হেলোও,আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন?
আজকে আমি আপনাদের সাথে আমার লেখা একটি গল্প শেয়ার করছি।গল্পটির আজকে পঞ্চম পর্ব চলছে।এর আগের পর্ব গুলো আমার এই আইডিতেই পেয়ে যাবেন।আশা করছি সবাই পড়বেন,
প্রাণীটা আলতাফের ব্যাপারে বলতে লাগলো, " আলতাফের তখন ছোট বেলা।একদিন আলতাফ তার বাড়ির পাশে যে জঙ্গলটা আছে সে জঙ্গলে খেলা করতে গিয়েছিলো।আর খেলতে খেলতেই সে পেয়ে যায় আমাদের দুনিয়ার এক টুকরো পাথর, সে পাথরটি ছিলো খুব তীক্ষ্ম অনেকটা ছুরির মতো ধারালো।আর সে পাথরটা কোনো সাধারণ পাথর ছিলো না। সে পাথর দিয়ে আমাদের দুনিয়ার খারাপ প্রানীগুলোর হাত কেটে নেওয়া হতো।পাথরটি দেখতে ছিলো খুব মোহনীয় আর সেই মোহনীয় শক্তি টেনে নিয়েছিলো আলতাফ কেও আর আলতাফ পাথরটি ধরতেই হাত কেটে যায় আলতাফের আর পাথরটি ধরার অধিকার ছিলো আমাদের দুনিয়ার ভালো প্রাণীদের অর্থাৎ ভালো কোনো প্রানী পাথরটি হাতে নিয়ে খারাপ কারো হাত কাটতো।সেই অনুযায়ী আলতাফ ও আমাদের দুনিয়ার একজন হয়ে গেলো কিন্তু আলতাফ তো আমাদের সময়ে জন্ম নেওয়া মানুষ হয় আর সে কারণেই আলতাফকে এই দুনিয়ায় আনার কোনো ব্যবস্থা আমরা করতে পারছিলাম না।অন্যদিকে আলতাফের রক্তে ওই পাথরটি রঙ্জিত ছিলো সে কারণেই আবার আলতাফের রক্ত লাগলেই পাথরটি তার ক্ষমতা ফিরে পাবে।আমরা অনেকবার অনেকভাবে আলতাফের রক্ত নেওয়ার চেষ্টা করেছি কিন্তু কেনো জানিনা কোনো না কোনো ভাবে আলতাফ বেঁচে গিয়েছে।আর খুব অদ্ভুত ভাবেই আলতাফের ঘরেই জন্ম নিলো আমাদের সময়ে দু দুটো সন্তান।আর সেই সন্তানের রক্তে আছে আলতাফের রক্ত।আর তোমার ছেলের ওই হাত কেটেই আমরা আমাদের পাথরকে আবার আগের শক্তি ফিরিয়ে দিয়েছি।আমরা এখন চাই মিজানকে ফিরিয়ে দিতে।এমনিতে আমাদের সময়ে হওয়া কোনো বাচ্চাকে আমরা ফিরিয়ে দিই না,আমাদের সম্প্রদায়ের ই বানিয়ে ফেলি কিন্তু তোমার ছেলের কারণে আমাদের মূল্যবান পাথর রক্ষা পেয়েছে তাই আমরা চাই তোমাদের মুক্তি দিতে।কিন্তু আমরা চাইলেই পারছিনা কারণ ব্যাপারটি এতো সোজা না।এখানে আসাটা যেমন বিপদজনক তেমন এখান থেকে যাওয়াটাও বিপদজনক।আর সে বিপদের সাথে মোকাবেলা করতে হবে তোমাকেই।তা না হলে আমরা মিনহাকেও এখানে নিয়ে আসবো।আর তোমাকে এখানে আনানোর জন্যই তোমার মেয়ে মিনহার রক্ত পান করিয়েছি কারণ মিনহা আমাদের সময়ে জন্ম নেওয়া মানুষ আর এখন তোমার শরীরেও আছে মিনহার রক্ত।" এসব বলেই ওই কদাকার প্রাণীটা অট্টহাসিতে ফেটে পড়লো।আর রুমা কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে বসে পড়লো।এরপর প্রাণীটা আবার বলতে লাগলো, " আর তোমাদের দুনিয়া থেকে আমাদের দুনিয়ায় ঢুকার রাস্তা হলো এই কফিন আর তাই আমরা আলতাফ কে বশ করে এটা কেনালাম।" রুমা হঠাৎ চোখ মুখ শক্ত করে বললো তাহলে এখন আমার সন্তানদের বাঁচাতে আমার কি করতে হবে? প্রাণীটা বললো সব ই এখন বলছিনা।কারণ আমাদের গডের সাথে আগে কিছু কথা বলতে হবে,গড ই তোমার কাজ নির্ধারণ করবে।তবে একে একে বলবো।আজকে তুমি আমাদের দুনিয়াটা ঘুরে দেখো।হঠাৎ প্রাণীটা অনেক বেশি হিংস্র হয়ে বললো, "আর ভুলেও কাজ শেষের আগে মিজানের নাম নেবে না,নিলে পুরো পরিবারকে জ্যান্ত ই খেয়ে ফেলবো।" কথাটা বলার সাথে সাথেই প্রাণীটা হাওয়ায় মিলিয়ে গেল।