মধুসূদন দত্তের খ্রিস্টধর্ম গ্রহণে তাঁর স্বধর্মের প্রতি অনাস্থা, কুসংস্কারাচ্ছন্নতা যে প্রভাব ফেলতে পারে, তা কোনো গবেষক স্বীকার করেননি।
আমার ধারণা, শুধুমাত্র বিলতে যাবার স্বপ্ন নয়, হিন্দুধর্মের সনাতন কুসংস্কার, গোঁড়ামি থেকে মধুসূদন নিজেকে মুক্ত করতে খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। অন্তত তিনি হিন্দুধর্ম অপেক্ষা খ্রিস্টধর্মকে উন্নততর ভেবেছিলেন। কেননা মধুসূদনের জীবনে যে সমস্ত ইউরোপীয় কবি-পণ্ডিতের প্রভাব পড়েছে, তাঁরা সবাই খ্রিস্টান। তিনি দেখছেন ইংরেজ জাতির শিক্ষা-সংস্কৃতির প্রতি অপ্রতিরোধ্য মমত্ববোধ, তাঁদের সাহিত্য মানবতাবোধ কত গভীর। জীবনযাপন, সাহিত্য-সংস্কৃতিতে অন্তত সেখানে দেবনির্ভরতা নেই।