বন্ধুরা, আশা করি সকলেই ভালো আছেন।শরীর সুস্থ তো মন ও সুস্থ।তাই আপনাদের আর ও ভালো রাখতে এবং সুস্থ রাখতে আমি শেয়ার করবো আজ কিছু অতি পরিচিত জাদুকরী উদ্ভিদ। আমাদের সকলের বাড়ির আনাচে -কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এসব উদ্ভিদ।কিন্তু আমরা এর উপকারীতা না জেনেই আগাছা ভেবে উপড়ে ফেলে দিয়ে থাকি। আমি সেই সমস্ত জিনিস আজ তুলে ধরবো আপনাদের মাঝে ।তো জেনে নেওয়া যাক এর উপকারীতা বা গুনাগুন সম্পর্কে-
ঘুম শাক
ঘুম শাক খেলে প্রচুর ঘুম হয় বলে এর নাম ঘুম শাক।এটা দেখতে গ্রাম বাংলার ক্ষেতে হওয়া আমরুল শাকের মতো।তবে ঘুম শাক আকারে একটু বড়ো পাতা সম্পূর্ণ। কিন্তু এটা হালকা জল জমা মাঠে কিংবা স্যাঁতসেঁতে জায়গায়, ছোট ছোট জলা ভূমিতে এই শাক দেখা যায়।
এটা খেতে আমরুল শাকের মতো টক নয়। তবে খেতে একটু দ্বিধা হলে ঘুম শাক হালকা সেদ্ধ করে জলটা ফেলে দিয়েও ভেঁজে নেওয়া যায় কিংবা এমনি ভেঁজে ও খেতে পারেন।যাদের ঘুম হয় না, অবসাদে ভুগছেন তাদের জন্য এটি খুবই উপকারী।
ঝাউ গাছ
আমি এর বৈজ্ঞানিক বা ইংরেজি নাম তো জানি না।তবে ছোটবেলা থেকেই ঝাউ গাছ নামেই চিনি একে।
ঝাউ গাছের সঙ্গে ছোটবেলার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে।হয়তো যাঁরা গ্রামের তাঁদের ও ছোটবেলা আমার মতো কেটেছে।ছোট বেলায় ঝাউ গাছের ফুলের ডাটি রিং এর মতো তৈরি করে ঝাউ এর আঠা রিংয়ের ভিতরে দিয়ে কত বেলুন উড়িয়েছি।এখনো চেষ্টা করি মাঝে মাঝে পুরোনো দিন ফিরে পাওয়ার।
ঝাউ গাছের ডাল ভাঙলে এক ধরনের ঘন আঠা বের হয়।শরীরের কোনো কেটে যাওয়া অংশের উপর সাথে সাথে এই ঝাউ গাছের আঠা লাগিয়ে দিলে সেই অংশ জোড়া লাগে এবং রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়ে ভালো হয়ে যায়।এটা ম্যাজিকের মতো কাজ করে।আপনারা ও কেটে যাওয়া অংশে তৎক্ষণাৎ প্রয়োগ করে দেখতে পারেন ।
কুলেখারা শাক
কুলেখারা শাক ও মাঠে ঘাটে দেখা যায়। এটা ঝোঁপের মত হয়।কুলেখারা শাক খেলে শরীরে রক্তল্পতা থাকে না।এটি শরীরে রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করে।প্রতিদিন সকালে কুলেখারার রস কিংবা এর তারকারী ঝাল ছাড়া রান্না করে খেলে খুবই উপকার হয়।
কুলেখারা শাকের গায়ে ছোট ছোট লোম থাকে। কুলেখারা শাক কচি অবস্থায় খেতে হয়।কারন একটু বড় হলেই এই গাছে বড়ো বড়ো কাটা জন্মায় এবং ডাটাগুলো শক্ত হয়ে যায়।
থানকুনি শাক
থানকুনি শাক সবার অতি পরিচিত ।এই শাকের উপকারীতাও সবার জানা।সকালে খালি পেটে থানকুনি পাতা খেলে গ্যাসের সমস্যা হতে মুক্তি পাওয়া যায়। গ্যাসের সমস্যা, বমি বমি ভাব এবং পেট জ্বালা সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে।
এটি গ্রাম্য বাড়ির আঙিনায় দেখা যায়।এটা ফুলের টবেও লাগানো যায়।এছাড়া এটা ঝাল ছাড়া তারকারী করে এবং থানকুনি পাতা বেঁটে লবণ, পেঁয়াজ ,সরষের তেল দিয়ে ও মেখে খাওয়া যায়।আপনাদের গ্যাসের সমস্যা থাকলে অবশ্যই থানকুনি পাতা খান।
আমাদের এসব ছোটো ছোটো সমস্যার সমাধান করে এক নিমেষেই চিন্তা মুক্ত করতে পারে এইসব জাদুকরী উদ্ভিদ। তাই এসব গাছকে উপড়ে ফেলে না দিয়ে আমাদের সযত্নে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অভিবাদন্তে: @green015
Congratulations @green015! You have completed the following achievement on the Hive blockchain and have been rewarded with new badge(s) :
Your next target is to reach 6000 upvotes.
You can view your badges on your board and compare yourself to others in the Ranking
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word
STOP
Check out the last post from @hivebuzz:
বাহ বাহ! চমৎকার লিখেছেন আপা। এতো এতো শাকের নাম আগে কখনো শুনিনি! 😮
গ্রামের বাড়িতে গজিয়ে ওঠা এই শাকগুলো না চেনার কারনে আমরা আগাছা ভেবে উপড়ে ফেলি।
খুব ভালো পোস্ট👍😮
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া ।আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।