মহেশখালী ভ্রমণ পর্ব ০১

in BDCommunity3 years ago

CollageMaker_20211011_002443392.jpg

ভ্রমণ মানুষকে পরিমিত করে তোলে। আপনি দেখতে পান যে আপনি পৃথিবীতে কত ছোট জায়গা দখল করেছেন।

— গুস্তাভে ফ্লুবার্ট

ফ্লুবার্টের এই উক্তিটা আমার খুব ভালোলাগে।আসলেই তো দালানকোঠার ছোট্ট একটা কক্ষেই তো জীবন কেটে যাচ্ছে!বড় পরিসরে পৃথিবী দেখতে ইচ্ছে করে মাঝে মাঝে। তবে তা সাধ্যের মধ্যে তো থাকতে হবে!

এখনকার সময় ভ্রমণ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।কঠিন করোনার সময়ও আমাদের বাংলাদেশের সমুদ্র সৈকতে যথেষ্ট ভিড় দেখা গেছে।তাছাড়া ভ্রমণে যেতে সবাই পছন্দ করে,হোক সেটা দেশের ভেতরে, কি বাইরে।কম বয়েসি থেকে বয়স্ক ব্যক্তি পর্যন্ত মানুষের উৎসাহ বরাবরই বেশি।তাই পর্যটকদের ভিড়ে প্রবীণদের সংখ্যাটাও বেশ লক্ষণীয়।

সমুদ্র সব সময় আমাকে টানে!এজন্যই বারবার যেতে ইচ্ছা করে সমুদ্র দেখতে। অবশেষ ঘুরেই আসলাম!তবে এইবারের ভ্রমণটা একটু ভিন্ন, কারণ মহেশখালী দ্বীপের ভ্রমণের জন্য!
মহেশখালী দ্বীপ কক্সবাজার জেলার একটি পাহাড়ি দ্বীপ।কক্সবাজার শহর থেকে দ্বীপের দূরত্ব মাত্র ১২ কিলোমিটার ।এর আয়তন ৩৬২ বর্গ কিলোমিটার পশ্চিমে।মহেশখালী আরো ৩টি দ্বীপ রয়েছে। সোনাদিয়া, মাতারবাড়ি, ধলঘাটা।এই তিন দ্বীপে অবশ্য যাওয়া হয়নি।তবে এখানের পান, মাছ, শুটকি, চিংড়ি, লবণ ও মুক্তার উৎপাদনের জন্য বেশ নাম ডাক আছে।তবে মূল আকর্ষন বিষয় মিষ্টি পান। দুঃখজনক বিষয় হলো আমরা মহেশখালী থেকে ফেরার পথে এই পান খেয়েছিলাম এবং সারাপথে কিছুটা আফসোসও ছিলো কেন কয়েকটি পান সাথে করে নিয়ে আসলাম না!প্রিয় মহেশখালীর মিষ্টি পান তোমাকে আমার মনে পড়ে!
মহেশখালীর দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে.....
সোনাদিয়া দ্বীপ, রাখাইন পাড়া,স্বর্ণ মন্দির,শুটিং স্পট,আদিনাথ মন্দির ও আদিনাথ মেলা,বৌদ্ধ কেয়াং বা মন্দির, ও মৈনাক পর্বত।

মহেশখালীতে থাকার জন্য ভালো মানের তেমন কোন হোটেল নেই।কেননা কক্সবাজার থেকে দিনের বেলায় সবাই মহেশখালী ভ্রমণে যেয়ে থাকেন।এই কারণে এই দ্বীপে এখনও সেভাবে থাকার হোটেল বা রিসোর্ট বানানো হয়নি।তাই দ্বীপ ভ্রমণ শেষে আবার সবাইকে কক্সবাজার ফিরে আসতে হবে। তাই এটা একদিনের ভ্রমণ বলা যায়।একদিনে এত জায়গা ঘুরে বেড়ানো কিছুটা কষ্টকর।তবে আদিনাথ পাহাড় আর মন্দির একবারে সাথেই। শুটিং স্পট একেবারেই লাগোয়া।তাই একসাথে খুব সহজেই তিনটি জায়গা ঘুড়ে বেড়ানো কিছুটা সোজা।তাছাড়া করোনার জন্য আপাতত স্বর্ণ মন্দির বন্ধ আছে।তাই সেখানেও যাওয়া যাবে না।

মহেশখালীতে সারা বছর লবন চাষ হয়না।শুটকি অনেকেই খুব পছন্দ করেন।তাই তাদের অবশ্যই শুটকি পল্লী যাওয়া উচিৎ। এটা সত্যি যে বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো শুটকি ওখানে পাওয়া যায়।যদিও সবই এক রুটে।তারপরও কিছুটা টানা ভ্রমণের অভ্যাস না থাকলে কিছুটা ক্লান্ত লাগবেই। যেহেতু সব কিছু কাছাকাছি, তাই সময়ের মিল রেখে আমাদের মহেশখালী ভ্রমণ শুরু করলাম।

Sort:  

Congratulations @rodmila! You have completed the following achievement on the Hive blockchain and have been rewarded with new badge(s) :

You got more than 50 replies.
Your next target is to reach 100 replies.

You can view your badges on your board and compare yourself to others in the Ranking
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word STOP

একদিনে এতোগুলো জায়গায় ঘুরাটা আমার কাছে কেনো যেনো মজা বা ভালো লাগার চেয়ে একটু বিরক্তিই লাগে। কারণ ভ্রমণ করতে হয় মনের ইচ্ছা মিনিটে।যদিও এটা আমার ব্যাক্তিগত মতামত।

একদিনে অনেকগুলো জায়গায় ভ্রমণ আসলেই ক্লান্তিকর, তবুও এক রুটে যতটুকু যাওয়া যায়, সেভাবেই আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম :)