আমি একজন ছাত্র।দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ পাওয়ার টেকনোলজি নিয়ে পড়ছি।অনেকে এই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াশোনা কে মুল্যায়ন দেয় না।এটা তাদের ভুল চিন্তাভাবনা।আমি মনে করি আমাদের জীবনে সব পড়ালেখার পাশাপাশি এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
ছোটবেলা থেকেই আমার ইচ্ছা ছিলো ইঞ্জিনিয়ার হওয়া।যখন এটার সময় আসছে তখন বাসার সবাই রাজি হয়ে আমাকে ইঞ্জিনিয়ারিং করার জন্য সুযোগ করে দেয়।
আমি খুব খুশি হয়ে এসেছিলাম এই কলেজে।এরপরে যখন পড়ালেখা শুরু হয় এসাইনমেন্ট নেয়া দেয়া সেমিস্টারের প্যারা সব কিছু মিলিয়ে অবস্থা টাইট।
অবশ্য প্রাক্টিক্যাল কাজগুলো করার সময় খুবই ভালো লাগতো।নতুন কিছু শেখার আনন্দই আলাদা।আল্লাহর অশেষ রহমতে চালিয়ে যাচ্ছে আমার পড়ালেখা।কিন্তু করোনা ভাইরাসের ফলে পড়ালেখা বন্ধ হয় প্রায় ১ বছর।
কারন আমাদের অনলাইন ক্লাসে প্রাক্টিক্যালি কিছু শেখানো সম্ভব ছিলো না।অত:পর আবারো শুরু হয় কলেজ। আবারো ফিরে আসে আমার জীবনের কারিগরি শিক্ষা।
প্রযুক্তিগত শব্দের অর্থ বিজ্ঞান ও শিল্পে যন্ত্রপাতি পদ্ধতি ইত্যাদির ব্যবহারিক ব্যবহার। তাই প্রযুক্তিগত শিক্ষার অর্থ ব্যবহারিক শিক্ষা।
অতএব আমরা দুটি ধরণের শিক্ষাকে দেখতে পাই একটি হ'ল ব্যবহারিক এবং দ্বিতীয়টি তাত্ত্বিক বর্তমান যুগটি ব্যবহারিক বা প্রযুক্তিগত শিক্ষার যুগ প্রযুক্তিগত শিক্ষাই শিক্ষানবিদেরকে কাজের উপযুক্ত করে তোলে।
বিশ্বটি একটি বিশ্বব্যাপী গ্রাম।
আমাদের প্রয়োজন অন্যান্য দেশগুলির সাথে প্রতিযোগিতা করার জন্য আরও বেশি প্রযুক্তিগত বা দক্ষ জনশক্তি।
আমরা উন্নত দেশগুলির দিকে নজর দিলে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে প্রযুক্তিগত অগ্রগতির কারণে থিয়া সম্ভব হয়েছে। দ্রুত অগ্রগতির জন্য প্রযুক্তিগত শিক্ষার বিকল্প নেই।
প্রযুক্তিগত শিক্ষা বেকারত্ব ও দারিদ্র্যতা দূরে রাখতে পারে সমাজ এটি আশাবাদী যে সরকার ইউকুরিজের প্রযুক্তিগত শিক্ষা বিশ্বব্যাংক এবং দাতা দেশগুলিও প্রযুক্তিগত শিক্ষার ক্ষেত্রে অর্থায়ন করছে।
আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।ভুল ত্রুটি মার্জনীয়।
সবার প্রতি ভালোবাসা রইল।