হ্যালসলকে নিয়ে বাংলাদেশ দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের অসন্তুষ্টি বেশ কিছুদিন ধরেই ছিল ‘ওপেন সিক্রেট’। মাশরাফি বিন মুর্তজার টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে তার ভূমিকা, নানা সময়ে তামিম ইকবালের সঙ্গে টানাপোড়েন, মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে টিম ম্যানেজমেন্টের দূরত্ব, এমন আরও অনেক কিছুতে হ্যালসলের জোর ভূমিকার অভিযোগ আছে।
সদ্য সমাপ্ত ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে ছুটিতে ছিলেন হ্যালসল। সেই ছুটি স্বেচ্ছায় নাকি বাধ্য করা হয়েছে তা নিয়ে ছিল জোর গুঞ্জন। এরই মাঝে মঙ্গলবার হ্যালসলের পদত্যাগপত্র গ্রহণের কথা জানায় বিসিবি।
এক বিবৃতিতে বোর্ডের প্রধান নির্বাহী জানান, তারা বুঝতে পেরেছেন পরিবারের কথা চিন্তা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হ্যালসল।
“রিচার্ড গত চার বছর ধরে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজমেন্টের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং জাতীয় দলের অনেক সাফল্যের সঙ্গী ছিলেন।”
২০১৪ সালের শেষের দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বাংলাদেশের ফিল্ডিং উপদেষ্টা হিসেবে কাজ শুরু করেন হ্যালসল। সেই সফর শেষে তাকে ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব দেয় বিসিবি।
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে পদোন্নতি পান হ্যালসল। তাকে করা হয় প্রধান কোচ চন্দিকা হাথুরুসিংহের সহকারী। দায়িত্ব পান ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত।
গত বছর শেষের দিকে প্রধান কোচের দায়িত্ব থেকে সরে যান হাথুরুসিংহে। এবার গেলেন হ্যালসলও। এক বিবৃতিতে তিনি জানান, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সঙ্গে কাটানো সময় তিনি কখনও ভুলবেন না।
হ্যালসলকে নিয়ে বাংলাদেশ দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের অসন্তুষ্টি বেশ কিছুদিন ধরেই ছিল ‘ওপেন সিক্রেট’। মাশরাফি বিন মুর্তজার টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে তার ভূমিকা, নানা সময়ে তামিম ইকবালের সঙ্গে টানাপোড়েন, মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে টিম ম্যানেজমেন্টের দূরত্ব, এমন আরও অনেক কিছুতে হ্যালসলের জোর ভূমিকার অভিযোগ আছে।
এই সময়ে বরাবরই বোর্ড ছিল হ্যালসলের পাশে। তবে শেষের দিকে নানা কর্মকাণ্ডে বোর্ডও তার ওপর বিরক্ত বলে শোনা যাচ্ছিল। ক্রিকেটার-বোর্ড, দুই পক্ষের আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন বলেই তাকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে, এমন গুঞ্জন ছিল।
[source]>>> https://bangla.bdnews24.com/cricket/article1473431.bdnews