হেলো,আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন?
আজকে আমি আমার সুন্দর একটি সারাদিন আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।আশা করছি কারো মন্দ লাগবেনা,
সারা রাত ধরে গল্পটল্প লিখে ভোরের আলো ফুটতে তখন মিনিট খানেক দেরি। ওই সময়েই শুনতে পেলাম মুয়াজ্জিন মায়াভরা কণ্ঠে ফজরের আজান দিচ্ছে।ভাবলাম উঠে নামাজটা পরে এরপর ঘুমাই। কিন্তু! কিন্তু উঠবো উঠবো করতেই যে কখন ঘুম চলে আসলো টের ই পেলাম না!
আম্মুকে এসব বললে আম্মুর বক্তব্য হয়, " এসব শয়তানে করে।তুই ও শয়তানের কথা শুনছ তাই আরকি। শয়তান ভালো মানুষকে তো ধরবে না, তোকেই ধরবে। "
মানে আম্মুর রোজকার আমাকে শুনানো কথা আরকি।মন্দ লাগেনা খুব একটা এসব কারণ জানি এসবের মানেটা হলো আমার ভালোর জন্যই।সে যাক, প্রায় সাড়ে নটার দিকে ফোন দিলো সুমাইয়া। আমার বাসার পাশেই তার বাসা। ফোন দিয়ে তো এক হুলুস্থুল কান্ড বাধিয়ে দিয়েছে।কারণ টা বলছি শুনুন, যথারীতি সুমাইয়া ফোন দিলো বললো, " ওই নুসু,তাড়াতাড়ি আয়।স্যার দশটায় যাইতে বলছে। " আমি বললাম, " ওকে, দোস্ত। " এরপর ফোন রেখে আমি আবার ঘুম।এরপর আবার দশ মিনিট পর ফোন দিয়ে বললো, " কিরে কই তুই? " আমি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে বললাম, " এইতো দোস্ত রাস্তায়। "
এরপর আর কি!যা না তা বলতে বলতে চোখ থেকে ঘুম ছাড়িয়েই ফেললো এক প্রকার ! এরপর তাড়াতাড়ি উঠে একসাথে সিএনজিতে বসে কলেজে ঢুকলাম।এইযে দেখছেন এটাই আমার কলেজ।
আমার কলেজের গেইটে ঢুকার পর কলেজের ১ম দালানের ছবি
এরপর গেলাম দুই তালায়।আম্মু একটা কথা বলে, " পাতিল থেকে ঢাকনা গরম "। আসলেই তাই! কলেজের অফিস রুমে ঢুকতেই অফিসের এক আন্টি বলে উঠলো, " কি জন্য আসছো তোমরা কাজের টাইমে? "। আমরা বললাম, " আন্টি,এইচএসসি র টেস্টিমোনিয়াল আর সার্টিফিকেট নিতে আসছি। " এরপর আন্টি বললেন, " এখন আসছো কেনো?একসাথে আসো নাই কেনো? এখন পারবোনা। আমার কাজ আছে যাও। " আমরা আর কি করবো! চলে আসলাম নিচ তালায়।
নিচ তালায় এসে কিছুক্ষণ আড্ডা দিলাম।অনেক অনেক গুলো ছবি তুললাম।আসলে বান্ধুবিরা একসাথে হলে বা বসলে যা হয় আরকি! এক স্টাইলেই বোধ হয় একশো টির ও বেশি ছবি তুলে ফেলি আমরা।এই যে একটি/দুটি প্রমাণ দিলাম তারই,
আমার কলেজ লাইফের সব ক্রাইম পার্টনার গুলো
আমাদের আরেকটি বদ অভ্যাস আছে। আর সেগুলো হলো,ধরেন কেও একজন সুন্দর একা একা একটি ছবি তুলতে দাঁড়ালো বা দাঁড়িয়ে ফোন উপরে তুললো একা সেলফি তুলার জন্য। অমনি আমরা সবাই তার ছবিটা নষ্ট করতে হাজির হয়ে যাই। ব্যাপারটা দেখতে মজার না হলেও করতে খুব মজা লাগে। কেনো তার উদাহরণ দিতে পারবোনা। তবে পৈশাচিক একটা আনন্দ পাওয়া যায়।তারই একটা উদাহরণ দিলাম। দেখে নিবেন আর ছবিটি দেখলেই বুঝবেন সবাই আসলেই কতটা আমুদে।
