লঞ্চ যাত্রা (recalling a good time)

in BDCommunity4 years ago (edited)

মাঝে মধ্যে ক্লাসে যেতে খুবই বিরক্ত লাগে, তাও আমার সেই এক কাজ আর সেটা হল চোখ খুলেই নিজেকে নিজে বুঝানো যে আজ যা তারপর না হয় ক্লাস শেষে এসে ইচ্ছামত ঘুম দিবি যা আসলে মা বলতো সেটা আজ আমি বলি যদিও মা পাশে নাই। সহজাত প্রবৃত্তি যাহাকে বলে। সত্যি বলতে ক্লাস শেষে আর ঘুম দেওয়া হয় না। এসে নিজের রান্না, গাদা গাদা পরার চাপ নিয়ে কি আর ঘুমানো যায়। কিন্তু আজ সকাল সকাল ক্লাসে এশে দেখছি স্যার আশে নি। কথা হচ্ছে ক্লাস একটাও না হওয়া নিয়ে। আমারো মনে হল আজ ঈদ এর দিন। যেই ফের পথে রওনা দিলাম ঠিক তখন রুবেল দিল ফোন ।
কিরে কই তুই !
১১ তালায়। ক্লাস নাই চলে যাবো
কেন রে ভাই, নিচে আয় কথা আছে।
ওকে আসতেছি
গিয়ে দেখি সবগুলাহ গরু একসাথে কি যেন প্ল্যানিং করছে ।
কি শালা ঈদের দিন আজ, চলো খাওাবা !
এইটা হল আমার আরেক বন্ধু ইমন । কিছু হলেই খাওয়া আর খাওয়া ... ভুড়ি যে ফেটে যাবে তার দিকে কোন নজর নাই ।
আমি বললাম- ভাই থাক তোরা, আমি হলে যাই,
না না , প্ল্যানিং হচ্ছে ঘুরতে যাবো । চল যাই । সামনে টানা তিন দিনের বন্ধ ।
আমি ভাবলাম আশে পাশে কিন্তু না যাওয়ার প্ল্যানিং হল বরিশাল , আই মিন লঞ্চ ভ্রমনের।
প্রথমে না না করলেও বাধ্য হয়ে রাজি হলাম ।
বিকালের দিকে বেরিয়ে পরলাম সবাই। খুব যে টাকা পয়শা আছে তাও না । শুনেছি হুট হাট ঘুরতে যাওয়া নাকি বেস্ট হয়। আমিও ভাবলাম, অকে লেটস সী !!
ঠিক রাত নয়টায় লঞ্চ ছাড়ল তার আগ পর্যন্ত পুরান ঢাকার সিফাত এসে নদীর জাদুকারি রুপ নিয়ে কথা বলতে লাগলো। অর কথা শুনে আরো বেশি এক্সসাইটেড ছিলাম আমরা সবাই।
সিফাতের কথার সাথে মিল রেখে আমরা সারারাত কেবিনে না গিয়ে ছিলাম লঞ্ছের ছাঁদে । আর একটা কথা বলে নেই , এই লঞ্চ যাত্রা ছিল আমার জীবনের প্রথম ভ্রমন। প্রথমে তো ভাবি নাই লঞ্চ আসলেই এতো বড় হয় । ভাবলেও হাসি পায় এখন।
যাই হক, আমাদের ছাদে থাকার মধ্যে হঠাৎ খেয়াল করলাম লঞ্চ দুলছে । নাহ ভাল ভাবেই দুলছে । তখন বাজে ঠিক রাত একটা। ভয় পেয়ে হলেও কেবিনের সামনে গিয়ে দেখি উত্তাল পানির ঢেউ, আসলে তিন নদীর মোহনার জন্য এটা হয়। সেই সময় আমরা ঠিক করলাম আমরা উনো খেলবো। কেবিন থেকে উনো এনে দিল রুবেল ।
কেবিনের সামনে বসে খেলতে লাগলাম আমরা। ঐ রাত ছিল আবার জোছনায় ভরা । আর কি লাগে... সেই চিল্লা চিল্লি কিন্তু আসলেই ইট ওয়াজ ফান ।
তার মাঝে সিফাত নিয়ে এল চা।আমার খাওয়া বেস্ট চা ছিল ঐটা।
এভাবে গান আড্ডা সাথে আমার গিটারের টুং টাং আওয়াজ আর সিফাতের দেওয়া রোমাঞ্চকর গল্প নিয়ে ঠিক সকাল চারটায় আমাদের ইমন যাকে আমরা ভালোবেসে মনু বলে ডাকি তার বরিশালের আমাদের ঠিকানা ভিড়ল।
আর সত্যি বলতে এই ভ্রমনটাই ছিল সব থেকে বেস্ট ভ্রমন আজ পর্যন্ত। আমরা এখন সাধারণত ঘরে বসে এইসব ভাল অনুভুতি নিয়ে আবার সুস্থ জিবনের আশায় থাকতেই পারি। কি বলেন !

আশা রাখি ভাল লাগবে । ধন্যবাদ

Sort:  

Hi @xaibxiba, your post has been upvoted by @bdcommunity courtesy of @rehan12!


Support us by voting as a Hive Witness and/or by delegating HIVE POWER.

JOIN US ON