প্রিয়,
পাঠকগণ,
আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন।
আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো কালকের একটা ঘটনার কথা।
কাল আমাদের এখানে বেশ ভালই বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির মধ্যে রাজা (শুভর বন্ধু) দৌঁড়ে দৌঁড়ে বাড়ি ফিরছিল, কারণ ওর কাছে ছাতা ছিলো না। ওদের বাড়ীর গলির ভেতর ঢুকতেই ও একটা পাখীর ডাক শুনতে পায়।
একটু খেয়াল করতেই দেখতে পেল,ওর পায়ের থেকে কিছুটা দূরত্বে ছোট্ট একটা পাখী পড়ে আছে।বৃষ্টিতে ভিজে অমন করে ডাকছে।কোনো কারণে ওর পায়ে বা ডানায় ব্যাথা লেগেছে তাই ঠিকভাবে উড়তেও পারছে না।
তাই রাজা ওকে হাতের উপর করে নিয়ে গেল বাড়িতে। একটা শুঁকনো কাপড় দিয়ে কাকিমা,মানে (রাজার মা) ওর গা ভালো করে মুছিয়ে দিয়েছিল।রাজা জলের মধ্যে একটা বিস্কুট গুলে ওকে নাকি চামচে করে খাইয়ে দিয়েছিল।
রাতে রাজা আমাদের বাড়িতে এলো পাখিটাকে হাতে করে নিয়ে,কারণ ওর কাছে পাখি টাকে রাখার মতন কোনো খাঁচা বা বাক্স ছিলনা। তাই আমাদের বাড়ির পাশে একটা বাড়িতে ওরা পাখি পোষে, তাই শুভকে নিয়ে ওর কাছে গিয়েছিল।
ওই ছেলেটার কাছ থেকে একটা ছোট্ট খাঁচা আর পাখীর কিছু খাবার নিয়ে এসেছিল। যাওয়ায় আগে আমাকে দেখানোর জন্য আমার ঘরে এলো।
আমার প্রথমে ওকে হাতে নিতে একটু কেমন লাগছিল।ঠিক যেমনটা আমার পিকলু কে প্রথম দিন কোলে নিতে লেগেছিল।তবে একটু বাদে ঠিক হয়ে গেলো।
হাতটা নীচে রাখতেই আমার হাত থেকে নেমে খাটের উপর বসে পড়লো। বেশ কিছুক্ষণ বসে রইলো ওইভাবেই। তখনই এই ছবিগুলো তুলেছিলাম। একটু বাদে রাজা ওকে নিয়ে চলে গেল।
তবে দুঃখের বিষয়,আজ পাখিটা মারা গেছে শুনলাম।কাল অনেকক্ষণ বৃষ্টিতে ভিজেছিল। বোধহয় সেই কারণেই, নাকি অন্য কোনো কারনে জানিনা। তবে মারা গেছে শুনে একটু খারাপ লাগলো বটে।
যাইহোক, ওর আয়ু এতটুকুই ছিল। কিছু সময়ের জন্য রাজা বা আমাদের জীবনে এলো। ওর সাথে কিছু মুহুর্ত আমাদের জীবনে দিয়ে গেলো এই আর কি।
কিছুক্ষন আগে রাজা খাঁচাটা ফেরত দিয়ে গেল।ওর একটু বেশীই খারাপ লেগেছে, তবে এটাই হওয়ার ছিলো।নাহলে কেন রাজাই ওই সময় ওখান দিয়ে যাবে যেখানে পাখিটা পড়ে ছিলো। চাইলে তো রাজা ডাক শুনে নাও দাড়াতে পারত। কিন্তু ওই যে বললাম সবটাই পূর্বপরিকল্পিত।
যাইহোক গল্পটা শেয়ার করলাম আপনাদের সাথে। আর পাখিটার ছবিও।আপনাদের জীবনেও এমন অভিজ্ঞতা থাকলে জানাবেন।
ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।সাবধানে থাকবেন। শুভ রাত্রি।