কাঠাল। এটি এমন একটি ফল যার প্রত্যেকটা অংশই খাওয়া যায়। যারা জানেন, ভিতরের বিচি বিচি টুকরোগুলো যেমন ভেজে খেতে মটরসুটির মতো লাগে, তেমনি ভিতরের মাংশের মতো অংশগুলো তরকারি বানায়ে খাওয়া যায়, এবং গায়ে সিং সিং কাটাযুক্ত এই ফলটির স্বাদ বিভিন্ন রকমেরই হয়ে থাকে। অামরা গ্রাম বাংলায় যারা থাকি, তারা এই ফলটির সাথে অতোপ্রতভাবে জড়িত। সকালে ঘুম থেকে উঠে বাগান পরিদর্শন করা এবং ফলমূল, গাছপালার সাথে সময় কাটানো এক অন্যরকম অনুভুতি। যেটা উপভোগ করতে হলে অবশ্যই অাপনাকে প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চলে ঘুরে বেড়াতে হবে। অাসলে প্রকৃতির যে একটা মায়া, তা বুঝতে হলে প্রকৃতির এই বিষয়বস্তুুগুলো থেকে অনুভব করতে হয়। তারই ধারাবাহিকতায় অাজকে সকালে ঘুম থেকে উঠে সৃষ্টিকর্তার তৈরী প্রকৃতির সৌন্দর্য এই গাছগুলো, এবং ফলমূলের সাথে সময় কাটালাম। বেশ অানন্দদায়ক এবং ক্লান্তিহীন অনুভুতি পাওয়া যায়।
যতটুকু জানি, কাঠাল সাধারণত জোড়া জোড়া হয়ে থাকতে বেশ পছন্দ করে। দু একটা অালাদা ভাবে জন্মালেও বেশিরভাগ কাঠাল একটা ডালে দুটো বা তার অধিক জন্ম নেয়। অার এই গাছগুলো সাধারণ নার্সারী বা কোথাও কিনতে পাওয়া যায়না, এটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কাঠালের ঐ বিচি বিচি অংশ হতে সৃষ্টি হয়। অার সত্যি বলতে অামি কখনো কোথাও এই গাছটি রোপন করতে দেখিনি। এটি একটি পুরোতন গাছ। বয়স খুব বেশি না হওয়া পর্যন্ত ফল ধরে না।
জানিনা এই ফলে কোন ভিটামিন বিদ্যমান, তবে ফলটি খেলে মধুর খাওয়ার মতো পরে ভিতরে একটা গরম অনুভুতির সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে, গরম অাবহাওয়ায় ফলটি খেলে অস্থীরতা অনুভব হয় এবং রাতে খেলে সহজে ঘুম ধরে না। বিজ্ঞান টা জানা নাই, তবে সৃষ্টিকর্তার এমন বিষ্ময়কর বিষয়বস্তুু সত্যিই ভাবিয়ে তোলে। যাইহোক, অাজকের মতো এতোটুকুই। অার হ্যা, নিজের সম্পর্কে যদি অারেকটু বলি, অামি একজন ভ্রমন পিপাসু ছেলে এবং ফটোগ্রাফি করতে পছন্দ করি। এখন নতুন পেশা যুক্ত হয়েছে, তা হলো গল্প লিখা, অভিঙ্গতা শেয়ার করা। অাশা করি, পাশে থাকবেন। ধন্যবাদ।