৮ পয়েন্ট পাওয়ায় বিশ্বকাপে জায়গা পাকা করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
টানা দুই হারে বিশ্বকাপে যাওয়া হচ্ছে না স্কটল্যান্ডের
কাল জিতলেই বিশ্বকাপ নিশ্চিত জিম্বাবুয়ের
এই প্রথম কোনো সহযোগী দল ছাড়াই হবে ক্রিকেট বিশ্বকাপ
প্রথম দুটি বিশ্বকাপ জয়ী দল, হ্যাটট্রিক শিরোপা জিততে না পারাটাকেও ধরা হয় ক্রিকেটের অন্যতম দুর্ঘটনা হিসেবে। সেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে থাকবে না—এও সম্ভব! আজ আরেকটুর জন্য সেটাই হতে যাচ্ছিল। এক পশলা বৃষ্টিই সেটা হতে দেয়নি। বৃষ্টি আইনে স্কটল্যান্ডকে ৫ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপের টিকিট কাটল উইন্ডিজরা।
সহজ এক সমীকরণ নিয়ে মাঠে নেমেছিল দুই দল, জিতলেই বিশ্বকাপ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আগের ম্যাচেও সেই সুযোগ ছিল স্কটল্যান্ডের। কিন্তু সেই ম্যাচ হেরে বসায় আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আরও একবার পরীক্ষায় নামতে হয়েছিল স্কটিশদের। ম্যাচের প্রথমার্ধে ভালোই করেছিল তারা। ২ রান তুলতেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে সে চাপ সামলে নিয়েছিল উইন্ডিজ। এভিন লুইস (৬৬) ও ফর্মে ফেরা মারলন স্যামুয়েলসের (৫১)—দুটি ফিফটিতে ৫ উইকেটে ১৫৮ রান তুলে ফেলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
শেষ ১০ ওভারে পথ হারায় ক্যারিবীয়দের ইনিংস। ৪০ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৮ রানে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্কটিশ দুই পেসার শাফায়ান শরিফ ও ব্র্যাড হুইল—দুজনই ৩ উইকেট পেয়েছেন।
রান তাড়ার শুরুটা খুবই বাজে হয়েছে স্কটল্যান্ডের। তৃতীয় ওভারেই ব্যাটিংয়ের মূল ভরসা কোয়েতজার ফিরে গেছেন। কেমার রোচ (২০/২) ও জ্যাসন হোল্ডারের তোপে ২৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে স্কটল্যান্ড। চাপে পড়ে রান তোলার গতিটা কখনোই তুলতে পারেনি দলটি। অ্যাশলি নার্সের বলে মিডল অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যানের ফেরাটাই ম্যাচের ভাগ্য লিখে দিল। ১০৫ রানে ৫ম উইকেট হারায় স্কটল্যান্ড।
এর মধ্যেই আকাশ অন্ধকার হয়ে আসছিল। সাতে নেমে মাইকেল লিস্ক তাই দ্রুত রান তলার চেষ্টা করেছিলেন। ৩৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে বৃষ্টি নামায় খেলা বন্ধ করা হয়। তখন বৃষ্টি আইন অনুযায়ী স্কটল্যান্ডের রান ১৩০ হলেই বিজয়ী ঘোষণা করা হতো দলটিকে। কিন্তু স্কটল্যান্ডের স্কোর তখন ছিল ১২৫। ১০ বলে ১৪ রান করেছিলেন লিস্ক। কিন্তু অন্য প্রান্তে মুনসে (৫২ বলে ৩২) সে তালে রান তুলতে পারেননি। ফলে ৫ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপের দৌড় থেকে বাদ পড়ে গেল স্কটল্যান্ড।
আগামীকালই বিশ্বকাপের ১০ম দল হিসেবে জায়গা নিশ্চিত করে ফেলতে পারে জিম্বাবুয়ে। সুপার সিক্সে সবার নিচে থাকা সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারালেই চলবে তাদের। তবে আমিরাত যদি শেষ বেলায় এসে কোনো অঘটন ঘটায়, সে ক্ষেত্রে পরশু দিনটা হয়ে উঠবে মহা গুরুত্বপূর্ণ। সেদিন বাছাইপর্বে মুখোমুখি হবে ৪ পয়েন্ট পাওয়া দুই দল—আয়ারল্যান্ড ও আফগানিস্তান।
আরও সংবাদ
বিষয়: