ওষুধ ছাড়া আমাদের দেহের নানান রোগ সারালেও ওষুধে রয়েছে নানান ধরনের দীর্ঘস্থায়ী পার্শপ্রতিক্রীয়া। তাই অনেকেই ঠিক বাধ্য নাহলে এড়িয়ে চলেন ওষুধ। শরীর ব্যথা, মাথা ব্যথা, হাতে পায়ে ব্যথা, পেটে ব্যথা। পিঠে, কোমরে এবং তলপেটে ব্যথা এখন রোজকার সমস্যার পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। আট থেকে আশি, কমবেশি সবাই এই সমস্যায় ভোগেন। ব্যথাকে আমাদের জীবনের এক প্রকার সঙ্গীই বলতে পারেন। আর এই শরীরের ব্যথা কমাতে আমরা কত ধরনের ওষুধই না খাই। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে উপায় কী? মুঠো মুঠো পেনকিলার? একদমই নয়, বরং চিকিৎসকেরা জোর দিচ্ছেন ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবারের দিকে তাহলে জেনে নিন কি খেলে কমবে ব্যথা। তবে এবার জেনে নিন ওষুধ না খেয়েও ঘরোয়া উপায়ে কমাতে পারবেন আপনার সকল ধরনের শারীরিক ব্যথা
মিন্ট: ব্যথা উপশমের প্রাকৃতিক টোটকা মিন্ট। মিন্ট ওয়েল গ্যাস এবং অম্বল কমাতেও সাহায্য করে।
ভার্জিন ওলিভ ওয়েল: ভার্জিন ওলিভ ওয়েলে রয়েছে লুব্রিসিন যা পেশির ব্যথা এবং হাড়ের সমস্যায় কাজে দেয়।
চেরি: এই ফলের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা পেশির ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
হলুদ: রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এবং অস্টিও-আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমাতে হলুদের ভুমিকার কথা একবাক্যে মেনে নিচ্ছেন চিকিৎসকেরাও। বিশেষজ্ঞদের মতে, হলুদের মতো ঘরোয়া টোটকার কোনও ব্যতিক্রম নেই। নানা রকম রোগের চিকিৎসায় হলুদের গুরুত্ব রয়েছে।
স্যামন মাছ: আপনি কি বাতের ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন? হার্টের সমস্যায় ভুগছেন? ওষুধ নয়, স্যামন মাছ এ ক্ষেত্রে আপনার জন্য খুবই উপকারী। স্যামনে রয়েছে ওমেগা ৩-ফ্যাটি অ্যাসিড যা হৃদরোগ এবং আর্থ্রাইটিসের মতো রোগ কমাতে সাহায্য করে।
কুমরো বীজ: কুমরো বীজে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম যা মাইগ্রেনের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। অস্টিওপোরেসিস বা হাড়ের ক্ষয়জনিত রোগের চিকিৎসায় কুমরো বীজ খুব উপকারী।
আদা: যে কোনও সর্দি, কাশি ও জ্বরে আদার রস খুবই উপকারী। ঋতুকালীন ব্যথা এবং পেশির ব্যথায় আদার ভূমিকা অনস্বীকার্য।