#২য়_পার্টঃ- (রিপন নামের পরিবর্তে আয়াত নাম দেওয়া হয়েছে)
••••••••আয়াতঃ আই লাভ ইউ।
তানিয়া হতভম্ব হয়ে গেলো আয়াতের কথায়। কারন যে পরিস্তিতিতে বিয়ে হয়েছে তাতে আয়াতের মুখ থেকে এমন কথা শোনার জন্য তানিয়া প্রস্তুত ছিলো না। তানিয়া কিছুটা নড়েচড়ে বসে বললো
তানিয়া: কি বললেন?
আয়াতঃ কেনো শুনতে পাওনি? বলেছি আই------- লাভ------- ইউ-------। শুনেছো এবার?
তানিয়া হা হয়ে আয়াতের দিকে তাকিয়ে আছে। কি বলবে ঠিক ভেবে পাচ্ছে না? আয়াত বিষয়টা বুঝতে পেড়ে বললো----
আয়াতঃ জানি তোমার খুব বিরক্ত লাগছে। কারন যে পরিস্থিতিতে আমাদের বিয়ে হয়েছে তাতে আমার মুখ থেকে এমন কথা শোনার আশা তুমি করো নি। দেখো তানিয়া তোমাকে আমি ভালোবাসি কিন্তু এটা জরুরি না যে তুমিও আমায় ভালোবাসবে? ভালোবাসা ভালোলাগাটা যার যার সম্পূর্ন ব্যক্তিগত বিষয়। আমি জানি তুমি আমায় ভালোবাসো না। কিন্তু তুমি আমায় তোমাকে ভালোবাসা থেকে আটকাতে পারবে না। ঐ যে বললাম ভালোবাসা যার যার ব্যক্তি গত বিষয়।
তানিয়া তখনো চোখ বড় বড় করে আয়াতের দিকে তাকিয়ে আছে। আয়াত আবার বলতে শুরু করলো।
আয়াতঃ আমি জানি আমার এ সোজা সাপ্টা কথা তোমার কাছে তেমন ভালো লাগছে না। আসলে আমি ততটা গুছিয়ে কথা বলতে পারি না। বা ভালোবাসার প্রকাশ ঠিক কি ভাবে করে তাও জানি না। আমি সবসময় যেটা করি সেটা পারি যেমন ধরো মানুষকে দেখে তার রোগ বলে দেয়া, চিকিৎসা দেয়া, মাঝে মাঝে শরীরের বিভিন্ন অংশ কাটা ছেড়া করা যাকে তোমরা সাধারনত অপারেশন বলো। তুমিতো জানোই আমি ডাক্তার। আর আমার নিত্য দিনের সঙ্গী বলতে সাধা এপ্রোন আর বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসার উপকরন। তাই এগুলো নিয়েই সবসময় থেকেছি। কখনো কাউকে ভালোবাসার সাহস বা সময় পায়নি। কিন্তু কেন যেনো তোমায় না চাইতেও ভালোবেসে ফেললাম। মনের উপর কেনো যেনো কোন জোড় চালাতে পারিনি? মেডিকেল সাইন্সে এটার কোন ব্যাখ্যা নাই।
এক সাথে অনেক গুলো কথা আয়াত বলে ফেললো। তানিয়া নীরব শ্রোতার মত তা শুনলো। কিছু বললো না।
আয়াতঃ কি হলো চুপ করে আছো যে কিছু বলো?
তানিয়া: (একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে) আয়াত!
আয়াতঃ হুমমম
তানিয়া: সিয়াম কোথায় আয়াত?
কথাটা শুনে আয়াত অনেকটা চমকে উঠলো। ঠিক কি উত্তর দিবে ভেবে পাচ্ছে না? তাই চুপ করে তানিয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।
তানিয়া: কি হলো আয়াত বলুন? সিয়াম কোথায়? ও কেন এমন করলো? কি সমস্যা ছিলো ওর?
