কয়েকদিন পরে আজকে পোস্ট করছি। এই কয়েকদিন ব্যস্ততার কারনে হাইভে আসতে পারি নাই। শেষ তিন দিন ধরে আকাশ অনেক মেঘলা ছিলো। হুটহাট করে বৃষ্টি চলে আসতো। এই কয়েকদিন দেখি দুই মিনিট বৃষ্টি হচ্ছে আবার থামছে। এরকমই দেখছি শুধু কয়েকদিন। এতো বৃষ্টি একটানা আকাশ মেঘলা আমার একদমই ভালো লাগে না। এই বৃষ্টির ভিতরে বাহিরে কাজ থাকলে আরও বেশি পেরা লাগে। আর এই পেরার কাজটাই আমার করতে হইছে। আজকেও সকাল থেকে দেখি আকাশ এরকম মেঘলা। ঘুম থেকে উঠার পরে থেকে মন ভালো লাগছিলো না। দুপুরে খেয়ে দেয়ে রুমে শুয়ে আছি। বাহিরে তাকিয়ে দেখি ঝলমলে রৌদ উঠছে বাহিরে। সাথে সাথেই বাহিরে চলে গেলাম। সোজা পুকুর পারের ধারে চলে গেলাম।
কয়েকদিন পরে এরকম ঝলমলে রৌদ্রময় আকাশ দেখে মনটা অনেক ভালো হয়ে গেলো। আমি ভাবছিলাম শরৎতের এরকম ঝলমলে আকাশ হয়তো আর দেখা হবে না। পুকুর পারে যেয়ে দেখি ওখানে যে জলপাই গাছ আছে গাছ ভর্তি জলপাই ধরে আছে। ছোট থাকতে এই গাছে এসে অনেক জলপাই পেড়ে খেতাম। হাতের নাগালে না থাকায় লাফ দিয়ে কয়েকটা জলপাই পারলাম। মুখে দিয়ে দেখি এখনও ভালো করে পোক্ত হয়নি। তবে এটা খেতেই অনেক ভালো লাগছিলো। ছোট বেলায় এরকম কাচা জলপাই বেশি খাওয়া হতো। কারন এরকম না খেলে পরে আর পাওয়া যেতো না। কাচা থাকতেই গ্রামের সবাই গাছ সাবাড় করে দিতো। আমাদের এখানে যত ফলমূলের গাছ আছে গ্রামের ছোট ছোট বাচ্চারাই সব শেষ করে ফেলে। পুকুর পাড়ে একটা আমড়া গাছও আছে। প্রতিদিন দুপুরে পুকুরে যারা গোসল দিতে আসে ওদের প্রথম কাজ থাকে গাছে উঠে আমড়া খেয়ে গাছ থেকে পুকুরে লাফ দেয়া।
এদেরকে মানা করলেও কোন কাজ হয়না। ফল গুলো পাকলে সবাই কে নিয়ে খাওয়া যাবে এটা কেউ বুঝতে চায় না। কাচা না খাওয়া গেলেও এদের এইসব পেরে নষ্ট করতে হবে। আমাদের এই আমড়া গাছ থেকে কোন বছরই আমরা সেরকম খেতে পারি না। গাছে পুরো অংশটাই পুকুরের দিকে। গাছ থেকে পারলেও সব পুকুরেই যেয়ে পরে। ছোট থেকেই পাড়ার ছেলেমেয়েদের এইসব অত্যাচার দেখে আসছি। আমার স্কুলের এক ফ্রেন্ড ছিলো। আমাদের পাড়াতেই থাকতো। ও ছিলো এইসবের নাটেরগুরু। ওকে আমি অনেক মানা করতাম কিন্তু একদমই শুনতে চাইতো না। তখন আমার মনে হইছিলো স্কুলে ম্যাডামের কাছে যেয়ে বিচার দিবো। পরে ক্লাসের মধ্যে সবার সামনে দাঁড়ায় বিচার দিছিলাম ম্যাডাম ও আমাদের গাছের সব ফল পেরে নেয়। ওর অত্যাচারে গাছে কোন ফলই থাকে না। ম্যাডাম কে বিচার করতে বললে সে হেসে দেয়। এইটার কি বিচার করবে বুঝতে পারে না।
বিলে যখন ঘুরতে যেতাম তখন বন্ধুদের বলতেছিলাম অনেকদিন হলো ডিপে গোসল করিনাই। আমার অনেক ডিপে গোসল করতে ইচ্ছা করতেছে। কিন্তু এখন বর্ষাকাল হবার কারনে সব জায়গাতে ডিপ বন্ধ। সুতরাং ডিপে গোসল দেবার কোন সুজোগ নাই। কিন্তু আজকে পুকুরপাড়ে এসে দেখি এখানে ডিপ কল আছে। ধানের জমিতে পানি দেবার জন্য। কিন্তু তখন কল বন্ধ ছিলো। আমি জিবনে প্রথম এখানেই ডিপে গোসল দিছিলাম। এই পানি এতো ঠান্ডা থাকে যে গোসল দিয়ে অনেক মজা পাওয়া যায়। এর পরে একবার প্রাইমারি স্কুলে থাকতে। আমাদের স্কুলের পিছনে ধানের চাষ হতো। ওখানে ডিপ কল ছিলো। একদিন বাসা থেকে গামছা নিয়ে গেছিলাম গোসল দেয়ার জন্য। দুপুরে টিফিনের সময় তারাতারি খেয়ে ডিপে যেয়ে গোসল দিছিলাম। এরপরে আর কখনও ডিপে গোসল দেয়া হয়নি। আজকে হঠাৎ করে ডিপ কল দেখে অনেক গোসল দিতে ইচ্ছা করছিলো। তবে এখন বৃষ্টির কারনে বন্ধ রাখছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে একদিন যেয়ে গোসল করে আসবো।
প্রকৃতির সৌন্দর্যের সাথে আসলে কোনোকিছুর তুলনা হয়না।খুব সুন্দর ছবিগুলো,দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়।
প্রতিকূল বৃষ্টি এবং ঠান্ডা আবহাওয়ার সম্মুখীন হওয়ার পর উজ্জ্বল এবং রৌদ্র আবহাওয়া অনুভব করা সত্যিই বিস্ময়কর। সুন্দর ছবি, আপনার অঞ্চলটি সত্যিই সুন্দর এবং অনুকূল ভূদৃশ্য দ্বারা আশীর্বাদপ্রাপ্ত। দারুন পোস্ট @amishahi