শ্যামলীমার রুপে তার কানন ঘেরা,
মেঘের ছায় ছায়া তার বেশ হারা,
নিঝুম পাহাড়ের মেঘ সে চন্দ্রাবতী,
চাঁদের আলোয় হেরা তার বনস্পতি।।
আবছা আলোয়, আবছা কালিমায় সর্বাঙ্গে বিলীন,
ভোরের দখিনা হাওয়ায় উড়ে যায় তার বসন্তের দিন ;
গ্রীষ্মের বৃহস্পতি তার পথের পথিক হয়ে চলে যায় বহুদূর,
আকাশ ফুঁড়ে বারিধারা রুপার কনা পড়ে দিনকে বিকেল দুপুর।।
মনের অলিগলি সে কি তার বোঝার সাধ্যি আছে,
পাতিলেবুর মন তার, বৃষ্টি এলে উড়ে যায় দূরে আর কাছে।
সেতারের সুর এ হিয়ায় ছুঁয়ে দিয়ে যায় যে মন,
অনুভূতির আলিঙ্গনে আপ্লুত হয়ে করি তার রোমন্থন।।
কবি হয়ে কবিতা লিখবো, সে কি স্পর্ধা আছে আমার,
ভরদুপুরের ঐ দূর আকাশ পানে চেয়ে মন যে কেমন করে কাহার ;
মেঘের ভেলায় ভাসবো বলে, ডাক পাঠিয়েছি যারে,
আলোছায়ার কারসাজিতে আপনারে ভুলিয়ে দিল সে ঐ ধারে।।
নির্ঝর ঝরোঝরো, কাঁপা ঐ তরুলতার বাদলো ঝড়ে,
থরে থরে থেমে গিয়ে মন সে চলেছে কার নীড়ে ;
বৃষ্টিবিধুরা দিনে কি তারে মনে করে মনে পড়ে,
নাকি ঝড় ঝন্ঝায় অনুরাগী মন বেখেয়ালি হয়ে যায়।
বুঝতে পারি না।
রুপকুমারীর ছলোছলো দৃষ্টি হয়তো বর্ষার উপহার,
শহর ছেড়ে কানন কুঞ্জে হেঁটে যেতে দেখেছি পাতাবাহার;
কদমের রূপে মৃয়মান হয়ে রই, তুমি অপরুপা ও আমার রুপসী রাজকন্যা,
অথৈ সাগরের এ দেশে এনেছ ভালোলাগার বন্যা।।
বৃষ্টিবিধুরা দিনে এ তানপুরায় বাজিয়ে সুরের ব্যন্জনা,
পাখা মেলে উড়ে আসে শরতের সুরের মূর্ছনা।
এ কোন দেশে রয়েছি পড়ে, তানপুরার লহরীতে পাগল হয়ে আনমনা।।।
{Selfly Composed Poem }.©®™