মানুষের রক্তে আছে স্বর্ণ! স্বর্ণ মিশে রয়েছে মানুষের রক্তে। গোটা শরীরেই রয়েছে। তবে বেশির ভাগটাই থাকে রক্তে। মৌলিক পদার্থের মধ্যে সোনার অভাব নেই পৃথিবীতে।
এর রং হলুদ। যে প্রোট-ইন্দো-ইউরোপিয়ান ‘ঘেল’ শব্দ থেকে এর নামকরণ, তারও অর্থ হলুদ। স্বর্ণের লাতিন নাম ‘অরাম’-এরও অর্থ ‘ভোরের আলো’।
১৫০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে গত ৫০০ বছরে এখনও পর্যন্ত খনি থেকে তোলা হয়েছে ১ লাখ টন সোনা- যার ৪০ শতাংশই উত্তোলন করা হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার উইটওয়াটারস্র্যান্ড থেকে। খনি থেকে সোনা তোলার কাজে বিশ্বে জড়িত রয়েছেন ৫ লাখ শ্রমিক। কিন্তু বছরে আড়াই হাজার টনের বেশি সোনা তোলা হয় না। সহজে উত্তোলন করার মতো সোনার মজুদ যতটা, তাতে আর বড়জোর ২০ বছর তা তোলা যাবে।
আমাদের শরীরে যে ০.২ মিলিগ্রামের মতো স্বর্ণ থাকে তার বেশির ভাগই রয়েছে রক্তে। কিছু গাছপালা ও মাটি থেকে সোনা শুষে নিতে পারে।
সবচেয়ে বেশি সোনা রয়েছে সমুদ্রগর্ভে। চকোলেটের মাধ্যমে স্বর্ণ আমাদের শরীরে ঢোকে। রিউম্যাটয়েড আর্থারাইটিসের চিকিৎসায় স্বর্ণের ব্যবহার হয় ওষুধে।
স্বর্ণ ব্যবহার করেন দাঁতের ডাক্তাররাও। স্বর্ণ কতটা নিখাদ তার পরিমাপ করা হয় ক্যারটে- যা গ্রিক শব্দ ‘কেরাশিয়ান’ বা ক্যারব গাছ থেকে এসেছে।
একটি খাঁটি স্বর্ণমুদ্রার ওজনকে ২৪টি ক্যারব বীজের মোট ওজনের সমতুল্য মনে করা হয়। তাই একটি খাঁটি সোনার মুদ্রার ওজন হয় ২৪ ক্যারট।