পান্থপথ থেকে উত্তরা আসবো বলে সিদ্ধান্ত নিলাম ধীরে গেলেও বিআরটিসি দোতলা বাসেই যাবো। বাস গুলো আস্তে চলে সেটা ঠিক কিন্তু তাড়া না থাকলে আমার এতে ভ্রমন খুব একটা খারাপ লাগে না।আমি এগুলোতে উঠলে কখনো নীচে বসি না। এই বাসের ভ্রমন দোতলায় না বসে করতে পারলে বোরিং লাগে। যদিও এখন সকল বাসের
PIC SOURCE
ভাড়াই এক। আগে বিআরটিসি আর পাবলিক বাসের ভাড়াতে কম বেশি ছিলো।এই বাসের সিটগুলো প্লাস্টিকের হলেও দুই সিটের মাঝে কিছুটা ফাঁকা থাকে বলে বসে আরাম পাওয়া যায়।উপরে বসে বসে আপনি ঢাকার রাস্তার অনেক নিয়ম অনিয়ম উপভোগ করতে পারবেন খুব ভালো ভাবে। যাইহোক সেই কথা না হয় আরেকদিন বলবো।
বাসে উঠে ফার্ম গেট হয়ে তিন চার বার সিগনালে পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে আসতেই বাম সাইডে চোখ পড়লো রত্ন দ্বীপ এর দিকে। যেটি পরম যত্নে তৈরী করেছিলেন ভাস্কর্য শিল্পী মৃণাল হক যা রত্ন দ্বীপ নামেই যার পরিচয়। যারা বাংলাদেশের রাজধানীতে বসবাস করেন তারদের কারো কারো দৃষ্টিগোচর হয়তো বা হয়েছে।তবে যারা গাড়িতে উঠলেই ঘুমান,তাদের চোখে নাও পড়তে পারে।
অনেক বছর আগে একদিন রাতের বেলা এইদিক দিয়ে আসার সময় এর আসল রুপ চোখে পড়েছিলো। পেছনের মুহাম্মাদ-আল্লাহু-মুহাম্মাদ লিখা দেয়ালে ঝর্না, তার সামনে ফোয়ারাগুলো চলমান।
[PIC SOURCE]
রংগিন বাতির আলোয় আলোকিত। চকচকে ঝকঝকে সমস্ত দ্বীপ। ঝিনুকের প্রতিটি মুক্তা ঝক ঝক করছে এবং রংগ বদলাচ্ছে, ঝিনুক গুলো মুক্তা গুলোকে পরম আদরে সামলে রেখেছে কিন্তু এখন যা দেখলাম তাতে মনে হলো এটি পরিতেক্ত একটি দ্বীপ। পানিতে ময়লা জমে আছে,শেওলা পড়ে আছে, ঘাস উঠে পাথর ঢাকা পড়ে যাচ্ছে। দেখেই বুঝা যায় এর কদর শেষ হয়ে গেছে। যদিও এটাই বাংলাদেশের মানুষের চরিত্র,নতুন কিছু এলে পূরানো সব কিছু অবহেলার হয়ে যায়। সেটা কত টাকা খরচ করে বানানো হয়েছে তা আর হিসাবে আনা হয় না। আমাদের দেশের সকল শিল্পকরম,প্রাচিন ইতিহাস ঐতিহ্য গুলো এভাবেই অবহেলায় নস্ট হয়ে যাচ্ছে।
এতো সুন্দর একটি স্থাপনা কেন অযত্নে অবহেলায় নস্ট হবে তার জবাব কি কারো কাছে আছে?
ধন্যবাদ।