আয়াত কিছুক্ষন চুপ করে বসে থেকে তানিয়ার প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়ে রুমের পাশের বারান্দায় চলে গেলো। সেখানে গিয়ে ফোনে কার সাথে যেনো কথা বললো। তারপর রুমে এসে ফোনটা তানিয়ার দিকে এগিয়ে বললো
আয়াতঃ নাও কথা বলো?
তানিয়া: কে?
আয়াতঃ সিয়াম!
তানিয়া কাঁপা কাঁপা হাতে ফোনটা ধরে কানের কাছে নিলো। তারপর কাঁপা গলায় বললো
তানিয়া: হ্যা হ্যা হ্যালো! সিয়াম
সিয়ামঃ চুপ---------
তানিয়া: সিয়াম প্লিজ কিছু বলুন? প্লিজ সিয়াম
সিয়ামঃ আই এ্যাম স্যরি তনয়া!
তানিয়া: স্যরি! হুমমম! কত সহজে স্যরি বলে দিলেন? আপনি জানেন দুপুর থেকে আমার সাথে ঠিক কি কি হয়েছে?
সিয়ামঃ আমি জানি তানিয়া! তার জন্য ক্ষমা চাইবার মতও মুখ আমার নাই। তবুও বলবো যদি পারো ক্ষমা করে দিয়ো। আর হ্যা আয়াত খুব ভালো ছেলে। ওর সাথে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করো।
তানিয়া: আমি আপনার কাছ থেকে আয়াতের ক্যারেকটার সার্টিফিকেট চাইনি? আমি শুধু জানতে চাই আপনি কেন এমনটা করেছেন? বলুন?
সিয়ামঃ স্যরি তানিয়া। আমি এখন সেটা তোমাকে বলতে পারবো না তবে একদিন বলবো? যখন সময় হবে তখন বলবো?
তানিয়া : তাহলে যখন সে সময় আসবে তখনই আমার সাথে কথা বলবেন। এর আগে আমায় ফোন করাবো আমার চোখের সামনে আসারও চেষ্টা করবেন না। বুঝলেন? এটা বলে রাগ করে তানিয়া ফোনটা কেটে দিলো।
আয়াতঃ এভাবে রাগ করে কথা না বললেও পারতে?
তানিয়া: আমি কার সাথে কিভাবে কথা বলবো সেটা কি এখন আপনি শিখিয়ে দিবেন? মহান হতে এসেছেন আমার কাছে? আপনি কি মহান হওয়ার জন্য মুভির হিরোর মত নিজের বউকে তার পুরোনো প্রেমিকের কাছে দিয়ে দিবেন?
আয়াতঃ (মুচকি হেসে) কখনো না। প্রথমত আমি কোন মুভির হিরো নই। আর দ্বিতীয়ত আমার মহান হবার কোন ইচ্ছা নাই। আর সবচেয়ে বড় কথা তোমায় কবুল বলে বিয়ে করেছি মানে তোকে ইহকাল পরকালের জন্য আমার নিজের করে নিয়েছি। আর এই দু কালের এক কালেও আমি তোমাকে আমার কাছ থেকে দূরে করবো না। তোমাকে ঐ উপরওয়ালা আমার করে লিখে দিয়েছে। আমার বুকের বাম পাশের পাজর দিয়ে তোমায় তৈরী করেছে তাই তোমাকে অন্যকে কিভাবে দিয়ে দিবো? তাহলে তো উপর ওয়ালার মর্জির খেলাপ কাজ করা হয়ে যাবে! আর আমি তা কখনো করবো না। আর না তোমাকে করতে দিবো।
