প্রিয়,
পাঠকগণ,
কেমন আছেন সবাই?
আমার কথা যদি বলি যতটা ভালো থাকবো আশা করেছিলাম ততটাও ভালো নেই।কথাটা এই জন্যই বললাম,আজ বিকালে আকাশে মেঘ দেখে ভেবেছিলাম এই প্রচন্ড গরমের হাত থেকে এবার বোধহয় রেহাই মিলবে।
কিন্তু কোথায়? মেঘ তো বোধহয় উড়েই গেলো হাওয়ার সাথে। গত কয়েকদিন ধরে টিভি খুললে করোনার সাথে সাথে নতুন খবর যোগ হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ,"ইয়াস"।
মনে মনে প্রস্তুত হয়ে আছি আবার হয়তো আম্ফানের সময়ের মতো ১২-১৩ দিন কারেন্ট থাকবে না, সেই মোমবাতি - হ্যারিকেনের সাথে দিন কাটাতে হবে, আর গরমের হাত থেকে নিস্তারের সঙ্গী হবে তালপাতার হাতপাখা। ওফ্ ভাবলেও কষ্ট হচ্ছে।
সে যাইহোক "ইয়াস্" আসতে এখনো ২-৩ দিন বাকি, তাই ভাবলাম অন্তত তার আগে আজ যদি বেশ কিছুক্ষণ টানা বৃষ্টি হয় তাহলে অন্তত এই দুদিন শান্তি।
হুঁ,কিন্তু কোথায় বৃষ্টি?
দুপুরে খেয়ে ওঠার পরপরই দেখি আকাশে মেঘ করছে, ছাদে জামাকাপড় মেলা ছিল, সেগুলো নামাতে গিয়ে একটু সময় দাড়ালাম,বিশ্বাস করুন মনে মনে একটু খুশী হয়ে শুলাম,যে আজ অন্তত দুপুরে একটু শান্তি করে ঘুমাবো। গরমের জন্য, দুপুর বলুন বা রাত ঘুমটা আর ভালোভাবে হয়না।
কিন্তু কথায় আছে না," শান্তির মা মরে গেছে"।ব্যস মেঘ উধাও। বৃষ্টিরও দেখা নেই।একটু বাদে দেখি বদনাম ঘোঁচালো ২-৪ ফোঁটা বৃষ্টি পড়ে, যাতে ছাদ ও ভিজলো না। তবে দায়িত্ব নিয়ে,গরমটা বাড়িয়ে দিলো, আর মনটা খারাপ করে দিলো।
যাইহোক,দেখাযাক " ইয়াস্" এর দয়ায় কি কি হতে চলেছে দেখা যাক। আবহাওয়া দফতর সতর্কবার্তা তো দিয়েই দিয়েছে,তাই আশাকরি কিছুটা এফেক্ট নিশ্চয় পড়বে, তবে হ্যাঁ আবহাওয়াবিদরা যেমন বলছেন তেমনটা যেন না হয় সেটাই চাইবো। কারণ একবছর আগে আম্ফানে যা ক্ষতি হয়েছিল, অনেকের সেই ক্ষতি থেকে এখনও পুরোপুরি পূরণ হয়নি, তারমধ্যে আবার এই দুর্যোগ। আর শুনছি ইয়াসের গতিবেগ নাকী আম্ফানের থেকেও বেশী।
যাইহোক,আজকের রাতটাও এই গরমের মধ্যে কাটাতে হবে বলে মনে হচ্ছে, আর যদি রাতের দিকে বৃষ্টি হয় তাহলে সৌভাগ্য।
সন্ধ্যাবেলা চা করে এনে যখন খাটে বসলাম। পিকলু বাবুর কান্ড দেখুন, সেও চা খাওয়ার জন্য রেডী।
যাইহোক আপনারও পরিবারের সাথে সময় কাটান।সকলে সাবধানে থাকুন এই কামনা রইলো। ভালো থাকবেন 🙏।