পহেলা বৈশাখে প্রথম গার্ল ফ্রেন্ডকে গিফ্ট করতে গিয়ে বিপাকে পরে গিয়েছিলাম। সম্পর্কের একমাস দশ দিন তাতেই যায় যায় অবস্থা। একটি ই-কমার্স সাইট হতে অনলাইনে অর্ডার করেছিলাম প্রিয়তমার জন্য শাড়ি। সাদা শাড়ি তার উপর লাল কিছু ফুল। মনে হচ্ছিল শাড়িটির ডিজাইনার একমাত্র প্রিয়তমার জন্যই ডিজাইন করেছিল। টিউশনের টাকা মেরে দিয়েও আরো পাঁচ শত টাকা লাগবে অর্ডার করতে। যাক বন্ধুর কাছে ধার দেনা করে বাকিটা মেকাপ দিয়ে অর্ডার দিয়ে দিলাম। সরাসরি প্রিয়তমার বাসার ঠিকানায় হোম ডেলিভারি।
পকেটে একটি পাঁচ টাকার কয়েন। বন্ধু বললো বিড়ি খাওয়া। আমি অবশ্য বিড়ি টিরি খাইনা। ওরে একটা ডার্বি কিনে দিয়ে একেবারেই ফাঁকা। পাকিটমে এক ফুটিকাউরি ভি নেহি হায়। পকেটের এই নাজেহাল অবস্থা নিয়েই কয়েকদিন চলতে হবে। এদিক সপ্তাহ খানেক পর গিফ্টটি প্রিয়তমার হাতে পৌছানোর কথা।
পহেলা বৈশাখে প্রিয়তমা দাওয়াত দিয়েছিল তার বাসায়। পান্থা আর ঈলিশের দো পেঁয়াজি । শাশুরী আম্মার রান্না দারুণ চেটেপুটে খেয়ে নিলাম। সজীব ও সাথে ছিল। খাওয়া পেলে সজীব দুনিয়া ভূলে যায়। একেবারে কবজি ডুবিয়ে খেয়ে নিয়েছে।
কিন্তু আমি বড় আশা করে গিয়েছিলাম যে আমার শাড়িটা পরেই সে আমার সামনে আসবে। কিন্তু কই তাকে অন্য ড্রেসে দেখলাম।
ভেবেছিলাম সেও হয়তো আমাকে সারপ্রাইজ দেবে। মূলত তাকে সারপ্রাইজ দিতে চাচ্ছিলাম বলে তাকে জানানো হয় নিই। কিন্তু না সেও কিছু বলছে না। পুরাই হতাশ।।
আমার একটু সন্দেহ হল। তাই রাতে জিজ্ঞাসা করলাম আচ্ছা তুমি কি কোন পার্সেল পেয়েছো?
--না তো? কিসের পার্সেল। কার জন্য পাঠিয়েছো?
--সত্যিই কি তুমি কোন পার্সেল পাও নিই?
-- আমার নামে একটা পার্শেল এসেছিল। কিন্তু এটা কি তুমি পাঠিয়েছো?
-- মুখে একটু হাসি ফুটিয়ে বললাম। হুম আমিই পাঠিয়েছি। কেমন লাগলো?
যা উত্তর পেলাম তাতে হাসিটা আর বেশিক্ষণ থাকলো না।
এতো মূল্যবান সম্পদ তুমি আমার জন্য পাঠাইছো নাকি আমার আম্মুর জন্য?
হে হে মজা কেন করতেছো জান? তোমার জন্যই তো। কেমন লাগছে আমার সারপ্রাইজ।
কুত্তা কথাকার, এই তোর সারপ্রাইজ? আবার জিজ্ঞাসা করতেছো কেমন লাগছে? বুঝতেই পারলাম না। এতো কষ্ট করে ধার দেনা করে একটা গিফ্ট দিলাম তাও পছন্দ করলো না। পছন্দ নাই হতে পারে তাই বলে এতো রাফ ব্যবহার। অবশেষে যা হবার তাই হল। রিলেশন ব্রেক আপ। টাকাও গেলো সবেই গেলো।
অবশ্য তিন মাস পর তার এক বান্ধবীর কাছে জানতে পেরেছিলাম আসলে সেই পার্সেলে কোন শাড়ি ছিল না। ছিল এক কেজি পেঁয়াজ। পেঁয়াজ পেয়ে ওর আম্মা মহা খুশি হয়েছিল। তখন পেয়াজের বাজারও ছিল খুব চরা ২৬০ টাকা কেজি। সেই পেঁয়াজ দিয়েই ইলিশের দো পেয়াজা রান্না করে খাওয়াইয়ে ছিল আমাদের। গার্লফ্রেন্ড গেছে তো কি হয়েছে সেই ইলিশের সুগন্ধ আজো হাতে লেগে আছে।
পাকিটমে এক ফুটি কাউরি ভি নাই হে ইস দি বেস্ট লাইন 😂
😂🤪😂
Congratulations @steemitwork! You have completed the following achievement on the Hive blockchain and have been rewarded with new badge(s) :
Your next target is to reach 10000 upvotes.
You can view your badges on your board and compare yourself to others in the Ranking
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word
STOP
হাহাহা... রিলেশনে এইটাই মজা। ছোট ছোট কত মজার স্মৃতি তৈরি হয়।
ব্রেক আপে মজা পাইতেছেন। ধুর মিয়া আপনি আমার দুশমন দেখি 😂
Hi @steemitwork, your post has been upvoted by @bdcommunity courtesy of @rehan12!
Support us by voting as a Hive Witness and/or by delegating HIVE POWER.
JOIN US ON