নৌকায় ঘোরাঘুরি

in BDCommunity4 years ago

এখন জুন মাসের শেষ পর্যায়ে।
করোনা কালীন সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে আমি বেড়াতে আসছি মামা বাড়ি । সবার সাথে দেখা সাক্ষাৎ করার পর মামি খাবার বেড়ে ডাক দিলেন । খাওয়া শেষ সোজা বিছানায় শুয়ে পরলাম। আমার মোট তিন জন মামাতো ভাই তার মধ্যে বড় মামার ছোট ছেলে তম্ময় আর ছোট মামার বড় ছেলে অমিত আমার সমবয়সী।
২০ -২১ বছর বয়স। রাতে আমাকে ওদের কাছেই থাকতে দেওয়া হয়েছে। অমিত বলল
-নে এখন ঘুমিয়ে পর । আগামীকাল বিকেল বেলা তোকে নিয়ে ঘুরতে বের হবো।
-তাহলে তো খুব মজা হবে । (আমি বললাম)

  • আমরা তো প্রায়ই বিকেল হলে নৌকা নিয়ে ঘুরি। (তম্ময় বলল)

পরের দিন সকাল গড়িয়ে দুপুর আর তার পর বিকাল হতেই ঘুরতে বের হলাম

2021-06-16-18-16-06.jpg

বর্ষা কালের প্রকৃতি তার অপরুপ সৌন্দর্য যেন আপন মনে তুলে ধরেছে । আকাশে মেঘ, মাঝে মাঝে বৃষ্টি, আর সবুজ পাতা গুলোর দিকে তাকালে মনে হচ্ছে তারা যেন বৃষ্টিতে স্নান করে নিয়েছে। সব মিলিয়ে মনের মধ্যে এক ভালোলাগা কাজ করে।

ওদের সাথে ওদের এক বন্ধু আসলো । সেও খুব ভালো ও লাজুক প্রকৃতির ( অমিতের বর্ণনা শুনে বুঝতে পারলাম) ।তীরে সমতল রাস্তা ।যেটার অবস্থা কাঁচা কিন্তু বয়ে গেছে প্রায় ১কিলোমিটার পর্যন্ত।
2021-06-21-01-51-30.jpg

মাঝে মাঝে প্রস্তুত করা হয়েছে মাছ ধরার এক বিশেষ যন্ত্র। গ্রামীণ ভাষায় একে "ভেসাল " বলা হয় । দুইটা বাঁশ ভি আকৃতির করা হয়েছে। মাঝ খানে জাল দিয়ে ঘেরা। অনেক মাছ পাচ্ছে যার মধ্যে টেংরা, খলিশা, রয়না , পুঁটি ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। ততক্ষণে নদীর তীরের খানিকটা পথ হেঁটে আমরা উঠে পড়েছি নৌকায়।
2021-06-21-01-55-25.jpg
অমিত আর ওর বন্ধু নৌকা চালাতে পারে । নৌকায় অবশ্য আমি প্রথমবারের মতো উঠলাম না‌ । আমার নৌকায় চড়ে ঘুরে বেড়াতে খুব ভালো লাগে। একটু বাদে বাদে শীতল বাতাস, যা হয়তো নদীতে না এলে বোঝা যায় না। নদীটি ছোট হলেও বেশ সুন্দর ছিল । দুই পাশ ধরে কখনো গাছ কখনো বা পুরো ফাঁকা। নৌকা চলাতে চালাতে নিয়ে গেল প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটা সুন্দর জায়গায়। সন্ধ্যা হওয়ার সামান্য একটু বাকি। নৌকা ভিড়িয়ে রাখা হলো একটা বাজার কাছে এসে। তম্ময় আমাদের সবার জন্য গরমাগরম চপ নিয়ে আসলো । ভিতরে মাংসের কিমা অসাধারণ টেস্টিং।
2020-07-29-18-21-15.jpg
একটু বাদেই চোখে পড়ল নদীর পাড় ঘিরে যে রাস্তা সেখানে এক চটপুটি বিক্রেতা চটপুটি বিক্রি করছে।
সবাই মিলে খেলাম । নৌকায় বসে খেতে পারায় বোধহয় একটু বেশি আনন্দ উপভোগ করতে পেরেছিলাম। সন্ধ্যা লাগতেই আমরা রওনা দিলাম বাড়ির অভিমুখে। সব মিলিয়ে আমাদের নৌকা ভ্রমণ ছিল অসাধারণ মুহূর্ত।