সময় বহমান! নদীর স্রোতের মতো সময়গুলোও বয়ে চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের চারটা বছর কিভাবে যে বয়ে গেলো তা বুজতেই পারলামনা!
একেবারে কিনারায় এসে আফসোস হচ্ছে ভীষন।আরো কয়েকটা দিন বাকি থাকলে হয়তো ভালো হতো।নিজের মতো করে সময়গুলো পার করা যেতো। এদিক সেদিন ঘুরে বেড়ানো যেতো বন্ধুদেরকে নিয়ে। সবুজ ক্যাম্পাসটায় বসে আড্ডা দিতে পারতাম।
এমনটাই ভাবছিলাম রোমের একটা কিনারায় বসে। একটু পর এক বন্ধু এসে বললো, " চল বাইরে থেকে ঘুরে আসি "। অনেকদিন হলো বাইরে যাওয়া হয়না। মাঝখানে বান্দরবন আর রাঙ্গামাটি ঘুরতে যাওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত যাওয়া হয়ে ওঠেনি। তাই ভাবলাম কাছে কোথাও ঘুরেই আসি।
ঢাকার মাটিতে পা রেখেছি চার বছর ছুই ছুই। তবে কখনোই ঢাকার ভিতরের জনপ্রিয় জায়গাগুলোতে পদচিহ্ন রাখা হয়নি। আসলে কোলাহল আমার মোটেও পছন্দ নয়। সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জায়গাগুলোই আমাকে কাছে টানে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, কুয়াকাটা ও সিলেটের অনেকগুলো জায়গাতে ঘুরা হয়েছে। কিন্তু ঢাকার একটি জায়গাতেও নয়!
তাই সিদ্ধান্ত নিলাম একদিন উত্তরার দিয়া বাড়িতেই ঘুরে আসা যাক। পূজার বন্ধ চলছে, বসে বসে অলস সময় পার করছি। বিকেলটাকে রাঙিয়ে তুলতে রোমের সব বন্ধুরা মিলে হাকলা সেজেগুজে বেরিয়ে পড়লাম 😃।
দিয়াবাড়ি আমাদের ভার্সিটি ক্যাম্পাস থেকে বেশি দূরে নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে গেলে বড়জোর ১৫/২০ মিনিট আর রিকশাতে গেলে ৩০ মিনিটের কাছাকাছি। আমরা রওনা হলাম ভার্সিটি বাসে করেই। ওইযে বললাম, ১৫ মিনিটের মাঝেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস আমাদেরকে নামিয়ে দেয় উত্তরা দিয়াবাড়ি সামনে।
নাটক ছবিতে অনেক পরিচিত একটি জায়গা এই উত্তরা দিয়াবারি। হরহামেশাই এখানে শুটিং হতে দেখা যায়। আমিও নাটকে অনেক বার দেখলেও বাস্তবে এবারই প্রথম। আসলে বাড়ি যাওয়ার সময়ে এর পাশ দিয়ে গেলেও কখনো এখানে আশা হয়নি। ওইয়ে বললাম না, " কোলাহল আর উচু দালান আমার পছন্দ নয়"। শহরে থাকা শুধু পড়াশোনার সুবাদেই। ভবিষ্যতে হয়ত চাকরির সুবাদে এই অপ্রিয় শহরটাতেই থাকতে হবে।
যাইহোক, এখানে শুরু উচু উচু দালান দাঁড়িয়ে আছে। দালানের সংখ্যা গুনলে আমার দিন পার হয়ে যাবে। সবগুলো দালান একই কাঠামোর। তবে দিয়াবাড়ির দালানের মাঝখানে রাস্তাগুলো বেশ সুন্দর।
আমাদের মতো অনেকেই বিকালটা কাটাতে এখানে এসেছে। অনেকেই আবার মাঠে খেলাধুলোয় ব্যস্ত। একটু বসে আড্ডা দেওয়া আর এদিক সেদিন ঘুরতেই সন্ধ্যা নেমে এসেছে। সন্ধ্যায় পরিবেশটা যেনো আরো ফুটে উঠেছে।
তারপর বেশ কিছুটা সময় দিয়াবাড়ির ব্রিজটাতে কাটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে করে ফিরতি পথ ধরি। দিয়াবাড়িতে সেদিনের বিকেলটাকে ভালোই কেটেছে। শেষদিকে কিছু নতুন মানুষের সাথে পরিচয় হয়ে খারাপ হয়নি!
