প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তনের পরিকল্পনা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রশ্ন ছাপিয়ে কেন্দ্রে পাঠানোর বদলে অনলাইনেই প্রশ্ন পাঠানোর বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। আগামী বছর এসএসসি পরীক্ষায় নতুন পদ্ধতি চালুর কথা ভাবছে মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার বিকালে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠক শেষে শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসাইন সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
সচিব বলেন, আমি মনে করি এমন পদ্ধতি তৈরি করা প্রয়োজন যে পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র ছাপানো হবে না, বিতরণ করাও হবে না। তাহলেই আর ফাঁস হওয়ার সুযোগ থাকবে না। তবে এই চিন্তা চূড়ান্ত নয় জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী বছর থেকে প্রশ্নপত্র ছাপানো হবে কিনা তা নিয়ে ভাবতে হবে। হয়তো কোনো ডিভাইস দিয়ে সরাসরি পরীক্ষার হলে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে। তিনি বলেন, আমি যেটা মনে করি, প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার যে প্রক্রিয়া এখন আছে এ পদ্ধতিতে প্রশ্নফাঁস ঠেকানো সম্ভব হবে না।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সভাপত্বিতে সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, আইসিটি সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সব দফতর ও সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
পাবলিক পরীক্ষা গ্রহণকে কষ্টসাধ্য উল্লেখ করে বলা হয়েছে, বিজি প্রেস প্রশ্ন কম্পোজ এডিট, প্রিন্ট ও প্যাকেজিং পর্যায়ে প্রায় ২৫০ ব্যক্তির সম্পৃক্ততা রায়েছে। তারা প্রশ্নপত্র কপি করতে না পারলেও তা স্মৃতিতে ধারণ করা সম্ভব। এভাবেও প্রশ্ন ফাঁস করা সম্ভব হতে পারে বলে মনে করছে শিক্ষা-মন্ত্রণালয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে ট্রেজারি বা নিরাপত্তা হেফাজত থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে অনেক কেন্দ্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। অতিরিক্ত কেন্দ্রের অনুমতি দেয়া হয়েছে। অথচ সেখানে পর্যাপ্ত জনবলের অভাব রয়েছে। তাছাড়া ভেন্যুগুলো থেকে মূল কেন্দ্রগুলোর দূরত্ব অনেক বেশি। ফলে ৩০ মিনিটের আগে কেন্দ্র সচিব প্রশ্ন খুলতে বাধ্য হচ্ছেন। সেখান থেকেও প্রশ্ন ফাঁস হতে পারে।
পাবলিক পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে সভায় কার্যপত্রে এসব বিষয় তুলে ধরেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এসব সমস্যা কীভাবে সমাধান করা সম্ভব সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। উল্লেখ, আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে চলমান এসএসসি পরীক্ষা। এরপর ২ এপ্রিল থেকে শুরু হবে এইচএসসি পরীক্ষা।
ohhhhhh
thnx
nice