হেলোও,আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন?
আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার লেখা একটি গল্প শেয়ার করছি।গল্পটির আজকে সপ্তম পর্ব চলছে।এর আগের পর্ব গুলো আমার এই আইডিতেই পেয়ে যাবেন।আশা করছি সবাই পড়বেন,
সে ভেবেছিলো হয়তো পানি অন্তত স্বাভাবিক হবে কিন্তু পানির বদলে তাকে দেওয়া হলো কালো কোনো অদ্ভুত কিছু যা থেকে বিদ্ভুটে রকমের গন্ধ আসছিলো।আসলে অদ্ভুত পানি গুলো হলো সেই জগৎ এর পানি,যেই জগৎ এ সে এখন আছে। তাই রুমা সেসব পানি আর ছুঁয়ে ও দেখেনি।এরপর রুমা টেবিলের সামনের চেয়ারটি টেনে বসলো।বড় রাজকীয় টেবিল,রাজকীয় চেয়ার।এরপর প্লেটে হাত দিলে অল্প কিছু ভাত মুখে দিলো।মুখে দেওয়ার পর মনে হলো সে তার সারাজীবনেও এমন অস্বাভাবিক ধরনের ঝাল সে খায়নি। তার মনে হতে লাগলো একটা মানুষ কয়েক হাজার মরিচ মুখে দিলে যেমনটা ঝাল লাগবে তার ঠিক তেমন ঝাল করতে লাগলো।তার মনে হচ্ছিলো তার মুখ বোধহয় ঝালে পুরে যাচ্ছে তাই তার চোখ ও লাল হয়ে গেলো আর চোখ দিয়ে টপ টপ করে পানি পরতে লাগলো। এদিকে পানিও খেতে পারছেনা কারণ পানি গুলো থেকে অস্বাভাবিক গন্ধ আসছে আর পানির রঙ ও কেমন কালো কুচকুচে।ঠিক যেমন কোনো বড় নালা বা বড় নর্দমার পানি হয় ঠিক তেমনটাই।তাও রুমা চোখমুখ বন্ধ করে পানিটা মুখে তুললো আর নিশ্বাস বন্ধ করে, চোখ একদম জোর করে বন্ধ করে পানিটা এক নিমিষে শেষ করে ফেললো,তার মনে হচ্ছিলো এই বুঝি তার বমি চলে আসবে। কিন্তু এমন কিছুই হলোনা। তার পাশে দাঁড়ানো এক নেকড়ে মানব খুব নিচুস্বরে ধীরগতিতে বলতে লাগলো, " আপনাকে এসব সব শেষ করতে হবে, এটাই গডের হুকুম।রুমা আর একটি বিশেষ ব্যাপার খেয়াল করলো যে ভাত গুলো মুখে দেওয়ার পর যেমন অস্বাভাবিক ঝাল লাগছিলো কিন্তু পানিটা খাওয়ার একদম সাথে সাথেই তার ঝাল মিনিষেই কোথায় যেনো গায়েব হয়ে গেলো।খুব অদ্ভুত ব্যাপার! কারণ সাধারণ কোনো পানি খেলে এতো বেশি ঝালের প্রভাবটা এতো সহজে চলে যাওয়ার কথা নয়। পানিটা কালো এটাও মেনে নেওয়া যায় কিন্তু একটাই সমস্যা আর তা হলো পানিটা অস্বাভাবিক বিদঘুটে গন্ধ। এরপর রুমার কিছুই করার নেই তা টের পেয়ে রুমা ভাত গুলো মুখে দিয়েই পানি দিয়ে গিলে ফেলছিলো।কাজটা খুব কষ্টকর কিন্তু তার পরিবারকে বাঁচাতে রুমার হাতে আর কোনো রাস্তা খোলা নেই। তাই তাকে বাধ্য হয়ে এসব করতে হচ্ছে।এরপর রুমাকে বিশ্রাম করার জন্য একটা ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া হলো।সেখানে সে দেখলো তার মতই সাধারণ
কয়েকটি মানুষ লম্বা হয়ে হয়ে ঘুমিয়ে আছে।প্রত্যেকটা মানুষই গভীর ঘুমে মগ্ন কিন্তু সবার চেহারাতেই যেনো কেমন একটা চাপা কষ্ট লুকিয়ে আছে।তারা ঘুম কিন্তু তাদের মুখ দেখে মনেই হচ্ছেনা যে তারা বিশ্রাম নিচ্ছে বা নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে আছে।হঠাৎ রুমার চোখ দুটোও আস্তে আস্তে বন্ধ হতে লাগলো।রুমার তখন মনে হচ্ছিলো সে যেনো কয়েকশ বছর ঘুমায়নি।তার খুব ঘুমের প্রয়োজন,খুব বেশি।এভাবেই সেও গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলো।ঘুমের মধ্যেই রুমা মনে হলো রুমা যেনো আটকে গেছে!
রুমা রুমার নিজের স্বপ্নের মধ্যে আটকে গেছে!
রুমা স্বপ্ন দেখতে লাগলো, রুমার মেয়ে মিনহা হসপিটালের বেডে শুয়ে আছে।তার হাতে সেলাইন লাগানো। ভালো ভাবে দেখলে ঠিক সেলাইন না,রক্তের ব্যাগ।তার মনটা খুব খারাপ হয়ে গেলো কারণ তার মেয়ে মিনহার রক্তের ঘাড়তি কেনো হয়েছে তা সে ভালোভাবেই জানে।আর এটার জন্য যে সম্পূর্ণ সে দায়ী তাও সে খুব ভালোভাবেই জানে।এরপর রুমা স্বপ্নে দেখতে লাগলো তার স্বামী আলতাফের খুব করুণ অবস্থা কারণ সে এক দৌড়ে এই ডাক্তারের কাছে যাচ্ছে, আরেক দৌড়ে ওই ডাক্তারের কাছে যাচ্ছে।আবার রুমা কে খুজতে বের হচ্ছে।আলতাফ যেনো একা, তার এ পৃথিবীতে যেনো কেও নেই!কি অদ্ভুত!!
এরপর রুমার ঘুম ভেঙ্গে গেলো। এরপর সে জেগে উঠে আস্তে আস্তে বসে পড়লো।তার মাথাটা খুব ধরেছে। কেমন যেনো মাথা ঘুরছে।
এখন রুমার দ্বিতীয় কাজ করার সময়।এখানে একটা বড় গাছ আছে ওই গাছের কাছে নেকড়েদের সমাজের কেও যেতে পারেনা ওই গাছের একটা শিকড় রুমাকে এনে দিতে হবে।এসব ভাবতে ভাবতেই রুমার সামনে এসে হাজির হলো একটা নেকড়ে মানব। সে আস্তে আস্তে ঘরঘর করে বলতে লাগলো এখন রুমাকে যেতে হবে সেই বড় গাছের কাছে।আস্তে আস্তে তারা বড় গাছটির পাশে গিয়ে দাঁড়ালো। গাছটি দেখতেই রুমা আৎকে উঠে দুইহাত পিছিয়ে গেলো আর সেই সাথে রুমার চোখ বড় বড় হয়ে গেলো।কারণ গাছটি ছিলো সম্পূর্ণ......
চলবে....
ধন্যবাদ গল্পটি পড়ার জন্য।গল্পটির সামনে পাবেন আরো নতুন নতুন রহস্য।রহস্যগুলো জানতে চাইলে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।আর অবশ্যই আপনাদের মতামত জানাবেন। ধন্যবাদ সকলকে পোস্টটি বা গল্পটি পড়ার জন্য।
লিখাঃ নূসুরা নূর।