গতকাল বিকালে বন্ধুর বাসায় গেলাম ওর গাছের সংগ্রহ দেখতে। সিড়ি ঘর থেকে ছাদ পর্যন্ত হরেক রকমের গাছ। একটা জায়গা ফাকা রাখে নাই। আকাশে হালকা মেঘ লেগে ছিলো। এই পরিবেশে ছাদে বসে থাকতে বেশ ভালো লাগছিলো। তিন বন্ধু আড্ডা দিতে দিতে মাগরিবের আযান দিয়ে দিলো। ছাদে ওজু করে নামাজ আদায় করে নিলাম। সন্ধ্যার পরে আকাশে তারা দেখতে শুরু করলাম। কিছুক্ষণ পরে দেখি এতো তারা আকাশে অনেক দিন এতো দেখি না। ঢাকার আকাশ পুরাই সাদা দেখি এতো তারা কখনই দেখা যায় না। পাটিতে শুয়ে থেকে গল্প করতে করতে তারা দেখতে থাকলাম।
সারাদিন কাঠফাটা রোদ ছিলো আমি বলতেছিলাম আকাশে এতো তারা কালকেতো তাহলে আবারও আজকের মতো রোদ উঠবে। কিন্তু আজকে সকাল থেকে দেখি এতো সুন্দর আবহাওয়ায়। মেঘলা আকাশ আর এতো বাতাস। এই ওয়েদারে বাসায় বসে থাকতে একদমই ইচ্ছা করতেছে না।
সকালের নাস্তা করে জমির দিকে গেলাম বাতাস খাইতে। এরকম প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে। ছোট থেকে গ্রামে বড় হবার কারনে আগে থেকেই শহরের প্রতি একটা আকর্ষণ কাজ করতো। কিন্তু এখন গ্রামেই বেশি শান্তি লাগে। প্রাকৃতিক পরিবেশে বিশুদ্ধ অক্সিজেন নিলে শরিরে একটা প্রশান্তি কাজ করে। জমির আল ধরে বেশ অনেক্ক্ষণ হাটাহাটি করলাম। বাসায় ফেরার পথে একটা সুন্দর পিচ্চি কে পাইলাম। ও দেখি ওদের গরুকে ঘাস দিতেছে।
ওর ছবি তুলবো শুনে খুশিতে আমার সামনে এসে দাঁড়িয়ে পরলো। এইটুকু ছোট বাচ্চা দেখি অনেক চঞ্চল। প্রচুর কথা বলে প্রচুর হাসিখুশি। ছবি তুলে ওকে দেখানোর পরে অনেক খুশি হলো। ছবি তোলা শেষ হলে ও আবার গরুকে ঘাস খাওয়াতে ব্যস্ত হয়ে পরলো। পিচ্চিটার সাথে কিছুক্ষণ গল্প করে বাসায় চলে আসলাম।
দুপুরে খাওয়াদাওয়া করে একটা ঘুম দিলাম। ঘুমানোর জন্যে আজকে একদম উপযুক্ত দিন। এইরকম আবহাওয়া সব সময় হয় না। বিকাল হতেই ফোনে ঘুম ভেংগে গেলো। ফ্রেন্ড ফোন করে বললো নতুন একটা জায়গার সন্ধান পাইছে আজকে ওখানে যাবে। গতকাল নাকি ওর ছোট ভাই গেছিল। আমি ফ্রেশ হয়ে নিলাম আরেক ফ্রেন্ড কে ফোন করে বললাম তারাতারি বাসা থেকে বেরতে। কারন সন্ধ্যা হতেও বেশি দেরি নাই। বাইকে করে সোজা চলে গেলাম আমাদের পাশের গ্রাম মাতাপুরে। এই গ্রামে আমি খুব আসছি। সেরকম ভাবে কিছুই ছিনি না। গ্রামের ভিতরে মেঠো পথ ধরে খানিকটা এগিয়ে যেতেই দেখি মধ্যে রাস্তা আর দুপাশে বিলের মত বিশাল জায়গা। এর আগে বিলের ঘাটে গেছি কিন্তু এদিকে এতো সুন্দর একটা বিল আছে জানতামই না। বেশ কিছুদুর যেয়ে রাস্তার পাশে বাইক রেখে বসে পরলাম বিলের অপরুপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে। হটাৎ বাতাসের তীব্র শব্দে শুনি ট্রেনের হুইসেলের শব্দ। লকডাউনের ভিতরে ট্রেনের শব্দ শুনে একটু অবাক হয়ে গেছিলাম। এর ভিতরে ট্রেন কই থেকে আসলো। পরে দেখি মাল ট্রেন আসছে। বিলে প্রায় আধা ঘন্টার মত বসে থাকার পরে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলো। তারাতারি বাইক স্টার্ট দিয়ে আশেপাসে কাছে কোথায় মসজিদ আছে খোজার জন্য রওনা দিলাম। ঝিরিঝিরি বৃষ্টি সাথে বাতাস এর ভিতরে বাইকে ঘুরতে অসম্ভব ভালো লাগছে। তারাতারি বাইকে একটান দিয়ে বাজারের কাছাকাছি একটা মসজিদে এসে মাগরিবের। নামাজ শেষ করে যে যার মতো বাসায় চলে আসলাম।
Amr nature khub valo lage.....gas onk love kori..... Future a onk gas er collection korar icca aca..
বাচ্চাটার হাসিটা মারাত্মক 😍
হ্যা অনেক সুন্দর ❤️