প্রতিদিনের মতো আজো জীপের হর্নে ঘুম ভাঙলো সেলিনা রহমানের।রাত এখন প্রায় ১২ তা বেজে গেছে।কিন্তু সে
জানে তার স্বামী ১১ টার আগে কখনই ফিরেন না।তাই ছোট মেয়ে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন । আর প্রতিদিন গাড়ির হর্নেই
ঘুম ভাঙ্গে আর বাসার দরজা খুলে দেয় স্বামীর জন্য।আজো তাই করলেন।তার স্বামী প্রতিদিন বাসায় ফিরেই তার
আলাদা করা একটি রুমে যায় তার পর সে রুম থেকে বের হয়ে ফ্রেশ হয়ে জামা কাপর পাল্টে খাবার খেতে আসে।
এবার রফিক সাহেব তার বউকে জিজ্ঞাসা করলো মেয়ে কখন ঘুমিয়েছে।সেলিনা রহমান বললেন এই তো এক
ঘণ্টা হবে আর শোনো আজ মেয়ে তোমার কথা বার বার জিজ্ঞাসা করছিল।তাই বিকেলে তোমাকে ফোন করেছিলাম ।
কিন্তু তুমি তো ফোন উঠালে না।
এবার রফিক সাহেব একটু কষ্ট নিয়ে বললেন, কি আর করবো বল??পরের চাকরি করি তাই তারা যা আদেশ করেন
তাই করতে হয়।কাজে অনেক ব্যস্ত ছিলাম তাই ফোন উঠাই নি।এর পর সেলিনা রহমান কাঁদো কাঁদো স্বরে বললেন
আমি বুঝি না তুমি কিসের চাকরি করো?বিয়ের আগে বলছিলা বড় একটি কোম্পানিতে ভালো পোষ্টে চাকরি কর।
আমাদের বিয়ের ৭ বছর কেটে গেল এখনো বুঝলাম না জানলাম না তুমি কোন কোম্পানিতে চাকরি করো।
বউ কে তো একটি দিন নিজের অফিসে নিতে পারতে তাও নাও নি।সে আরও দুঃখ নিয়ে বলতে লাগলো আচ্ছা তুমি
বলতো তুমি আমকে বিয়ের পর দিন থেকে কতো টুকু সময় দিছো??তুমি তো বিয়ের পর দিন রাতে আমাকে ঘরে রেখে
কই যেন গেলা আর বললা যাইতে হবে অফিসে কাজ আছে।আজ পর্যন্ত তুমি আমাকে আমার মন মতো করে সময় দিলা
না ।ছুটির দিন গুলো তে তুমি হুটহাট বাসা থেকে বেরিয়ে পরো।কই যাও আর কি করো কিছুই কখন জানতে চাই নি।
কিন্তু আমাকে বলতো এ ভাবে কি কোন নারীর জীবন চলে?তুমি আমার স্বামী সেই হিসেবে আমি তোমার কাছে
অনেক কিছুই চাইতে পারি কিন্তু চাইনি।একটু সময় কি আমাকে দেয়া যায় না আমি কি এতই অবহেলিত??
রফিক সাহেব চুপ করে বউয়ের কথা শুনতে ছিলেন ।
এ দিকে তার খাওয়া শেষ।এর পর তারা শোবার ঘরে গেল তার পর বিছানায় গিয়ে ঘুমিয়ে থাকা ছোট মেয়ের কপালে
রফিক সাহেব একটা চুমু খেল।এর পর বউকে বলল আজ অনেক ঘুম পাচ্ছে আর আমিও অনেক ক্লান্ত আজ কিছু হবে না।
কাল আদর দিবো ঘুমিয়ে পর।এই বলে তার বউকে একটু চুমু খেয়ে ঘুমিয়ে পড়লো।
সেলিনা রহমান কষ্ট ভরা মন নিয়ে বড় শ্বাস ফেলল । এর পর সে ও ঘুমিয়ে পড়ল।
১ ঘণ্টা যেতে না যেতেই রফিক সাহেবের ফোনে টুং করে শব্দ হল আর তিনি ধরফরিয়ে উঠে পড়লেন। তার পর সে ডিম
লাইটের আবছা আলোতে প্যান্ট শার্ট পড়ে তার সেই রুমে গিয়ে কিছু একটা করে আবার বেরিয়ে পড়লেন। প্রায় শেষ
রাতের দিকে সে ফিরে এল।কিন্তু তখন তার বউ টের পেল তার স্বামী আসছে।ও দিকে রফিক সাহেব এসেই ঘুমিয়ে পড়ছিল ।
সেলিনা রহমানের অনেক কৌতূহল জাগল জানার।তার স্বামী কই গেয়েছিল এবং কেন?? তাই সেই বিছানা ছেরে উঠল এবং
তার স্বামীর ফোন নিয়ে চেক করতেছিল।দেখল যে একটি এসএমএস প্রায় রাত ১২ টা ৩০এর দিকে এসেছিল। এসএমএসে শুধুই
লিখা তুমি এখনি স্পটে চলে আসো।
এই এসএমএস দেখে সেলিনা রহমানের ভ্রূ কুচকে গেল।তার স্বামীর প্রতি তার অনেক সন্দেহ হতে শুরু করল ।সে ফোনটি
হাত থেকে নামিয়ে তারাতারি তার স্বামীর গোপন রুমে গেল।এবং রমে ঢুকে খোঁজাখুঁজি করল এবং দেখল তার স্বামীর লকার
টি খোলা সাথে চাবি ঝুলানো ।সেলিনা রহমান দেরি না করে সে দিকে গেলেন এবং লকারটি খুলেই দেখলেন একটি পিস্তল এবং
কয়েক রাউন্ড গুলি। এসব দেখে সে প্রায় অজ্ঞান হয়ে পরল।সেলিনা রহমান এখন কি করবে সে বুঝে উঠতে পারছিলো না।