মানে তুমি আমার কাছ থেকে যত দূরেই যেতে চাইবে আমি তোমাকে তত আমার নিজের কাছে টেনে নিবো। বিশ্বাস, ভালোবাসার, মায়ার, আর বন্ধুত্বের এক অটুট বন্ধনের অদৃশ্য এক সুতা দিয়ে তোমায় বেধেঁ রাখবো মনের মাঝারে। যেখান থেকে শত চেষ্টা করেও তুমি পালাতে পারবে না। আমি তোমায় পালাতে দিবো না।
কারন আজ থেকে তুমি আমার মনের কারাগারে বন্দিনী।
তানিয়া: (মুচকি হেসে) আচ্ছা! এত আত্নবিশ্বাস? কথায় আছে ওভার কনফিডেন্ট অতি মাত্রায় হানিকারক।
আয়াতঃ (মুচকি হেসে) আত্নবিশ্বাস না আল্লাহর উপর ভরশা। আমি জানি তিনি আমার সাথে উল্টা পাল্টা কিছু করবে না। আর কনফিডেন্ট না লক্ষ্য । তোমার ভালোবাসা অর্জন করা আমার লক্ষ্য। আর আমি জীবনে যেটাকে নিজের লক্ষ্য হিসাবে টার্গেট করেছি সেটাকে পূরন করে ছেড়েছি।
তানিয়া: আচ্ছা! যদি না পাড়েন?
আয়াতঃ তুমি যা চাইবে তাই হবে। তুমি আমায় যা করতে বলবে তাই করবো।
তানিয়া: #বাজি
#বাজি কথাটা শুনে আয়াতের মুখটা শুকিয়ে গেলো। আনমনে ভাবছে আবারো #বাজি ? এক #বাজিতে যে কান্ড হলো তারপর আবার ? এবার কি হবে কে জানে? সব আল্লাহর হাতে!
তানিয়া: (আয়াতের চোখের সামনে তুরি মেরে) হ্যালো আয়াত ভাইয়া কোথায় হারিয়ে গেলেন? নাকি #বাজি ধরতে ভয় পাচ্ছেন?
আয়াতঃ এই তুমি কি বললা?
তানিয়া: বাজি ধরতে ভয় পাচ্ছেন?
আয়াতঃ না না! তার আগে?
তানিয়া: কোথায় হারিয়ে গেলেন?
আয়াতঃ না না। এই তুমি আমায় ভাইয়া বললা কেন? আমি তোমার কোন জন্মের ভাই লাগি? দূর দূর পর্যন্ত তোমার আমার মধ্যে ভাই বোনের কোন সম্পর্ক নাই। তাহলে ভাইয়া কেন বললা?
তানিয়া: কেন আয়াত ভাইয়া? কি সমস্যা আয়াত ভাইয়া? আপনাকে ভাইয়া ডাকবো নাতো কি আঙ্কেল ডাকবো? (দুষ্টমি করে)
আয়াতঃ হোয়াট? আঙ্কেল? আর ইউ ক্রেজি তানিয়া? নিজের বরকে কেউ ভাইয়া বা আঙ্কেল ডাকে?
তানিয়া: তাহলে কি ডাকে? মামা , কাকা, দাদা , নাকি নানা?
আয়াতঃ তোমার পায়ে পড়ি। তুমি আমায় নাম ধরে ডাকো তুই তুকারি করে ডাকো তবুও এগুলো ডেকো না। নাহলে আমার হার্ট এ্যাটাক করে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। তারপর মানুষ এটা ওটা বলাবলি করবে। বিয়ের রাতে ডাঃ আয়াত হ্যার্ট এ্যাটাক করেছে। কি লজ্জা ? কি লজ্জা? এ থেকে তো মরে যাওয়া ভালো।
তানিয়া: বাজে কথা বাদ দিয়ে আগে বলুন #বাজি ধরবেন কিনা?
আয়াতঃ ওকে ডান! #বাজি
তানিয়া: সময়?
আয়াতঃ মানে ?
তানিয়া: মানে বাজি পূরন করতে আপনি কত সময় নিবেন?
