হ্যালো বন্ধুরা,
ক্যামন আছেন আপনারা সবাই। আশা করি ভালোই আছেন। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের একটি বহুল আলোচিত বিষয় হচ্ছে, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ইস্যুতে পুরো বাংলাদেশ দুইভাগে বিভক্ত। আমি এর আগেও আমার বিভিন্ন ব্লগ এ বঙ্গবন্ধু কে নিয়ে লিখেছি৷ তিনি আসলে আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি। তার অস্তিত্ব কে অস্বীকার করলে, বাংলাদেশ কে মেনে নেয়া সম্ভব নয়।
বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য বানানোর উদ্যোগ নিলে, এদেশের আলেম ওলামা দের সাথে একটা মনস্তাত্ত্বিক বিরোধ অথবা নীতির বিরোধ তৈরী হয়। আপনারা জানেন, সাংবিধানিক ভাবে আমাদের দেশ ধর্ম নিরোপেক্ষ হলেও, বাংলাদেশ একটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশ। সে কারনে, সরকারের কনো নীতি জদি, ইসলামের বিপক্ষে যায় সেটা আমাদের সরকার জনমতের ভিত্তিতে দ্বিতীয়বার ভেবে দেখবে এটাই স্বাভাবিক।
তবে ভাস্কর্য ইস্যুতে সরকারের পক্ষ থেকে জোরালো অবস্থান ব্যাক্ত করা হয়েছে এবং তারা আলেম ওলামা দের সাথে আলোচনার কথা বলেছেন। তারা জানিয়েছেন , সমাধান খুজে বের করা হবে। এটা বৃহত কনো সমস্যা নয়৷
বাংলাদেশে বাস করতে হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করে বেচে থাকতে হবে, এটা স্বাভাবিক। এই দেশে বাস করলে দেশের সংবিধান এর প্রতি সম্মান দেখিয়েই বাস করতে হবে৷ এই দিক থেকে এই স্বাধীন দেশে, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য থাকবে, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের প্রতি মানুষ সম্মান দ্যাখাবে এটা হওয়াই বাঞ্চনিয়।
আবার অন্য দিক থেকে চিনতা করলে, এদেশের ৮৫ ভাগ মানুষ মুসলিম। এদেশের, বেশির ভাগ মানুষ মুসলিম হওয়ার কারনে, মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতির বিরুদ্ধে যায়, এমন কিছু কখনোই সরকারের করা উচিৎ হবে৷ না। তারপর, যদি কি না সেটা আবার আলেম ওলামা দের বাধার মুখে পরে৷
এর মাঝেই কিছু মানুষ আবার, বিভিন্ন নাম এ এই ভাস্কর্য কে ব্যাবহার করে হালাল করার চেষ্টা করে চলেছে। কেওবা আবার এখান থেকে রাজনীতির সমীকরণ আকার চেষ্টা করছে৷
যদিও, আমি মনে করি এগুলো একটা বহুদলীয় গনতান্ত্রিক দেশের রাজনৈতিক সৌন্দর্য। এখন এটা দ্যাখার বিষয় জে, সরকার আমাদের আলেমসমাজ এর সাথে মিলে কোন উপায়ে সমাধান খুজে বের করে। এটা অবশ্যই আমাদের দেশের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ। দুই ধরনের সংস্ক্রিতির বাস্তবায়ন এতোটাও সোজা নয়। আমরা আধির আগ্রহের সাথে অপেক্ষা করছি নুতন বছরে নুতন কনো সম্ভবনা, আশার বানী জানার জন্য৷