আর ওইদিকে আলতাফ পাগলের মতো রুমাকে খুজতে পাগলো আর মিনহাকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হলো কারণ আলতাফ ভোরে উঠে রুমাকে খুজতে খুজতে মিনহার পাশে দাড়াতেই দেখে মিনহার মুখটা কেমন ফেঁকাসে হয়ে আছে আলতাফ তাই মিনহা মিনহা বলে চিল্লাতে লাগলো এরপর কি করবে না করবে বুঝতে না পেরে কোনো রকমে গাড়ির চাবি আর মানিব্যাগটা পকেটে নিয়ে এরপর মিনহাকে কোলে নিয়েই দৌড়ে গাড়িতে উঠলো। এরপর হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে জানলো মিনহার শরীরের রক্ত অনেক অনেক বেশি কম মানে মৃত্যু প্রায় এমন।তাই আলতাফ মিনহাকে দুই ব্যাগ রক্ত দিলো আরো দুইজন মানুষ জোগাড় করে আরো চারব্যাগ রক্ত দিলো।এরপর মিনহাকে হাসপাতালে রেখেই আলতাফ রুমাকে এখানে সেখানে খুঁজতে লাগলো।রুমাকে খুঁজতে খুঁজতে প্রায় রাত হয়ে গেলো কিন্তু রুমা যেনো ভোষবাজীর মতো কোথায় উবে গেলো।আলতাফ ক্লান্ত হয়ে আবার হসপিটালে ফিরে এলো এসেই দেখে মিনহা মা মা করে কান্না করতে করতে অস্থির হয়ে গেলো।তাই আলতাফ কোনো রকমে মিনহাকে বুঝালো সে মিনহার দাদী অনেক অসুস্থ তাই মা গ্রামে গেছে।আর এইদিকে রুমা এইবার আস্তে আস্তে হাঁটতে লাগলো।রুমার মনে হতে লাগলো এর চেয়ে বিশ্রি জায়গা সে মনে হয়না তার পুরো জীবনেও দেখেছে কারণ জঙ্গলটির যেখানেই পা দিচ্ছে সেখান থেকে লম্বা লম্বা কতগুলো লকের মতো সরে যাচ্ছে আর সেগুলোর মুখ দিয়ে পরছে সবুজ সবুজ আঠালো লালা এরপর একটু দূরে তাকাতেই দেখলো ওই প্রাণীটার মতোই আরেকটা প্রাণী সে একটা মানুষ খাচ্ছে আর তা খুবই বিভৎস ভাবে।প্রানীটা প্রথমে ওই মরা লাশটার হাত ছিড়ে ফেলেছে টান দিয়ে।এরপর ওই হাতের ছিড়া অংশ থেকে কামড় দিয়ে দিয়ে চামড়া উঠিয়ে ফেলে দিলো এরপর মাংসগুলো খেতে লাগলো।এরপর খাওয়া শেষ হলে লাশটার মুখের মধ্যে দুই নখ ঢুকিয়ে দুদিকে টেনে ছিড়ে ফেললো এরপর গলার মধ্যে হাত ঢুকিয়ে দিয়ে টেনে টেনে বের করতে লাগলো নাড়িভুঁড়ি আর হাসতে হাসতেই সেসব খেতে লাগলো।প্রাণীটার কদাকার মুখের দুই পাশ দিয়ে বের হয়ে যেতে লাগলো অনেকটা রক্ত আর অনেক নাড়িভুঁড়ি ও কারণ সে পাগলের মতো খাচ্ছিলো।এসব দেখেই রুমা গলগল করে বমি করে দিলো।আর সেখানেই অজ্ঞান হয়ে পরে রইলো।এরপর যখন রুমার জ্ঞান ফিরলো তখন সে দৃশ্য দেখার জন্য রুমা একেবারেই প্রস্তুত ছিলোনা।যে বিভৎস দৃশ্য রুমা নিজের চোখে দেখলো তা ভাষার ও অতীত, ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয় ই।রুমা দেখলো তার একদম পাশেই শত শত লোকের বুক টান দিয়ে ছিড়ে কদাকার প্রাণীগুলো......
চলবে.......
ধন্যবাদ গল্পটি পড়ার জন্য।গল্পটির সামনে পাবেন আরো নতুন নতুন রহস্য।রহস্যগুলো জানতে চাইলে অবশ্যই শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে।আর অবশ্যই আপনাদের মতামত জানাবেন। ধন্যবাদ সকলকে পোস্টটি বা গল্পটি পড়ার জন্য।
লিখাঃ নূসুরা নূর।
Your content has been voted as a part of Encouragement program. Keep up the good work!
Use Ecency daily to boost your growth on platform!
Support Ecency
Vote for Proposal
Delegate HP and earn more
Congratulations @nusuranur! You have completed the following achievement on the Hive blockchain and have been rewarded with new badge(s) :
Your next target is to reach 500 upvotes.
Your next target is to reach 2500 upvotes.
You can view your badges on your board and compare yourself to others in the Ranking
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word
STOP
To support your work, I also upvoted your post!