতি অনীহা ও অন্য নারীর প্রতি আগ্রহ জন্মায়।
৩. স্বামীকে শাসন করার চেষ্টা করবেন না। সর্বদা এটা করো সেটা করো বলতে থাকবেন না। তিনি আপনার জীবনসঙ্গী, বাড়ির কাজের লোক নন। অতিরিক্ত শাসন করলে মানুষটা নিশ্চিত অন্য নারীর দিকে ঝুঁকবেন।
৪. স্বামীকে ঘিরে রাখুন ভালোবাসায়। প্রেমিকার মত ভালবাসুন, মিষ্টি রোমান্টিকতায় ভরে রাখুন তাঁর মন যেন আপনাদের ভালোবাসা ও বিশ্বাসের বন্ধ অটুট থাকে।
৫. নিজের সংসারকে করে তুলুন এক টুকরো শান্তির নীড়, যেন দিন শেষে এখানে ফিরে আপনারা মনের মাঝে খুঁজে পান অনাবিল প্রশান্তি। সংসারে সুখ আছে যেসব পুরুষের, তাঁরা বাইরের দিকে আকৃষ্ট হয় না।
৬. একটা কথা মনে রাখবেন, দাম্পত্যের ক্ষেত্রে তৃতীয় কোন ব্যক্তিকে চোখ বুজে বিশ্বাস করবেন না। যতই হোক ঘনিষ্ঠ বান্ধবী বা প্রিয় কাজিন, কারো কথাই চোখ বুঝে বিশ্বাস করবেন না ও কাউকে নিজেদের দাম্পত্যে কথা বলার সুযোগ দেবেন না।
৭. নিজের শ্বশুরবাড়ির সবাইকে ভালবাসুন, সকলের সাথে ভালো ব্যবহার করুন। চেষ্টা করুন মানিয়ে নিতে। আপনি তাঁর পরিবারকে ভালো না বাসলে এটা খুবই স্বাভাবিক যে স্বামী আপনার প্রতি ভালোবাসা হারিয়ে ফেলবেন।
৮. কখনো এমন কিছু বলবেন না যাতে স্বামীকে অক্ষম বলা হয়। বা এমন বলবেন না যে “আমি ছাড়া তোমাকে আর কে বিয়ে করবে”। এইসব কথায় পুরুষেরা রেগে গিয়ে স্ত্রীকে “উচিত শিক্ষা” দেয়ার জন্য পরকীয়া করে বসেন।
Congratulations @arefinrimn00! You received a personal award!
You can view your badges on your Steem Board and compare to others on the Steem Ranking
Vote for @Steemitboard as a witness to get one more award and increased upvotes!