বউটা ইদানিং খুব ফাজিল হয়ে গেছে। আগে আমার এক্সের নাম শুনলেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠতো। চারিদিকে জ্বালা পরার গন্ধে নাকে ঝাঁঝ ধরে যেত। এখন তো দেখছি পুরাই উল্টা এখন তো পুরাই মজা নিতে শুরু করেছে।
এই তো কিছুদিন আগেই কাল্পনিক চরিত্র কবিতাকে নিয়ে লেখায় আকাশ বাতাশ বারুদের গন্ধে ভরে গিয়েছিল। আজ আবার চা দিতে দিতেই বলছে, আচ্ছা আমি শুধু রুপার কথা জানতাম কিন্তু এই কবিতা কে? যতদিন যাচ্ছে তত নতুন নতুন কাহিনী, নতুন নতুন নাম শুনছি।
আচ্ছা রূপার দেওয়া ডায়েরিটা তুমি এখনো ঐভাবেই রেখে দিয়েছোকেন? আর কতদিন রাখবা? ব্যবহার কর না কেন? ও আচ্ছা প্রথম প্রেমের স্মৃতি তাই তো।
তুমি তো একটা কাজ করতে পারো। আমি তোমার উপর এতো নির্যাতন করি। এই ধর রাতে ছাদে যেতে দেই না, ফেসবুকে কোন মেয়ে ফ্রেন্ড এড করতে দেই না, অন্যের বউয়ের সাথে ছবি দিলে রিয়েক্ট করতে দেই না। এইসবের প্রতিবাদ বা প্রতিশোধ স্বরূপ তুমি ঐ ডায়েরিতে লিখে রাখতেই পারো। এর থেকে চরম প্রতিশোধ আর কি হতে পারে।
বউয়ের এইসব কথা শুনতে শুনতে হাড়িয়ে গেলাম স্মৃতিতে। রূপার কথা মনে পরছিল। মনে পড়ছিল সেই সময়ের পাগলামি গুলো। যেখানে আড্ডা দিতাম বলতে ক্লাব আর খেলার মাঠের সাথেই গা ঘেষে লেগে আছে পুরাতন একটা লাল বাসা সেটাই রূপাদের বাসা। মাঠে আড্ডা দিতাম আর জানালায় আসতো সে। চলতো চোখে চোখে কথা মালা। বাদাম নিয়ে আসতাম আর চলতো আমাদের আড্ডা সে তাকিয়ে থাকতো।
হাতে ছিল ছোট্ট একটা ফোন। নোকিয়া-১১০০ মডেলের ফোনটা কানের মধ্যে গুজিয়ে এদিক সেদিক লুকিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা চুটিয়ে প্রেম করতাম। মুখে মুচকি হাসি থাকতো সব সময়। রাস্তা ঘাটে হাঁটতে হাঁটতেই হাসতাম।
শরীর টা ঝাঁকিয়ে, না এইসব আর ভাবা যাবে না। অতীত অতীতেই, আমি অবশ্য সব কিছু ভূলে যাই। আসলে ভুলবো না কেন বলেন কোথায় আমার বউ আর কোথায় এক্সরা। যাই হোক তাদের নিয়ে আর ভাবতেও চাই না। তাদের নিয়ে ভাবলে নির্যাতনের ডিগ্রি ভারতে পারে।
এই তো সেদিন বন্ধু মিলন এক্স এর সাথে ফোনের মধ্যে লুকিয়ে কথা বলতে গিয়ে বউয়ের হাতে ধরা খেয়ে আজ বাড়ি ছাড়া।
কিছুদিন আগেই তো বন্ধু সিজন এক্স এর ডাকে সাড়া দিয়ে বউয়ের কাছে হাতে নাতে ধরা। আজ ডিভোর্সের কাছাকাছি।
আসলে বিয়ের পর সব ধ্যান জ্ঞান বউয়ের উপরেই থাকা উচিত। কারণ বউ কিন্তু সব ধ্যান জ্ঞান আপনার উপর রাখে। সব সময় সি সি ক্যামেরার মত আপনার দিকে তার দুটো চোখ তাক করিয়ে রাখে। তবে এটাও একটা ভালো দিক। না হলে কত জনে জড়িয়ে পরতো অবৈধ সম্পর্কে, ধ্বংস করে দিত কত পরিবার কে। আমাদের সমাজে এখন পরকিয়ার যে মহামারি আকারে রূপ ধারণ করছে সেটা আশে পাশে মানুষদের খোঁজ খবর রাখলেই বুঝতে পারবেন। এই পরকিয়ার জন্য কত পরিবার অশান্তিতে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। কত সুখি পরিবার তাদের সুখ শান্তি সব কিছুই এখন মরীচিকার মত। নষ্ট হচ্ছে সন্তানদের ভবিষ্যৎ। পারিবারিক অসান্তির কারণে কোন সন্তানেরা খারাপ হয়ে যাচ্ছে জড়িয়ে পরছে নেশার মত পথ।
কাজেই বেশি বেশি বিয়ে করুন থুক্কু বেশি বেশি বউয়ের সাথেই থাকুন। পাশে থাকলে পাশে পাবেন। একটা মেয়ে কিন্তু সব কিছু ছেড়ে একটা নতুন জায়গায় নতুন মানুষের সাথে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে তাকেও সবার সহযোগিতা করা উচিত। তার চাওয়া পাওয়া ভালো লাগা গুলোকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
সর্বাত্মক ঝুঁকি নিয়ে এই পোস্টটা লিখলাম। বউয়ের চোখে পরলে হয়তো নির্যাতনের মাত্রা আজকে বেড়ে যাবে। ধুর এতো ভয় করলে হবে বউয়ে তো। আর জীবনে ঝুঁকি না নিলে উন্নতি সম্ভব না।
না ভাই করি নিই। কলিজা এখনো ছোট আছে 😂