বেশ অনেকদিনেরই শখ ছিলো পরীক্ষা শেষ করে একটা ট্যুর দিবো বন্ধুরা মিলে। পরীক্ষা শেষ হতে না হতেই আমাদের শখ বাস্তবায়নের পালা চলে এসেছিল। আমরা সবাইমিলে আলোচনা করতে শুরু করলাম কোথায় যাওয়া যায়। প্রায় ৩-৪ দিন আলোচনা ও সকলের মতামত নেবার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো যে আমরা পাহাড়, সমুদ্র ও কোন একটা পাহাড়ের গুহাতে ঘুরতে যাব। তবে জায়গাগুলো হবে একটু কোলাহল মুক্ত। যার জন্য আমরা এমন কিছু যায়গা বাছাই করি যেগুলো খুব বেশি পরিচিত নয় তবে খুব সুন্দর। আমরা প্রথমেই পাহাড় দিয়ে শুরু করব সিদ্ধান্ত নেই।
পাহাড়ের নাম ছিল মারাং তং। অনেকে এই পাহাড়কে মারায়ন তং ডেকে থাকে। এর উচ্চতা পায় ১৬৪০ ফিট। আমরা বেশি দেরি না করে সবাই মিলে বাসের টিকিট কেটে বের হয়ে পড়লাম মারাযন তং এর উদ্দেশ্যে। আমরা প্রথমেই বাসে করে চিটাগাং চলে গেলাম। এরপর আমরা বাসে উঠলাম চকরিয়ার উদ্দেশ্যে। তারপর চকরিয়া গিয়ে নিলাম চান্দের গাড়ি। এরপরই শুরু হয়ে গেল আমাদের আসল প্রকৃতির রূপ দেখার পালা। তখন থেকেই পাহাড়ের আসে পাশের সুন্দর দৃশ্য দেখতে শুরু করলাম। রাস্তার দুই পাশে অসংখ্য নাম না জানা পাহাড় আর গাছের অপরুপ দৃশ্য আর মাঝখানে রাস্তা।
আসলেই প্রকৃতি ছবিতে যতটা সুন্দর,বাস্তবে তার চেয়ে অনেক বেশি সুন্দর। প্রায় ১ঘন্টা ৩০ মিনিট বা এর কাছাকাছি সময় চান্দের গাড়িতে যাবার পর আমরা আলিকদম পৌঁছুই। যেখান থেকে আমাদের পাহাড়ে ওঠার পথ শুরু হবে। সেখানে গিয়ে আমরা দুপুরের খাবার খায়ে নেই। তারপর পাহারে ওঠার জন্য গাইড, তাবু, পানি ও অন্যন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ নিয়ে নেই আলিকদম থেকেই। এরপর আমরা সবকিছু নিয়ে পাহাড়ে ওঠা শুরু করি। বেশ খাড়া পাহাড় উঠতে অনেক কস্ট হচ্ছিল প্রথম থেকেই। তবে কিছুটা পথ ওঠার পর লক্ষ করতে শুরু করলাম প্রকৃতির রূপ।
একটু করে উঠছিলাম আর পাহাড়গুলো আরও সুন্দর মনে হচ্ছিল। আমরা বুঝে গিয়েছিলাম যে আমারা যত বেশি উপরে উঠবো ততবেশি সুন্দর হবে এই দৃশ্য। তাই সবার অনেক কস্ট হলেও কেও থেমে ছিলাম না পায়ের ওপর চাপ দিয়ে উপরে উঠছিলাম সবাই। প্রায় অর্ধেকটা পথ ওঠার পর একটা পাহাড়ি দোকান পেলাম যেখানে পাহাড়ি পাকা পেপে আর পাহাড়ি কলা বিক্রি করে। আমরা সেখান থেকে পাকা পেপে খেলাম। পেপে গুলো অনেক বেশি মিষ্টি ছিল আমাদের সাধারণ পেপের চেয়ে অনেক বেশি সুস্বাদু ছিলো যে খেয়ে আমরা অনেক শান্তি পেয়েছিলাম অনেকটা সময় পাহাড় ওঠার পর।
অতঃপর কিছু সময় ওখানে রেস্ট নেওয়া, ছবি তোলা ও হালকা খাবার খাওয়ার পালা শেষ করে আমরা আবার পাহাড়ে ওঠা শুরু করলাম। ওঠার সময় অনেক পাহাড়ি নারীদের ও পুরুষের দেখলাম তারা খুব সহজেই নামছে ও উঠছে। যেন তাদের কাছে এগুলো কিছুই না। তাদের সাথে অনেক অল্প বয়সের ছেলেমেয়েও ছিল যারাও তাদের সাথে নামছে উঠছে অনায়াসেই। আমরা প্রথম বার হবার কারনে আমাদের সময়টা একটু বেশিই লাগছিল।
তাছাড়াও বিভিন্ন যায়গায় বসে রেস্ট নেওয়া ও ছবি তোলার কারনে আমাদের সময় আরও বেশি লাগছিল। অনেকটা পথ ওঠার পর আমরা যখন একেবারেই ক্লান্ত তখন আমি আমাদের গাইডকে বললাম আর কতখন? আমি আর পারছি না। তখন সে বললো ভাই আর ১০ মিনিট মাত্র। এইরকম আরও একটা বড় ধাল উঠলেই পৌছে যাব। এই কথা শুনে সবাই অনেক খুশি হয়ে গেলাম।
### to be continued...........
Congratulations @freakrafi! You have completed the following achievement on the Hive blockchain and have been rewarded with new badge(s):
Your next target is to reach 20 posts.
You can view your badges on your board and compare yourself to others in the Ranking
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word
STOP
To support your work, I also upvoted your post!
Check out the last post from @hivebuzz:
Support the HiveBuzz project. Vote for our proposal!