Source
রেহানা মরিয়ম করে আজমেরি হক বাঁধন বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন।তবে তার আগের অভিনয়ের সাথে এখন তুলনা করলে বড় একটা পার্থক্য অবশ্যই চোখে পরবে!তাছাড়া কলকাতার নির্মাতা সৃজিত মুখার্জির একটি সিরিজে সে কাজ করেছে এবং সেটা আমার কাছে এক কথায় অসাধারণ লেগেছে!
'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেন নি' নামটা শুনেই প্রথমে অদ্ভুত লেগেছিল!এটা আবার কেমন নাম?!তবে প্রথমে আমি মোহাম্মদ নাজিমউদ্দীনের লেখা এই গল্পের বইয়ের কথা জানতাম না।মুলত বই অবলম্বনে সিরিজটি করা হয়েছে।
সিরিজের নাম: 'রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেন নি'
দেশ : কলকাতা।
অভিনয় :রাহুল বোস,আজমেরী হক বাঁধন,অঞ্জন দত্ত,অনির্বাণ ভট্টাচার্য।
ভাষাঃ বাংলা।
ধরনঃ ক্রাইম,ভৌতিক, অ্যাডভেঞ্চার।
পার্সোনাল রেটিং :9/10
পরিচালকঃ সৃজিত মুখার্জি।
গল্পের বইটা যেহেতু আগে পড়িনি তাই আমার কাছে প্রত্যেকটি পর্বই ছিলো টান টান উত্তেজনাপূর্ণ।শুরু থেকে একদম শেষ পর্যন্ত এই ওয়েব সিরিজটি তার থ্রিলটি ধরে রেখেছে।বলিউডের অভিনেতা রাহুল বোস ভালো করেছে তবে এখানে কেন জানি আমি একজন পারফেকশনকে মিস করেছি।প্রসেনজিৎ বা যশ থাকলে হয়তো যথাযথ হত।অঞ্জন দত্ত তার অংশটুকু খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছে।সবচেয়ে আকর্ষণীয় চরিত্র ছিলো মুশকান জুবেরীর।মুলত তাকে নিয়ে সিরিজের শুরু।মুশকান জুবেরীর চরিত্রে বাঁধন এতটাই সাবলীল ছিলো যাকে বলে এক কথায় ব্রিলিয়ান্ট।
এখন আসি সিরিজের মুল কাহিনীতে।এক অদ্ভুত নামের রেষ্টুরেন্টকে ঘিরে শুরু হয় প্রথম পর্ব।স্থান সুন্দরপুর।কয়েকটি ছেলের মিসিং কেস এর দ্বায়িত্ব পরে রাহুল বোসের উপর।তাদের এই মিসিং কেসে অদ্ভুতভাবে জড়িয়ে আছে মুশকান জুবেরী ও তার রেস্টুরেন্ট!তার জন্য সুন্দরপুরে আসে নিরুপম চন্দ্র(রাহুল বোস)।সাংবাদিকের ছদ্দবেশে সে যায় সেই অদ্ভুত নামের রেস্টুরেন্টে খেতে।এবং সেখানে সে প্রথম মুসকান জুবেরীর দেখা পায়!এই রেস্টুরেন্ট এর মালকিন সে এবং একজন দারুণ শেফও।পেশায় তিনি একজন ডাক্তার ছিলেন তবে বিয়ের সূত্রে তিনি জমিদারের নাতবউ হওয়ায় তার মালিক হোন।তাছাড়া তার সাথে সেখানের আমলা, মন্ত্রী, পুলিশ সব উচ্চতর কর্মকর্তাদের বেশ সুসম্পর্ক দেখা যায় যা যথেষ্ট সন্দেহের!
তবে তার রেষ্টুরেন্টের খাবারগুলোর এতটাই ভিন্ন আর মজাদার যে একবার খাবে সেই এর স্বাদে মোহিত হয়ে যাবে।শুধু যে সুন্দরপুর বা এর আশপাশে এলাকার মানুষ না,দূর দুরান্ত থেকে শয়ে-শয়ে লোক আসে শুধুমাত্র এখানে খেতে।প্রতিদিন কোন না কোন ভি আইপি বা আমলা নেতাদেরও এখানে খাওয়া-দাওয়া করতে দেখা যায়।অনেকে বলেএই রেস্টুরেন্টে যে একবার খাওয়া-দাওয়া করে সে নাকি এই রেস্টুরেন্টের খাবার দ্বিতীয়বার না খেয়ে থাকতে পারে না।তদন্তের জন্য নুরে ছফা একবার রেষ্টুরেন্টে খেয়ে নিজেই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন।এরপর শুরু হয় তদন্ত! ডিবি অফিসার হিসেবে নিরুপম চন্দ্র এর বেশ নাম ডাক আছে।অতীতের সব রেকর্ড দেখে বলা যায় সে নাকি এখন পর্যন্ত কোন তদন্তে বিফল হননি!তার হাত দিয়ে শুরু হলো তদন্ত!মুসকান জুবেরীর আসল পরিচয়ের খোঁজ শুরু হলো।ডাক্তার পেশা ছেড়ে কেনই বা এখানে অদ্ভুতুড়ে নামের এই রেস্টুরেন্টের খুলে বসলেন?এজন্য প্রথমেই রমাকান্তকামার বাবুর কাছ থেকে জমিদার বাড়ি সম্পর্কে জানলেন।তার এই কাজে সার্বিকভাবে সাহায্য করে আতর আলী(অনির্বাণ ভট্টাচার্য )।এখানে আরো এক চরিত্র আসে ফালু।সেটাও একটা রহস্যময় চরিত্র!গোরখোদক ফালু কিভাবে যেন টের পেয়ে যায় গ্রামে কোন মানুষ মারা যাবে,তাই সে আগে থেকে কবর খুঁড়ে রাখে।এত সব রহস্য একের পর খুলে ফেলে নিরুপম চন্দ্র।আর স্পইলার দিলাম না।চমৎকার এই সিরিজ দেখে আশা করি সবারই ভালো লাগবে।
খুবই ইচ্ছা আছে এই মুভিটি দেখা। কিন্তু কখনো সময় পায়নি দেখার। তবে আপনার রিভিউ দেখার পর মুভিটা দেখার ইচ্ছা আরো বেড়ে গেল ☺️
ধন্যবাদ।
ঈদ ছুটিতে দেখা যেতেই পারে :) আমি তো মুভির বিশাল লম্বা লিষ্ট নিয়ে বসেছি 😊
আমি কখনো এ বইয়ের নাম শুনি নাই তবে বইয়ের নামটা খুবই চমৎকার এবং এই কারণে আমি ধৈর্যধারণ করতে না পারে এই পোস্ট টা পড়তে এসেছি 😂।
হাহাহা! আমার কাছে ও এটা চমৎকার লেগেছে। বইটি পড়িনি।সরাসরি ওয়েব সিরিজটি হইচই থেকে দেখেছি।যাই হোক সবারই ভালো লাগার মতো।
আমি নোট করে রাখলাম। পরে কোন এক সময় দেখব।
Congratulations @rodmila! You have completed the following achievement on the Hive blockchain and have been rewarded with new badge(s):
Your next target is to reach 70 posts.
You can view your badges on your board and compare yourself to others in the Ranking
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word
STOP
To support your work, I also upvoted your post!
Check out the last post from @hivebuzz:
Support the HiveBuzz project. Vote for our proposal!