Image
সারা পৃথিবীতে খুব কম সংখ্যক মহাকাব্য আছে ,যেমন হোমারের ওডিসি ইলিয়ট ভারতে সংস্কৃত ভাষায় রচিত মহাভারত ও রামায়ণ।এগুলো ছাড়াও আরো কিছু মহাকাব্য বিভিন্ন দেশে প্রচলিত আছে।তবে এদের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘ মহাকাব্য হলো মহাভারত।হাজারো চরিত্র ও ঘটনা প্রবাহিত হয়েছে মহাভারত এর কৌরব ও পাণ্ডবদের কেন্দ্র করে।এই মহান মহাকাব্য এর সূচনা হস্তিনাপুরের সম্রাট রাজা শান্তুনু এর মন খারাপের দিন থেকে।
সাধারণত ঘটনার পরম্পরায় চরিত্রগুলো বর্ণনা ও বিশ্লেষণ করা হয়।তবে আমি এই মহাকাব্য এর মূল মূল চরিত্রগুলো বর্ণনা ও বিশ্লেষণ এর মাধ্যমে মহাভারত কে তুলে ধরতে চাইছি।এই মহা কাব্যের প্রথম আলোচ্য বিষয় এই কাহিনীর সবচেয়ে মজবুত ও প্রবীণ চরিত্র মহা মহিম ভীষ্ম।যদিও তার পোশাকি নাম দেবব্রত।
Image
ভীষ্ম এক অসাধারণ দৃঢ়তা সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব।নিজের পিতার সুখের জন্য নিজের সকল সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্য কে অবলীলায় ত্যাগ করে ।সৎ মায়ের সন্তানদের ভবিষ্য সুন্দর ও সুরক্ষিত রাখার জন্য নিজে আজীবন অকৃতদার থাকার পণ করে।সিংহাসন দখলে যেখানে ভাইয়ে ভাইয়ে রক্তের নদী বয়ে যায় সেখানে সিংহাসনের দাবি ছেড়ে দেয়া সত্যিই অতুলনীয় মানসিকতার পরিচয়।ভীষ্ম এর আজীবন বিয়ে না করার ভীষণ প্রতিজ্ঞা করার জন্য তার পিতা শান্তুনু তাকে ভীষ্ম নামে অভিহিত করেন।আর বর দান করে যে ভীষ্ম ইচ্চা মৃত্যুর অধিকারী হবেন।নিজে স্বেচ্ছায় মৃত্যূ কে বরণ না করলে কেউ তাকে মারতে পারবে না।
ভীষ্ম এর এই মহা প্রতিজ্ঞা বলে মৎস্যজীবী কন্যা সত্যবতী রাজা শান্তনুকে বিয়ে করে।শুরু হয় মহা শক্তিশালী হস্তিনাপুর জুড়ে উৎসব আর আনন্দের আবহ।ভীষ্ম সারা দুনিয়ার কাছে যুগ যুগ ধরে পূজিত হতে থাকে মহান পিতাপ্রেমিক রূপে।
মহাভারতের সমগ্র ঘটনায় ভীষ্ম এক এটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র।এক দিকে পিতার সুখের জন্য সর্ব ত্যাগী তিনি শ্রেষ্ট সন্তান,অন্য দিকে ভাইকে রক্ষা করে তিনি সেরা ভাই।আর নিজের বংশ ও সাম্রাজ্য কে রক্ষিত রাখতে তিনি শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা।আবার কখনো তিনি স্নেহবাৎসল পিতামহ।
বিভিন্ন ঘটনার মাধ্যমে তার অসাধারণ সব গুনাবলীর বহির্প্রকাশ ঘটেছে ।আমি বিভিন্ন পর্বের মাধ্যমে ভীষ্ম কে নতুন ভাবে প্রকাশিত করার চেষ্টা করবো।আজকে প্রথম পর্বে শুধু তার চরিত্রের প্রারম্ভিক দিকটা তুলে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
রাজা শান্তনু কিছুদিন সুখে সত্যবতীর সাথে রাজ্যত্ব করলো।তাদের দুটি পুত্র সন্তান হলো।চিত্রাঙ্গদা ও বিচিত্রাবীর্য রাজা শান্তুনু সন্তান ও ভীষ্ম এর ভাই হলেও তাদের মত বীর ছিল না।চিত্রাঙ্গদা gandarva এর দ্বারা নিহত হয়।তাই রাজা শান্তুনুর পর হস্তিনাপুরের রাজা হয় বিচিত্রাবীর্য।কিন্তু বিচিত্রাবীর্য অতিরিক্তি মদ্যপান এর কারণে শারীরিকভাবে ছিল খুব দুর্বল।তাই তাকে সামনে রেখে ভীষ্ম কেই সব কিছু সামলাতে হতো।কারণ তখন সমগ্র ভারতবর্ষে ভীষ্ম এর মত বীর কেউ ছিল না।কারণ তিনি ছিলেন স্বয়ং মা গঙ্গা পুত্র ও ভগবান পরশুরাম এর সব চেয়ে প্রিয় শিষ্য।
Image
সমগ্র ভারতবর্ষে তার বীরত্বের ও মহানুভবতার জয়গান চলতো।কিন্তু মহান মানুষকে ও ক্ষণিক অন্যায় করতে হয় নিজের ধর্ম রক্ষায়।তাই রাজমাতা সত্যবতী নির্দেশে কাশির রাজকন্যা দের নিজের ক্ষমতা বলে অন্যায়পূর্বক বিচিত্রাবীর্য এর সাথে বিয়ে দেয়।বিয়ের কিছু দিনের মধ্যে বিচিত্রাবীর্য মারা যায়।কুরুবংশ মহা সংকটে পড়ে যায়।বংশের উত্তরাধিকার বলে তো আর কেউ রইলো না।গভীর হতাশায় আর নিজের প্রতিজ্ঞা ব্যর্থ হাওয়ার পরিস্থিতি দেখে সমগ্র সংসারকে শেষ করতে উদ্যত হয় মহা শক্তিশালী ভীষ্ম।তিনি তার ব্রহ্মাস্ত্র প্রয়োগ করে সূর্য দেবতা কে শেষ করতে আগুয়ান হয়।
সৃষ্টি মহা বিপন্ন দেখে স্বয়ং সূর্য দেবতা নিজে ভীষ্ম এর কাছে আবির্ভূত হয়।এসে ভীষ্ম কে স্বান্তনা দেয় আর এই সংকট থেকে বেরোনোর পথ বলে দেয়।
দ্বিতীয় পর্বে আলোচনা করবো কি সেই পথ।ভীষ্ম কি পারবে বিলুপ্ত হওয়া থেকে নিজের বংশ কে বাঁচাতে?
Hi @godingame
Congratulation!
Your post has been manually curated by @zrss.
Hey @godingame. The article is impressive but you need to mention the source. Your article seems to be another language version of the @blacks article. Original Source. If you have any query. Join Discord