শবে-বরাতকে কেন্দ্র করে আমাদের সমাজে নানামুখী চিন্তা-চেতনা,কথা প্রচলন রয়েছে৷ কেহ কেহ শবে-বরাতকে ভিত্তিহীন বলছেন৷
আবার কেহ কেহ এ রাতকে ভাগ্যরজনী ভেবে নানামুখী বিদআত এমনকি শিরকে ও জড়িত হয়ে পড়ছেন৷
আবার কারো মতে কুরআনে শবে-বরাত:
সূরাহ দুখানে ২-৩ আয়াতে আল্লাহ তা'য়ালা ইরশাদ করেন-
"নিশ্চয় আমি কুরআন নাযিল করেছি মুবারক রাতে, নিশ্চয় আমি সতর্ক কারী৷এই রাতে হিকমতপূর্ণ সব বিষয় সিদ্ধান্ত করা হয়৷"
কিছু তাফসীরে উল্লেখ রয়েছে যে, লাইলাতুম মুবারাকাহ বলতে শবে-বরাতকে বুঝানো হয়েছে৷
যদিও এ রাত বলে লাইলাতুল ক্বদরকে বুঝানো হয়েছে,এমন জোরালো অভিমত ও রয়েছে অনেক ৷
তবে মধ্য শাবানের রজনী অন্যান্য রাতের ন্যায় সাধারণ রাত নয়।এই রাতের আলাদা কিছু গুরুত্ব রয়েছে। দুইটি আমলের উপর ভিত্তি করে এই রাতে আল্লাহ্ তাঁর মুমিন বান্দাদের ক্ষমা করে দেন।
সেই দুইটি আমল হচ্ছে-
১. শিরক মুক্ত ঈমান
২. কারো প্রতি হিংসা বিদ্ধেষ মুক্ত অন্তর
আবূ মূসা আল-আশআরী (রাঃ) হতে বর্ণিত,
রসূলুল্লাহ সা: বলেন, আল্লাহ মধ্য শাবানের রাতে আত্নপ্রকাশ করেন এবং মুশরিক ও হিংসুক ব্যতীত তাঁর সৃষ্টির সকলকে ক্ষমা করেন।
সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ১৩৯০
তাই এই রাতে ক্ষমা পেতে হলে আমাদেরকে সকল প্রকার শিরকী কর্মকাণ্ড ছেড়ে ঈমানকে বিশুদ্ধ করতে হবে এবং কারো প্রতি হিংসা, বিদ্বেষ থাকলে তা অন্তর থেকে মুছে পেলতে হবে।
এরপর প্রত্যহ করা ফরজ, সুন্নত,নফর ইবাদত গুলো করে যদি সেই রাতে ঘুমালে ও ইনশাআল্লাহ,আমরা ক্ষমা পেয়ে যাবো।
• Jahangir Alam Bhuyian