আয়াতঃ বেশি নিবোনা এই মাত্র পাঁচ বছর।
তানিয়া: ওহ মাই গড! এত কম! আপনি এক কাজ করুন বিশ বছর নিয়ে নিন। না না তার থেকে বেটার হয় সারাজীবনের সময় নিয়ে নিন। যাকে বলে লাইফ টাইম।
আয়াতঃ রিয়েলি?
তানিয়া: আলু পাইছেন নাকি। যে বিশ টাকা কিলো। সস্তায় পেয়ে যাবেন? মাত্র তিন মাস সময় দিলাম। এর বেশি একদিনও না।
আয়াতঃ কি? তিন মাস?
তানিয়া: বেশি হয়ে গেছে? ঠিক আছে দুই মাস!
আয়াতঃ এই না না তিন মাস। ডান।
তানিয়া: আজ মাসের তিন তারিখ। আগামি ঠিক তিন মাস পর তিন তারিখ। এর ফলাফল হবে।
আয়াতঃ ওকে ডান।
আয়াত ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে রাত দুটো বাজে।
আয়াতঃ তানিয়া অনেক রাত হয়েছে তুমি চেঞ্জ ঘুমিয়ে পড়ো।
তানিয়া: নো ওয়ে। আমি এখন গোসল করবো তারপর কড়া করে এক কাপ বেশি দুধ চিনি দিয়ে চা খাবো তারপর ঘুমাবো। আমাকে একটু রান্না ঘরে নিয়ে চলুন। চা করবো।
আয়াতঃ তুমি গোসল করো আমি চা করে নিয়ে আসছি।
তানিয়া: আপনি চা করতে পারেন?
আয়াতঃ কেনো পাড়বো না কেনো?
তানিয়া: না! তেমন কিছু না? মানে ডাক্তাররা ছুড়ি কাঁচি চালানো ছাড়া কিছু জানে?
আয়াতঃ আমি ঘরের বাইরের সব কাজ জানি। কালই তোমাকে রান্না করে খাওয়াবো দেখবেন।
তানিয়া: ওকে। অপেক্ষায় থাকলাম।
তারপর তানিয়া ওয়াশরুমে গেলো। আর আয়াত চা বানাতে গেলো। তানিয়া গোসল করছে আর ভাবছে কি হয়ে গেলো আমার সাথে? এমন তো হবার কথা ছিলো না? তাহলে কেন হলো? আচ্ছা আমার বিয়ে সিয়ামের সাথে হলো না কিন্তু তাতে আমার খারাপ লাগলেও কেন যেনো কষ্ট হচ্ছে না, আয়াতের ওপর রাগ করতে চাই কিন্তু কেন যেনো রাগ করতে পারছি না? কেন?
চা নিয়ে এসে দেখে তানিয়া গোসল সেরে বের হলো। ভেজা চুল গুলো আনমনে মুছতে মুছতে বের হলো। চুল থেকে চুইয়ে চুইয়ে পানি পড়ছে। আয়াতের চায়ের মগ দুটো টি টেবিলে রেখে তানিয়ার দিকে এক ধ্যানে তাকিয়ে আছে। তানিয়া আয়াতকে খেয়াল করেনি। আর আয়াত পলকহীন চোথে তানিয়া দিকে তাকিয়ে আছে। বিয়ের শাড়িটা পাল্টে একটা সুতির থ্রিপিচ পড়েছে। মুখের মেকাপ গুলো ধুয়ে যাবার পর তানিয়াকে যেনো আরো অসম্ভব সুন্দর লাগছে। মনে হচ্ছে কোন মায়াবতী। তার মায়ায় আয়াতের চোখ দুটোকে ধাঁধিয়ে দিয়েছে। আয়াত ভাবছে মেয়েরা কেনো যে নিজের প্রকৃত সৌন্দর্য্যকে মেকাপ দিয়ে ঢেকে রাখে?
