সান বার্নকথাটি আমরা সবাই সচারাচর শুনে থাকি,আর সেই সান বার্ন থেকে বাচার জন্য বিউটিশিয়ানদের কাছে মহিলারা বিউটি পারলারে বা অনলাইনে টিপস খুজে বেড়াইয় কিন্তু এটি কেন কিভাবে হয় তারদিকে খুব একটা নজর দেই না। শুধু একটু সচেতনতাই এই সান বার্ন থেকে আমাদেরকে বাচিয়ে দিতে পারে।
আগুনের তাপে বা গরম কিছুর সংস্পর্শে যেমন চামড়া লাল হয়ে যায় বা পুড়ে যায় ঠিক তেমনি ভাবে প্রখর সূর্য তাপে বেশি সময় থাকলে আমাদের শরীরের চামড়া বা ত্বক এর যে অংশ খোলা থাকে বা অনাবৃত থাকে সেই অংশ সূর্য থেকে বিকরিত অত্যাধিক বেগুনি রশ্নির বা তাপের প্রভাবে ঝলসে যায় বা পুড়ে যায় এতে সেই অংশটির রং পরিবর্তন হয়ে যায়,ফোস্কা পড়ে,চামড়া পুড়ে তা উঠে যায়। ফরসা মুখ লাল আর শ্যামল বা কালো ত্বকের মানুষগুলো আরো কালো হয়ে যায়। একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন প্রখর রৌদ্র থেকে বাসায় আসলে শরীর মুখ জ্বালা করছে বা হাত ছোয়ালে জ্বলে বা ব্যথা পাওয়া যায়। আবার কারো কারো ছোট ছোট ফোস্কা পড়ে। এটাই First degree of burn.
তাই আমাদের প্রথমেই যেটা সবার মনে রাখা দরকার,রৌদ্র থেকে বাসায় ডুকেই সাথে সাথে এসির ঠান্ডায় সরাসরি না যাওয়া, ঠান্ডা পানি পান না করা,ঘাম যুক্ত শরীরে গোসল না করা বা ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ না ধোয়ার অভ্যাস পরিহার করতে হবে।
একটু ভালো করে খেয়াল করে দেখবেন যারা সেলস এর কাজ করে রাস্তায় হাটে,সৈনিকরা রোদে প্যারেড প্রাক্টিস করে,যারা বাইক রাইড করে এদের শরীর এর চাইতে হাত ও মুখ বেশি কালো হয়ে যায়, এটা সান বার্ন এর জন্যই হয় যা সহজে আর আগের ফরমে ফিরে আসতে চায় না।
তাহলে এর থেকে মুক্তির উপায় কি? কিছু উপায় তো আছেই কিন্তু মানতে পারবে বা পারছে কত জন। একজন নতুন সৈনিক যখন নিয়োগ পায় তখন হাফ প্যান্ট আর গেঞ্জি পরে প্যারেড প্রাক্টিস করে,মাঝে যে সময় পায় তা সে কি রেস্ট করবে নাকি গোলস করবে নাকি খাবার খাবে তার কোন দিকে তাকাবার সময় থাকে না। তার কথা বাদ দিয়ে আমজনতার কথা যদি বলি তাহলে একটু সচেতনতাই পারে আপনাকে বাচিয়ে দিতে। আসুন জেনে নেই কি কি নিয়ম চাইলে আমরা মানতে পারি-
১। সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ০৪টা পর্যন্ত অর্থাৎ যে সময় রৌদ্র সবচাইতে প্রখর থাকে সেই সময়টাতে রৌদ্রে যাওয়া বা বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে।
২। বাইরে যাওয়ার ১৫/২০ মিনিট আগে যদি সানস্ক্রিন ক্রিম বা লোশন মেখে নিলে তার তিন ঘন্টা পর আবার ব্যবহার করবেন।
৩। যদি প্রখর রৌদ্র বাইরে যেতেই হয় তবে সাদা,হালকা নীল বা সবুজ রং এর ফুল হাতা পোশাক পরে বের হবেন কারন এই রং এর তাপ শোষন ক্ষমতা কম থাকে তাই শরীরে আরাম লাগে এছাড়া সান গ্লাস,হেট পরে বের হবেন যেনো চোখে মুখে সূর্যের আলো কম লাগে।
৪। প্রতিদিন ৩/৪ বার গোসল করবেন।
৫। প্রতিদিন ৩/৪ লিটার এর বেশি পানি পান করবেন এবং রসালো ফল খাওয়ার চেস্টা করবেন।
৬। বাহির থেকে বাসায় এসে এলোভেরার রস মুখে ও শরীরে লাগাবেন।
৭। হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন 'ক্যান্থারিস মাদার সব সময় বাসায় রাখবেন যদি ত্বক জ্বালা পোড়া করে তাহলে হাফ কাপ পানিতে ১০/২০ ফোটা মিশিয়ে তুলা দিয়ে জ্বালা করা স্থান গুলোতে লাগিয়ে দিন কিছুক্ষণ পরেই তা কমে যাবে।
৮। ত্বকের সুরক্ষায় যে খাবার আপনাকে বেশি সুরক্ষা প্রদান করবে সে গুলো হচ্ছে-আংগুর,কফি,টমেটো,তরমুজ ইত্যাদি রসালো ফল। এতে ত্বক পুড়ে গেলেও আবার উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।
আখতার উজ জামান
ডি.এইচ.এম.এস
Congratulations @auzaman! You have completed the following achievement on the Hive blockchain and have been rewarded with new badge(s):
Your next target is to reach 50 upvotes.
You can view your badges on your board and compare yourself to others in the Ranking
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word
STOP
To support your work, I also upvoted your post!
Support the HiveBuzz project. Vote for our proposal!
Thanks
You're welcome @auzaman! Have a nice day 😊👍