চাঁদপুরে একদিন!

in BDCommunity3 years ago


received_709233180481140.jpeg


হুটহাট কথাটা বরাবরই আমার খুব প্রিয়। জীবনের কিছুটা সময় হুটহাটময় করতে ইচ্ছা করে।যেমন একটি কাজ করতে গেলে হঠাৎ অন্য চিন্তা করে কিছুক্ষণের মধ্যে অন্য জায়গায় ভ্রমণ করা!আসলে একঘেয়েমি জীবনে যখন কোন অবসর থাকে না তখন এটাই সম্বল নিজেকে কিছুটা আনন্দ দেয়ার জন্য!তবে অবসরে ঘুরতে যাওয়ার মজাটাই আলাদা।প্রত্যেক বছরে আমরা পরিবারের সবাইকে নিয়ে দেশের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে যাই।নিজেদের পছন্দমতো নানান জায়গায় ঘুরে বেড়াতে কেই না পছন্দ করে?!তাছাড়া বিভিন্ন জেলা শহরগুলোতে ঘুরতে গেলে একে সময়টা আনন্দে কাটে সাথে সেই জেলার মানুষগুলো কেমন?তাদের নিয়মকানুন বা চলাফেরা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া যায়।বলা চলে নতুন নতুন জিনিস দেখার সাথে নতুন কিছুর শেখার অভিজ্ঞতাও হয়।তাছাড়া দীর্ঘ ব্যস্ততার পরে ভ্রমণ যেমন একদিকে মন সতেজ করে, অন্যদিকে শরীরের সকল জড়তা কাটিয়ে সতেজ করে তুলে।এজন্যই প্রাচীন যুগ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন চিকিৎসায় বলা হয় বায়ু পরিবর্তন আবশ্যক!

received_1052419975335020.jpeg

received_330102655642275.jpeg

কিছুটা নিজেকে সতেজ করার জন্য হঠাৎ ভ্রমণ চাঁদপুরে।বলে রাখা ভালো চাঁদপুর মুলত ইলিশের জন্য বিখ্যাত। আর সে কারণেই এখানে আসা। যতই হোক ইলিশ প্রিয় জাতি আমরা।চাঁদপুরে দুইভাবে যাওয়া যায়।এক স্থলপথে আর দুই নদীপথে।যেহেতু বাস জার্নি আমার জন্য সস্তিকর নয় তাই আমরা দ্বিতীয় পথ, মানে লঞ্চে করার সিদ্ধান্ত নিলাম।তাই আমাদের গন্তব্য চাঁদপুরের লঞ্চ টার্মিনাল সেখান থেকে যেতে হবে বড় স্টেশনে।যাত্রা শুরু সদরঘাট থেকে।এখানে আধাঘণ্টা পর পর লঞ্চ ছেড়ে যায়।ডেকের ভাড়া জনপ্রতি ১৬০ টাকা।তাছাড়া নিচেই চেয়ার সিস্টেম ব্যবস্থা আছে যা জনপ্রতি ২২০ টাকা করে ভাড়া।তাছাড়া সিংগেল ও ডাবল কেবিনেরও ব্যবস্থা আছে।পরিবার নিয়ে গেলে কেবিন সুবিধাজনক হয়।যেহেতু তিন/চার ঘন্টার জার্নি তাই আমরা চেয়ারের সিট গুলোই নিলাম।লঞ্চঘাট থেকে বড় স্টেশন বেশী দূরে না রিকশা করে গেলে ৩০ টাকা বা অটোতে ২০ টাকা ভাড়া নিবে।সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথা হলো চাঁদপুরে যেতে হবে খুব সকালে।নাহলে নদী থেকে মাছ নিয়ে আসলে তা কিছু সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যাবে।তাছাড়া দুই/তিনটি হোটেল আছে মোটামুটি ভালো,সেখানে প্রতি পিস ইলিশমাছ ভাজা ১২০/১৩০ টাকার মতো নিবে।তাছাড়া কাচামাছ নিতে হলে হালি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকার মতো নিবে তবে এখানেও কৌশলী হতে হবে।নাহলে ঠকে যাবার চান্স থাকে।প্রথমেই তারা হালি ১৮০০ বা ২০০০ টাকা চাইবে তাই দামাদামি করাটা ভালোই জানতে হবে আরকি! এখানে বঙ্গবন্ধু পার্ক আছে যা চাঁদপুরের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র।এখানে ছুটির দিনগুলোতে উপচেয়ে ভরা ভিড় থাকে।

received_1599471947085929.jpeg

তাছাড়া যাত্রা পথে চাঁদপুরে বিখ্যাত ভাস্কর্য অঙ্গিকার ও দেখা হয়ে গেল।মাছ খেয়ে দেয়ে রিকশা করে যতটুকু ঘোরা যায়, সেভাবেই দেখলাম আশপাশে। অত কোলাহলপূর্ণ নয়, ছিমছামই বলা চলে।বিকালে তিন নদীর মোহনায় বসে গরম ধোঁয়া উড়ানো চায়ে বেশ আয়েস করেই সূর্যাস্ত দেখলাম।অবশেষে এবার ফিরার পালা!বড় স্টেশন থেকে আবার রিকশা নিয়ে গেলাম লঞ্চঘাটে।লঞ্চ উঠার সময় দেখলাম সূর্য প্রায় পশ্চিম গগনে ঢলে পড়াছে।যেহেতু শীতেকাল,তাই একটু শীত শীত করতে লাগলো।রাতে লঞ্চে উঠার পরিবেশটা সম্পূর্ণ ভিন্ন।মুহূর্তে মুহূর্তে যেন চারপাশের দৃশ্যগুলো অন্যরকম লাগে।

received_460304935465029.jpeg

received_930960014225368.jpeg

লঞ্চ থেকে নদীর পাড়ের দৃশ্য দেখতে বেশ আনমনাই লাগে।বিভিন্ন ট্রলারের লাইটগুলো নদীর পানি লম্বা ছায়া ফেলে দেখতে দেখতে চলে আসলাম আমাদের সেই ব্যস্ত নগরীতে।

এইভাবে চাঁদপুরের ছোট্ট শহরে একটি দিন কাটিয়ে নিজেদের জীবনে আবার ফিরে এলাম।বেশ ছিলো সেই অভিজ্ঞতা আর অচেনা শহর।আসলেই অদ্ভুত সুন্দর একটি দিন ছিল।

Sort:  

Chandpur jaoyar icca ace,khub sighroi jabo in sha Allah

Sokal ae gele khub valo.InshaAllah valo lagbe!

চাদপুর আমার পাশের এলাকা, কিন্তু কখনও যাওয়া হয়নি :-)

Dear @rodmila, we need your help!

The Hivebuzz proposal already got an important support from the community and is close to be funded. However, it misses a few votes to get past the return proposal and your could make the difference!

May we ask you to support it so our team can continue its work this year?
You can do it on Peakd, ecency,

Hive.blog / https://wallet.hive.blog/proposals
or using HiveSigner.
https://peakd.com/me/proposals/199

Thank you!

শুনেছি চাদপুর খুব সুন্দর জায়গা।কিন্তু কখনো যাওয়া হয়নি।খুব ইচ্ছে যাওয়ার।আপনার মাছের ছবি দেখে খেতে ইচ্ছে করছে।আপনার ফটোগ্রাফি গুলো ও খুব সুন্দর লাগছে।

Thank you so much :)