অনেক দিন ধরে ঘুরতে যাই না। প্রায় ১ মাস আগে গিয়েছিলাম বন্ধুদের সাথে ঘুরতে। তারপর সেই গতকাল একটু বের হলাম। ঘুরতে পেরে মনটা অনেক শান্তি হয়ে গিয়েছে। কি জানি আবার কখন যাই। আচ্ছা যাই হোক , আমার মূলত যাওয়ার কোনো পরিকল্পনাই ছিল না ওই দিন আমার বন্ধুরা সবাই বলছে যে কোথায় একটা জায়গায় ঘুরতে যাবে। যেহেতো আমি যাবো না তাই তেমন বেশি কথা বলিনি তখন। আর কিছুক্ষন পর একটা ফ্রেন্ড আমাদের জিজ্ঞেস করে আমার কিছু হয়েছে কিনা আজকে এত চুপ চাপ। আমি বলি না এমনেই। আর তারা তখন ভাবে যে আমার হয়তো মন ভালো না। সেই কারণ ওরা জোর করে ওদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার জন্য। ঘুরলে মন ভালো হয়ে যাবে , এইসব বুঝিয়ে আমাদের বাধ্য হয়ে রাজি করিয়ে ফেলে।
রাতে এসে আম্মু বলার চেষ্টা করি কিন্তু আম্মুকে বলতে গেলেই কথা বেজে যেত পরে আবার কথা ঘুরিয়ে ফেলতাম। আসলে এটা যদি আমাদের বাসার আসে পাশে হতো তাহলে বলে দেখতাম কিন্তু এটা কিভাবে বলবো যে যেখানে আমরা যাবো সেখানে যেতে প্রায় ৩ ঘন্টার মতো গাড়িতেই বসে থাকা লাগে। গাজীপুর, আমাদের এলাকা থেকে অনেক দূর। কিন্তু সব থেকে বড় কথা হচ্ছে আমিতো তাদের কে বলে দিয়েছি আমি যাবো। আচ্ছা যাই হোক , যাবো তো আরো ২ দিন পর। আজকে বলিনি , ভেবেছিলাম কালকে বলবো। কিন্তু কালকেও একই অবস্থা। কি করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না। তখন একটা বন্ধুকে ফোন দিয়ে বলি যে ও যাতে আম্মুকে এসে বলে যে আমরা ঘুরতে যাবো যতো ওদের সাথে আমাকেই ও নিয়ে যেতে পারে।
ঐদিন বিকালে ও আসে আমাদের বাসায়। এখন কথা হচ্ছে যদি না শুনে আম্মু তখন কি করবে ? কিন্তু আম্মু মানা করেনি। আসলে এটা আমার কল্পনারও বাইরে ছিল। কখনই ভাবতে পারিনি আম্মু যেতে দিবে আমাকে। যাই হোক , এখন শুধু কালকের অপেক্ষায়। রাতের বেলা অনেক এক্সসাইটেড হয়ে পড়েছিলাম ঘুরতে যাবো বলে। আসলে এটাই বলতে গেলে এত দূর আমার পরিবারকে ছাড়া ঘুরতে যাওয়া ছিল। আর সেই জন্যই আমি ভেবে নিয়েছিলাম এই বারও হয়তো যেতে পারবোনা কিন্তু কিভাবে আম্মু রাজি হয়ে গিয়েছে সেটা আমি জানিনা। যাই হোক , রাত পার হয়ে ভোর হয়েছে। কথা ছিল সকাল ৭ তাই বের হবো। আমি উঠি প্রায় সকাল ৬ টার দিকে। উঠে তাড়াতাড়ি করে নাস্তা করে রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়ি। আমাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য ২ জন এসেছিলো আমার বাসায়। ওদের সাথেই বের হই আরকি।
ঠিক ৭ টার দিকেই বসি গাড়িতে আর যেতে যেতে প্রায় ৯ টার মতো বেজে যায়। ঐদিন রাস্তাযা তেমন বেশি ভিড় ছিল না। আর সত্যি কথা বলতে গেলে আমার ভাড়া সহ সব কিছুই ওরা বহন করে। আম্মু টাকা দিয়ে দিয়েছিলো কিন্তু ওদের জোড়াজোড়ির কারণে আমি আর দেয়নি। ঐখানে পৌঁছানোর পর সবাই একটু নাস্তা করে নিয়েছিলাম। যদিও সকালে সবাই খেয়েই বাসা থেকে বের হয়ে গিয়েছিলাম তবুও তখন তো শুধু এমনেই একটু খেয়েছিলাম যাতে গাড়িতে বসে ক্ষুদা না লাগে। খাওয়া দাও শেষ সবাই মিলে ঘুরতে বের হই। সত্যি কথা বলতে আমি কখনই গাজিরপুর যায়নি। এটাই ছিল সর্ব প্রথম। তাই আমি অনেক উপভোগ করেছি জাগাটাকে। অনেক সুন্দর একটা জায়গা। হয়তো আবার বছরখানেক পর যাওয়া হবে কিন্তু এই ভ্যাকেশন তা আজীবন আমার মনে স্মৃতি হয়ে বাঁচবে।
Congratulations @shemanto72! You have completed the following achievement on the Hive blockchain and have been rewarded with new badge(s):
Your next target is to reach 1500 upvotes.
You can view your badges on your board and compare yourself to others in the Ranking
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word
STOP
To support your work, I also upvoted your post!
Check out the last post from @hivebuzz:
Support the HiveBuzz project. Vote for our proposal!
Hi @shemanto72, your post has been upvoted by @bdcommunity courtesy of @rem-steem!
Support us by voting as a Hive Witness and/or by delegating HIVE POWER.
JOIN US ON