মাঝের বান্ধুবিটা সেলফি তুলতে নিয়েছিলো আর আমরা সবাই হাজির হয়ে গিয়েছি
এরপর সার্টিফিকেট নিলাম।আলহামদুলিল্লাহ্ খুব কথা শুনিয়ে দিয়েছে।আমাকে সার্টিফিকেট দেওয়ার সময় জিজ্ঞেস করলো টেস্টিমোনিয়াল নিয়েছ?আমি বললাম," আন্টি মনে নেই আসলে আমার,অনেক দেরি হয়েছে তাই। " আন্টি বললো," কিসের দেরি!কয়দিন হইছে কলেজ থেকে গেছ? " তারপর বললো, ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা ব্লা।মানে নিজ নিজ দায়িত্বে বুঝে নিবেন।এখন বুঝাতে গেলে আবার মন মেজাজ দুটোই খারাপ হয়ে যাবে।
এরপর চুপচাপ বের হয়ে চলে আসলাম পাশের প্রিয় ফুচকার দোকানে।আহা!কতদিন পর প্রিয় এই জায়গায়!কত মাস পর এই দোকানটায় পায় দিলাম!
ইশশশশ! কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে এই দোকানটার সাথে।দোকানে ঢুকে বসতেই ফুচকাওয়ালা মামা জিজ্ঞেস করলেন, " কেমন আছেন? " আমরা বললাম, এইতো মামা আছি।ফ্রিজ খালি কেনো?আইন্সক্রিম কই?" মামা উত্তর দিলেন, " আপনারা তো আসেন না তাই আর কি। " বুঝলাম করোনার লস সবার কাঁধেই চেপে বসেছে।
এরপর আসলো সে অপেক্ষার প্রহর শেষ করে।সে আরকি! মানে ফুচকা।কত মাস পর খাবো আজ এই ফুচকা।দেখেই মনটা খুশিতে নেচে উঠে।
তাড়াতাড়ি পাঁচ জনের প্লেইট একসাথে করে একটা ছবি তুলে ফেললাম।
পাঁচ প্লেইট ফুচকা
এরপর যার যার প্লেইট সে সে নিয়ে বেশি করে মরিচের গুড়ো আর গরম মশলা দিলাম।এরপর অমৃত স্বাদের সেই টক ফুচকার ভেতর ভরে টুক করে একটা মুখে পুরে দিলাম।আহা যেনো পৃথিবীর বুকে স্বর্গ নেমে আসলো। আচ্ছা এই জিনিষটা কি আমার কাছেই এতো প্রিয় নাকি সবার কাছেই!
এক প্লেইট স্বর্গ, না না! সে কি! এ যে এক প্লেইট ফুচকা
এরপর চলে গেলাম একটি রেস্টুরেন্টে দুপুরের লাঞ্চ করতে।ভাবছেন কি খাদক মেয়েগুলো!ফুচকা কি কোনো খাওয়া হলো?ফুচকা তো হাওয়ার মতো।ভালোবাসার হাওয়া।
মজা করছিলাম কিন্তু,কিছু মনে করবেন না।
যাই হোক ওইখানেও অনেক মজা হলো।ওইখানের কথা অন্য একদিন বলবো। অনেক কিছু বলার আছে,অনেক এক্সপেরিয়েন্স জানানোর আছে।
ছবি তুলতে গেলেই পাশ থেকে কেও একজন হাসির কথা বলবেই
আজকের জন্য আমার পোস্টটি এখানেই শেষ করছি।আশা করছি সবার ভালো লাগবে। সবাই ভালো থাকবেন , সুস্থ থাকবেন।অবশ্য জানাবেন আমার আজকের পোস্টটি আপনাদের কেমন লাগলো,ধন্যবাদ সকলকে।
লিখাঃ নূসুরা নূর।
Congratulations @nusuranur!
You raised your level and are now a Minnow!
Check out the last post from @hivebuzz:
Hi @nusuranur, your post has been upvoted by @bdcommunity courtesy of @rehan12!
Support us by voting as a Hive Witness and/or by delegating HIVE POWER.
JOIN US ON