ভার্সিটি জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সবই সৃতি হয়ে রয়ে গেছে। শুধু নেই সময় আর মানুষ গুলি। এখন ক্যাম্পাসে পা রাখলেই বুকটা থমকে যায়। ক্যাম্পাস পরিপূর্ণ ছাত্রছাত্রী তবুও যেনো মনে হয় ক্যাম্পাসে কেউ নেই হাহাকার। কারন ক্যাম্পাসে গিয়ে এখন আর দেখা হয় না চেনা মুখগুলোর। দেখতে পারি না এক সাথে চলাফেরা থেকে শুরু করে যাদের সাথে চারটা বছর কাটালাম তাদের মুখখানা। তাই তো ক্যাম্পাসে পা রাখলে থমকে যায় আমাদের মনের আনন্দ। আগের সেই শান্তি টা আর খুজে পাইনা ক্যাম্পাসে গিয়ে। ভার্সিটির শুরুতে কেউ চেনা ছিলো না। আর শেষে এসে সবই চেনা মুখ হয়েও আবার সবই অচেনা হয়ে গেলো। যদি কোন ক্লাস নাও থাকতো ক্যাম্পাসে গিয়ে বসে থাকতাম। ক্যাম্পাসে ডুকতেই দেখা যেতো বন্ধুদের সাথে দেখা হয়ে যেতো আড্ডা দেয়া হতো।
ক্যাম্পাসে যতদিন ক্লাস হতো আমরা সহজে কেও ক্লাস বাদ দিতাম না। কারন বাসায় শুয়ে বসে থাকার থেকে আমাদের সবার ক্লাসে গিয়ে সবার সাথে আড্ডা দিতে ভালো লাগতো ক্লাস করতে ভালো লাগতো। দেখা যেতো সকাল ৮টায় ক্লাস আছে তখন ঘুমের সময় মনে হতো আজকে ক্লাস টা করবো না। ঘুম থেকে জাগনা পেলেও শুয়েই থাকতাম দেখতাম যদি বন্ধু রা কেউ না ডাক দেয় তাহলে আজকে ক্লাসে যাবো না। কিন্তু ৮টা বাজতে ১০ মিনিট বাকি এমন সময় কেউ একজন উঠে বলতো এখনো ঘুমাচ্ছিস সবাই ক্লাসের সময় হয়ে গিয়েছে উঠে রেডি হতে হবে না! তখনই দেখা যেতো সবাই উঠে তারাহুরো করে রেডি হয়েই চলে যেতাম ক্লাসে। এর পর একটা ক্লাস শেষ করে তারপর আমরা সবাই সকালের নাস্তা করে যেতাম। আর এখন সেই দিনগুলোর কথা মনে হলে নিজের অজান্তেই চোখে পানি চলে আসে।
কিছু কিছু সময় দেখা যেতো একদিনে ক্লাস বেশি থাকলে শেষের দিকের ক্লাস গুলো করতে আমাদের সবার অনেক বোরিং লাগতো তখন সি আর কে দিয়ে আমরা শেষের ক্লাস গুলো স্যার কে বলে বন্ধ করিয়ে সবাই চলে যেতাম বাসায়। আবার কখনো কখনো দেখা যেতো আমরা সকালে ঘুম থেকে উঠে সবাই ক্লাসে গিয়ে বসে আছি কিন্তু স্যার আসে নি। পরে জানিয়ে দিয়েছে আজকের ক্লাস হবে না। তার পরের ক্লাস আবার অনেক সময় পর হবে। তখন আমরা সবাই মিলে ক্যাম্পাসে বসে আড্ডা দিতাম গল্প করতাম। সেই দিন গুলো কে এখন খুবই মনে পরে। ফিরে যেতে ইচ্ছে করে সেই দিন গুলো ফিরে পেতে। ভার্সিটি ছুটির দিনে সকলেই সারা দিন ঘুমাতাম বিকেল হলেই বন্ধু ডেকে তুলতো চলো ফুটবল বা ক্রিকেট খেলতে যাবো। অনেকে যেতো চাইতাম না অলসতায় কিন্তু সবাই সবাইকে জোর করে নিয়ে যেতাম। বিকেলে ক্যাম্পাসে গিয়ে বল খেলতাম। সেই খেলার দিনগুলোও এখন আর নেই। বন্ধুরা এসে এখন আর ডাকে না খেলতে যেতে। বিকেলে ক্যাম্পাসে গিয়ে আর সবার বসাও হয় না।
সময় আসলে আমাদের সব কিছুই পরিবর্তন করে দেয়। সব সময় আমরা চাইলেও কারও একই যাবে না। সময়ের সাথে জীবনের পরিবর্তন হতেই থাকবে। পড়াশোনা জীবনে সব থেকে স্বরনীয় সময় অতিবাহিত করি ভার্সিটি জীবনে। কারন ভার্সিটি সময়টা বেশি সময় কাটানো হয় বন্ধুদের সাথে দীর্ঘ চারটি বছর। এখানেই আমাদের সব থেকে বেশি সৃতিময় সময় তৈরি হয়। এর জন্যেই আমরা এই সময়টাকে দীর্ঘদিন মনে রাখি ভুলতে পারি না চার বছরে কাটানো সময় গুলোকে। ক্যাম্পাসে পা রাখতেই এখন শান্তি মিলে না বরং মনের মধ্যে অনেকটাই শুন্যতা থেকে যায়।
I'm feeling missing my campus & those days I've passed.