দিয়া বাড়ির পাশে ফুটন্ত কাশফুল
ফেসবুকে ঢুকলেই এখন কাশফুলের ছড়াছড়ি। আর মেয়েরা মনে হয় এই দিনটাতে একটু বেশি শাড়িতে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।
আমি একবার দিয়া বাড়িতে গিয়েছিলাম। খুব খোলামেলা জায়গা যার কারনে হাটাহাটির জন্য বেশ ভালো। আর এখন তো মানুষ সেটাকে পর্যটনে পরিণত করছে। কিন্তু বলতে হবে সেখানে ছবি তুললে সেটা বেশ সুন্দর আসে। চারিপাশের এত আলো আর কোলাহল কম থাকার কারণে আকাশটাও বেশ পরিস্কার থাকে।
ভেবেছিলাম ভার্সিটির বন্ধুরা মিলে দিয়াবাড়ি থেকে ঘুরে আসব। কিন্তু পরে আর যাওয়া হয়নি, অনেকেই রয়েছে পূজার ছুটিতে সময় কাটানোর জন্য বাড়ি চলে গেছে।
the kashful vibe is everywhere, true that! 🤣
কি আছে কাশফুলে যে মেয়েরা এতো পছন্দ করে কাশফুল? ছুটির দিনে তো বউ সেজে ঘুরতে আশা মেয়েদের জন্য কাশফুলের এরিয়া তে হাটাই যায়না 😃। তবে ছুটির দিন ছাড়া মোটামুটি ভালোই থাকে পরিবেশটা
এবার আসলে একেবারে গোলাপ গ্রামেও ঘুরে যাবেন।সাথে আমিন গ্রুপের এদিকে আসতে পারেন। চারদিকে শুধু কাশফুল আর কাশফুল। আশা করি ভালোই লাগবে।
উওরা দিয়াবাড়ি নাম শুনেই ভাবতেছিলাম কাশফুল থাকবে, হাহা।
যাওয়া হয়নি কখনও। তবে উত্তরায় যাওয়ার কারণসমূহের লিস্ট বড় হচ্ছে ধীরে ধীরে, এক ফ্রেন্ড কি যেন কি কয়েকটি খাবারের কথা বলেছে অনেকবার, নেক্সট ঢাকা গেলে শিউর উওরা নিয়েই ছাড়বে।
দিয়া বাড়িতে আসলে আমাদের এইদিকেও আইসেন। একেবারে কাছেই আমাদের ক্যাম্পাস।
হ্যাঁ অবশ্যই।
আপনাদের ক্যাম্পাসও কম সুন্দর না, মাস্ট ভিজিট।
Hi @fa-him, your post has been upvoted by @bdcommunity courtesy of @rem-steem!
Support us by voting as a Hive Witness and/or by delegating HIVE POWER.
JOIN US ON
Such a heavenly sight. I have gone there for a few times 😍 The place does gives of a peaceful vibe as what when we feel when we are in our hometown but neither does it give of a feeling of being in a rural area. It is a mixed yet peaceful feeling that takes us back to nature, complimenting the creation of our Lord.
True. A place of both natural & artificial beauty. A good place for passing some good hours.
Thanks for stopping by.
ক্যাচালমুক্ত কিছু পথ হাটাহাটির জন্য হলেও দিয়াবাড়ি বেশ চমৎকার যায়গা বটে। কিন্তু সবাই ক্যাচালমুক্ত পরিবেশ খুঁজতে গিয়ে এখানে জড়ো হয়ে এখানেই নতুন ধরণের ক্যাচাল বাঁধায় ফেলতেসে হাহাহ
এটা ঠিক বলেছেন। ছুটির দিনগুলোতে ইদানিং অনেক বেশি মানুষ দেখা যায় দিয়াবাড়িতে। এমন একটা অবস্থা যে কোথাও গিয়ে শান্তি নেই!!!
ছুটির দিন বাদেও বিকেলের দিকে গেলে হতাশ হওয়া ছাড়াতো উপায় থাকেনা। দুনিয়ার এই অংশের ভাল ভাল ল্যান্ডস্কেপ সবই বোধহয় সস্তার টিকটকারদের দখলে চলে গেছে। 😂