তার একবার মনে হচ্ছে আমার স্বামীর কোন মেয়ের সাথে অবৈধ সম্পর্ক আছে আবার ভাবছে আমার স্বামী সন্ত্রাস কি না।
আরও অনেক কিছুই তার মাথায় ঘুর পাক খাচ্ছিল । সে কোন ভাবেই মিলাতে পারছিলো না তার স্বামী কোম্পানিতে চাকরি
করে তা হলে আত রাতে কই যায় আর তার কাছে পিস্তল কেন?? রফিক সাহেবের একটু অসতর্কতার কারনে তার বউয়ের
কাছে আজ ধরা পরেই গেলো।
রাগের মাথায় সে তার স্বামীকে ডেকে তুলল আর পিস্তলটি নিয়ে হাতে দিয়ে বলল কি এটা ।এ দিকে ছোট মেয়েটি ও ডাকের শব্দে
ঘুম থেকে উঠে পড়েছে। রফিক সাহেব তার বউয়ের হাতে তার পিস্তল দেখে হতভম্ব হয়ে পড়ল এবং বুঝতে পারলো সে তার অপারেশন
শেষে বাড়ি ফিরে তারাতারি ঘুমিয়ে পরেছিল তার লকারটি তালা দেয়া হয় নি।তার বউ কে কি ভাবে সামলাবে সেটা ভাবতে ভাবতেই
রফিক সাহেব অস্থির হয়ে উঠল।কারন কোন ভাবেই বউকে বলা যাবে না যে সে একজন গোয়েন্দা অফিসার। ডিপার্টমেন্ট থেকে নিষেধ আছে।
এ দিকে সেলিনা রহমান ছোট মেয়েটি কে টেনে রফিক সাহেবের কাছে নিয়ে এলো তার পর তার দিকে তাকিয়ে বলল মেয়ের মাথায়
হাত রেখে বলতো তোমার পেশা কি?? কি করো তুমি?? আর এতো রাতে কই গেছিলা??
বউয়ের প্রশ্নের উত্তর কি দেবে আর কি বলে বুঝাবে সেটা ভাবতে ভাবতেই এক নজরে তাকিয়ে রইল ছোট্ট মেয়েটির দিকে।
আমি কে
আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করি।আমি কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র। পাশা পাশি গ্রাফিস ডিজাইন এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর আমার ৩ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। একজন ভালো মানুষ হওয়া এবং মানুষের জন্য কিছু করাই আমার ইচ্ছা। ব্লগিং করা আমার প্রিয় একটি সখ।
BD Community কে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ।খুবি সুন্দর একটি প্লাটফরম আমাদের উপহার দেয়ার জন্য।এখানে আমার খুবই সহজে আমাদের মনের ইচ্ছা গুলো সবাই কে জানাতে পারি।অন্যের ইচ্ছা জানতে পারি।So I love BD Cmmunity.
আমাকে ফলো করুনঃ
Hive.blog - https://hive.blog/@naturelover98
D.tube - https://d.tube/c/naturelover98
Facebook - https://web.facebook.com/designerhr98
Twitter - https://twitter.com/MdHabib19978894
Instagram - https://www.instagram.com/marketerhabib/
Linekdin - https://www.linkedin.com/in/freelaner81292/
Fiverr - https://www.fiverr.com/habib81292?up_rollout=true
Freelancer - https://www.freelancer.com/u/designerhr
Upwork - https://www.upwork.com/o/profiles/users/~0168070379771bfd06/
আমার লিখা একটি গল্পের অংশ আপনাদের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করলাম । আমার কোথাও কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন।
ধন্যবাদ সকলকে।
বিদায়।
Congratulations @naturelover98! You have completed the following achievement on the Hive blockchain and have been rewarded with new badge(s) :
You can view your badges on your board And compare to others on the Ranking
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word
STOP
To support your work, I also upvoted your post!
Do not miss the last post from @hivebuzz:
Support the HiveBuzz project. Vote for our proposal!
ভালো লিখেছেন। কন্টিনিউ করে যান।
একটা পরামর্শ থাকবে আপনার প্রতি: কভার ফটো যেটা ইউজ করেছেন এই গল্পে, সেখানে মেয়েটার ছবিতে ওয়াটারমার্ক দেখা যাচ্ছে। ছবি এডিট করার সময় ওয়াটারমার্ক যুক্ত ছবি ব্যবহার না করলেই ভালো হয়।
thanks vaiya