- Hello all Hive Blogger.Assalamualaikum.
- সবাই আশা করি ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি।
আজ বিডি কমিউনিটিতে আমি একটি বুক রিভিউ ব্লগ শেয়ার করছি।সবাই অবশ্যই পড়বেন ও আপনাদের মতামত জানাবেন।
আজ আমি যে বুক রিভিউটি করবো সেই বইটির নাম হলো,"আধ ডজন স্কুল"
◾লেখকঃ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল
◾১ম প্রকাশঃ ১৯৯৬
◾স্বত্ত্বঃ লেখক
◾প্রকাশকঃ নজরুল ইসলাম বাহার
◾প্রকাশনীঃ শিখা প্রকাশনী
◾প্রকাশনীর ঠিকানাঃ ৩৮/২ক বাংলাবাজার ঢাকা ১১০০
◾মুদ্রণঃ সালমানী মুদ্রণ সংস্থা
◾মূল্যঃ১০০.০০ টাকা
◾আমেরিকা পরিবেশকঃ মুক্তধারা
◾যুক্তরাজ্য পরিবেশকঃ সঙ্গীতা লিমিটেড
◾ISBN: ৯৮৪-৪৫৪-১০১-২
◾পেইজঃ ৮০
◾ধরণঃবায়োগ্রাফী
◾মোট ঘটনাঃ ১৫ টি
- আমার খুবই পছন্দের একজন লেখক মুহাম্মদ জাফর ইকবাল।এই কালজয়ী লেখকের জন্ম সিলেটের ২৩/১২/১৯৫২,বয়স ৬৪ বছর। তিনি বেশিরভাগ লিখেন সাইন্স ফিকশন বই। তার ভাই হলেন,আরেক কালজয়ী লেখক হুমায়ুন আহমেদ।
জাফর ইকবাল বলেন এই বইটি হলো তার স্কুল জীবনের স্মৃতি নিয়ে।মূলত এখানে সব স্মৃতি নেই কিন্তু কিছু স্মৃতি তিনি তুলে ধরেছেন তবে কোনো নাম,পরিচয়,বার,তারিখ নেই।
তিনি তার জীবনের ১৫ টি তুচ্ছ তুচ্ছ ঘটনা নিয়েই এই বইটি লিখেছেন।তিনি এরপর দাবি করেছেন যেহেতু এসব ঘটনা তার মাথায় আছে তাই এসব মোটেই তুচ্ছ নয় বরং এগুলোই তার সবকিছু
হাতীর মাথাঃ লেখক ছোট বেলায় খুব হাবাগোবা রকমের ছিলো।যখন তার বড় ভাইবোন হুমায়ুন আহমেদ ও শেফু পড়তে বসতো সে তখন অবাক হয়ে ভাবতো এসব সাংকেতিক কিছু চিহ্ন দিয়ে মানুষ কি করে এতো কথা বুঝে।একদিন সেই রহস্য বের করতে বই-খাতা খুলে আর দেখে অনেক গুলা হাতীর মাথা ( হাতীর মাথা মানে সে বুঝেছে ইকারের মাথাকেই ) । সে দেখে দেখে হাতীর মাথায় চোখ নেই!! তাই জাফর ইকবাল সব হাতীর মাথায় ( ইকারের উপরে ) চোখ দিয়ে দিয়েছে।সম্পূর্ণ খাতাতেই❕❕
১ম শিক্ষকঃ লেখকের জীবিনের ১ম শিক্ষক হলো তার বাসার কাজের ছেলে রফিক।সে অনেক কিছু তাকে শিখাতো।যেমনঃমাকড়শার পেট থেকে টেনে সুতা বের করা ইত্যাদি।
বেতঃ লেখক স্কুলে অংক ভুলের জন্য হাতে বেতের বারি খেয়েছে।তার জীবনের ১ম অপমান। কিছুতেই মানা যাচ্ছেনা কিন্তু পরে তার বাবা দেখে বলে অংক ঠিক আছে।জীবনের ১ম বেতের বারি তিনি খেয়েছেন অকারণেই।
গণঐক্য ও কচু পাতাঃ ১দিন স্কুলে গিয়ে দেখে স্কুলে পানি ঢুকেছে তবে বেঞ্চ শুকনো। তাই ১জন বুদ্ধি করে বেঞ্চ ভিজিয়ে দেয় এরপর ১জন ১ ম্যাজিক দেখায়।তারা ৩ জন্য ছিলো।যে ম্যাজিক দেখাবে সে কচু পাতায় থুথু ফেলে এরপর লেখক ফেলে এরপর যেই ৩য় জন থুথু ফেলতে যাবে।অমনি ১ম জন সব থুথু ৩য় জনের মুখে ছুড়ে দেয়।
তবে লেখক স্বীকার করে কাজ নিচু স্তরের হলেও তখন তারা উঁচু স্তরের মজাই পেয়েছিলো।
বিস্কুটের মালাঃএকদিন এক শিক্ষকের বিদায় অনুষ্ঠান।সবাই তখন ফুলের মালা আনছিলো তবে সে ফুল তুলার আগেই সবাই ফুল নিয়ে নিয়েছিলো তাই সে স্যার এর জন্য বিস্কুটের মালা নিয়ে যায়!!
এমন মোট ১৫ টি ঘটনা আছে মুহাম্মদ জাফর ইকবালের ছোট বেলার।যা খুব খুব মজার।
আমি ইচ্ছাকৃত ভাবেই সব ঘটনা লিখিনি কারণ তাহলে হয়তো স্যার জাফর ইকবালের লেখা বইটি কেও আর পড়তে চাইবেনা।অর্থাৎ আমিই যদি বলে দেই তাহলে বই পড়ে আর মজা কই! ! !
১ম এই বলবো জাফর ইকবাল আমার প্রিয় লেখকদের মাঝে একজন।তার এই বইটি আমার প্রচন্ড পছন্দের একটি বই।এই বইয়ে তার শৈশবের খন্ড খন্ড ১৫ টি ঘটনা রয়েছে।
লেখকের বাবার চাকরিতে প্রায় সময় বদলি হতো।তাই সে নানান জায়গায় নানান অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতো।তার সাথে ছোট বেলার মজার কিছু অভিজ্ঞতা যেমনঃ হাতের নিচে রসুন রেখে জ্বর আনা,স্যার দের পানিশমেন্ট, ছয়টি স্কুলে পড়া,স্কুল পালানো,নতুন নতুন বন্ধু।
অর্থাৎ আমাদের জীবন এমন অভিজ্ঞতা রয়েছে তবে তিনি লেখক বলেই জীবনের এসব ছোট ছোট ঘটনাকে এতো সুন্দর করে সাজাতে পেরেছেন।
আমি বলবো বইট অবশ্যই পড়বেন।আমি কথা দিচ্ছি নিরাশ হবেন না।কারণ এই বইটি আপনাকে আপনার শৈশবে নিয়ে যাবেন।রঙ্গীন সব স্মৃতি, রঙ্গীন শৈশবকাল!!
@sahadathossen
Thank You.