আয়াত যেনো তানিয়ার ঘোরে পরে আছে। প্রবল ভাবে তানিয়ার দিকে আর্কষিত হচ্ছে। কোন এক অজানা শক্তি আয়াতকে তানিয়ার দিকে টানছে। আয়াত নিজেকে তানিয়ার থেকে দূরে রাখতে পারছে না। ধীরে ধীরে আয়াত তানিয়ার দিকে আগাতে লাগলো। আয়াত তানিয়ার পিছনে গিয়ে তানিয়াকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে তানিয়ার চুলে নাক ডুবিয়ে দিলো। হঠাৎ এমনটা করায় তানিয়া হতভম্ব হয়ে গেলো। তানিয়া আয়াতকে বাধাঁ দিতে চাইছে। কিন্তু কেন যেনো দিতে পারছে না? প্রচন্ড রকম এক ভালো লাগা কাজ করছে আয়াতের ছোয়ায়। তানিয়া ভাবছে এ কেমন মায়া ? কি নাম এ মায়ার? তানিয়া নিজের ভিতর অনেকটা সাহস সঞ্চয় করে বললো
তানিয়া: কি করছেন কি আয়াত?
আয়াত যেনো নিজের চেতনা ফিরে পেলো। লজ্জিত হয়ে নিচের দিকে তাকিয়ে রইলো। আয়াতের চোখে একটা অপরাধবোধ স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। তানিয়া কিছু বলতে চেয়েও আবার থেমে গেলো। ভাবলো দোষটা তো আয়াতের না? আয়াতো নিজের স্ত্রীকে নিয়ে মনের মাঝে বুনেছিলো হাজারো স্বপ্নের মায়া। তাকে অনেক আদর করবে ভালোবাসবে আয়াতের স্ত্রীও আয়াতকে অনেক ভালোবাসবে। কিন্তু পরিস্থিতি পুরো বিষয়টাকে উল্টো করে দিয়েছে। পরিস্থিতি যেমন আমার সাজানো স্বপ্ন গুলোকে ভেঙেছে তেমনি আয়াতের মনের গভীরে সাজানো স্বপ্ন গুলোকেও তো ভেঙেছে। কিছুক্ষন চুপ থেকে তানিয়া বললো
তানিয়া: আমার চা কোথায়?
আয়াত ভেবেছিলো তনয়া ওকে অনেক কিছু বলবে? কিন্তু তানিয়া কিছু না বলায় আয়াতের কেমন যেনো লাগলো।
চা নিয়ে দুজন বারান্দায় পাতা চেয়ারে বসলো। আজ বাইরে চাঁদের আলোয় আলোকিত। চাঁদটা কিন্তু পূর্নভাবে উঠেনি? আবার একেবারে অর্ধেকও না তার থেকে একটু বেশি। মানে চাঁদের পুরো অংশটা থেকে কিছু পরিমান নেই। মনে হয় কেউ চাঁদের একটা কোনা ভেঙে দিয়েছে। তানিয়া এ রকম চাঁদকে দুষ্টমি করে কোনাভাঙা চাঁদ বলে। কিন্তু এ রকম চাঁদেও অনেক জোসৎনা থাকে। মায়বি একটা আলো আছে এমন চাঁদে।
দুজন চায়ের কাপে চুমুক দিলো। চা টা একে বারে ঠান্ডাও না আবার গরমও না। দুজন চুপ করে আছে। নীরবতা ভেঙে আয়াত বললো
আয়াতঃ আচ্ছা তানিয়া তোমার বাবা তোমাকে এমন কি বললো যে তুমি আমার সাথে বিয়ে হয়েছে জেনেও কোন ধরনের সিনক্রিয়েট করলে না?
তানিয়া: (একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছেড়ে) কি দরকার তা জানার? কিছু কথা না হয় অজানাই থাক?
চলবে---------
ভুলত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন.....