সবাই বলে মানুষ নাকি নিজের জন্য বাঁচে। আসলেই কি তাই ? ছোটবেলায় এটাই মনে করতাম। যদিও এখনো আহামরি বড় হয়ে যায়নি। তাও একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হিসেবে বয়স ১৮ পার হওয়ার পরই পরিবারের কিছুটা চাপ হলেও নিজে উপলব্ধি করতে পারি। যাই হোক , এদিকটায় একটু পর আসি। প্রথমে কথা বলার যাক মানুষ কি আসলেও নিজে জন্য বাঁচে ? আমার কাছে সেটা "না" ই মনে হয়।
এই ব্যাপারটার মধ্যে অনেক গভীর অর্থ লুকিয়ে আছে। এখানে সত্যিকার অর্থে অন্য কিছুকেই বুঝানো হয়। মানুষ নিজের জন্য বাঁচে না এইটার দ্বারা মোটেও স্বাভাবিক অর্থে আমরা যেটা বুঝি সেটা বুঝায় না। তবে এর আসল মানেটাই বা কি , আসলে এখানে সম্পূর্ণ দায়িত্ব এবং কর্তব্যকে বুঝানো হয়েছে। আপনার যখন মনে হবে আপনি আপনার নিজের প্রয়োজন গুলোকে উপেক্ষা করে অন্যের চাহিদার গুরুত্ব দিবেন।
সেটা হয়তো আপনি ইতিমধ্যে উপলব্ধি করতে পারবেন ,দায়িত্ব জিনিষটা আসলে অনেক বিশাল একটা জিনিস। এটার জন্য নিজের সুখকেও আমরা বিসর্জন দিতে রাজি আছি। তাহলেই কি এটার মূল ভাবার্থ এটা হলো না যে আপনি অন্যের জন্য বেঁচে আছেন। সাধারণত আমরা আমাদের বাবা মার কথা চিন্তা করি , উনারা সব কিছু বিসর্জন দিয়েছে আমাদের জন্য। এখন আমি যদি বলি আমাদের জন্য তারা বেঁচে আছে তাহলে কি বললে ভুল হবে ?
তবে এখানে নিজের প্রতিও কিছুটা হলেও ভালোবাসা প্রদর্শন করা জরুরি , কেননা আপনিই যদি স্বাভাবিক জীবন থেকে বঞ্চিত হয়ে পরেন তাহলে আপনার দায়িত্ব কে সামলাবে ? সেই পরিপেক্ষিতে হলেও নিজের প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন জরুরি।
আমরা অনেকেই আছি যারা কিনা নিজের সাথে নিজে কথা বলি। এটা কিন্তু অনেক ভালো একটা দিক। আমি একটা রিসার্চ পড়েছিলাম যারা কিনা নিজের সাথে নিজে নিজের সমস্যা , নিজের দুর্বলতা গুলো নিয়ে কথা বলে তারা অনেক জ্ঞানী হয়। তারা অতি সহজে নিজের সমস্যা সমাধান বের করতে পারে। বেপারটা অনেকের কাছেই অদ্ভুত লাগতে পারে কিন্তু আসলে এটা অদ্ভুত এর কিছুই না। এটা অনেক ভালো একটা মাধ্যম নিজের দুর্বলতা , নিজের সমস্যার সমাধান বের করার।
তাই আমার মতে , আমাদের দিনে কমপক্ষে ১০ মিনিট হলেও নিজের সাথে নিজের সমস্যা গুলো নিয়ে আলোচনা করা উচিত। আপনি কোথায় কি ভুল করেছেন , আপনার আসল দুর্বলতা কোথায়। নিজেকে সময় দেয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার সমস্যা আপনার রোগ ব্যাধি সব কিছুকেই ধরতে পারবেন। নিজের প্রতিভালোবাসা প্রদর্শনটাও অনেক জরুরি।