Photo From:Pixabay
ছোট বেলা থেকে শুনে আসতেছি মানুষের উন্নতি নির্ভর করে পরিশ্রমের উপর। অর্থাৎ যে যেমন পরিশ্রম করবে তেমন ফল পাবে।
আর একটু বড় হওয়ার পর মাধ্যমিক স্কুলে পড়ার সময় ধরিয়ে দেয়া "পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি" নামক ভাব সম্প্রসারণ। মানে মনের ভাব প্রকাশ করতে হবে প্রায় এক থেকে দের পৃষ্ঠা। পরিশ্রমের ফলে কিভাবে মানুষের উন্নতি হয়, কোন জাতি কীভাবে উন্নতি করছে, কোন মনিষী কীভাবে উন্নতি করছে।
আমাদেরকে স্যারেরা পড়াতেন পরিশ্রম ছাড়া উন্নতি সুদূরমগ্নতা পরাহত, যে জাতি যতে বেশি উন্নত সে জাতি ততো বেশি পরিশ্রমি। তাদের উন্নয়নের ক্ষেত্রে পরিশ্রমই মূল ভূমিকা পালন করে আসছে। এবং বলা হতো যে পরিশ্রম করে ভাগ্য তার সহায় হয়। কখনোবা স্কুলের জানালা দিয়ে দেখা যাওয়া বাড়ির মালিকের দিকে ইঙ্গিত করে বলতো দেখো উনি পরিশ্রম করার ফলে আজ এতো উন্নতি করতে পারছে।
ক্লাস শেষে আমাদেরকে বই ধরিয়ে দিয়ে বলতো কাল এই ভাব সম্প্রসারণ মুখস্থ করে আসবে। আমরাও মনের আনন্দে পড়া শিখে যেতাম পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি! এবং পরিক্ষায় লিখেও আসতাম যথারীতি ভালো নাম্বারও পেতাম।
এখন প্রশ্ন হলো আমাদের কী সঠিক উন্নতি হয়েছে? পরীক্ষায় তো ভালো নাম্বার পেলাম! পরিশ্রম যে উন্নতিী চাবি কাঠি এই রকম ভাবধারা নিয়ে এবং রীতিমতো শ্রেণি কক্ষে পাঠ দানের মাধ্যমে শেখানো একটা জাতি কীভাবে উন্নতি করতে পারছেনা?
আমরা উন্নতি করতে পারছিনা কারণ আমাদেরকে শেখানো হয়নি পরিশ্রম করো বুদ্ধি বিবেক খরচ করে।
আচ্ছা কোনদিন ভেবেছেন রিক্সাওয়ালার উন্নতি হচ্ছেনা কেনো কিংবা একজন দিন মজুরের, ওরা তো আমাদের থেকে অনেক বেশি পরিশ্রমি?
উন্নতির জন্য পরিশ্রম দরকার আছে কিন্তু পরিশ্রমটা হতে হবে একনিষ্ঠ এবং কীভাবে কম সময়, কম অর্থ ব্যয় করপ করা যায়। রিক্সাওয়ালা যদি বুঝতে পারতো দিনের এই সময় ঐ ঐ স্থানে যাত্রী পাওয়া যায় এই সময় বাড়া একটু বেশি পাওয়া যায় তাহলে ওর পরিশ্রম ফলপ্রসূ হতো।
এইবারে চোখ ফেরানো যাক আফ্রিকার দেশগুলোর দিকে। আফ্রিকার জনগনের চেয়ে পরিশ্রমী জাতি
খিব কম আছে কই ওরা তো তেমন উন্নতি করতে পারে নাই। সঠিক সময়ে সঠিক কাজ না করতে পারলে আপনি যতো পরিশ্রমই করুন না কেনো আপনার উন্নতি কুয়োর ব্যাঙের মতো হবে।
জ্ঞানী মানুষদের কাছে আসি, মহা বিজ্ঞানী নিউটন বলতেন ওনার এতো কিছু আবিষ্কারের পিছনে ওনার পরিশ্রমের অবদান সবচেয়ে বেশি এটা যেমন সত্যি তেমন আরে একটা সত্যি হলো ওনার মৃত্যুর জন্য ও দায়ি অতিরিক্ত পরিশ্রম।
তাই বলে আপনিও পরিশ্রম করা বন্ধ করে দিবেন? থামেন ভাই, আগে নিউটন হয়ে নিন তারপর না হয় পরিশ্রম করা বন্ধ করে দিবেন!
অর্থাৎ আমরা পরিশ্রম করবো কিন্তু সময়, বুদ্ধি, টাকা এই সবরই বুদ্ধি দৃপ্ত ব্যবহারের মাধ্যমে। আমাদের কোরআনে ও বলা আছে "তোমরা চেষ্টা করো, করাণ চেষ্টা ব্যতীত আমি কোন কিছুই তেমাদেরকে দিবোনা"
আমরা একটা ফাউল শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে আছি। এখানে মুখস্ত বিদ্যা শিখিয়ে শুধু পাশ করানো হয়।
গদবাধা সিলেবাস, ব্যাগ ভর্তি বই আর অভিভাবকদের স্কুলের গেটে দাঁড়িয়ে থাকা শিখানো হয়।
যে যত মুখস্ত করবে বছর শেষে সে তত ভালো স্টুডেন্ট হবে।
শিক্ষা ব্যবস্থা আমূল পরিবর্তন না হলে পরবর্তী প্রজন্ম অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে
অলরেডি অন্ধকারে চলে গেছে। সামনে কোন পরিবর্তনও চোখে দেখি না। কি হবে জানি না। তবে দ্রুত পরিবর্তন দরকার।
অন্ধকার থেকে আলোর পথে একদিন পিরে আসবোই ইনশাআল্লাহ
ইনশাআল্লাহ্ ।। তবে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে।
ঠিক বলছেন, আমরা যদি না জাগি কেম্নে সকাল হবে!
ঠিক বলছেন, আমাদের সবাইকে সঠিক ভাবে সঠিক পথে পরিশ্রম করতে হবে তাল হলেই সম্ভব কাঙ্ক্ষিত উন্নতি