দেশে চালু হলো চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক ফোরজি।
আজ সন্ধ্যায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) চারটি মোবাইল অপারেটরদের হাতে ফোরজির লাইসেন্স তুলে দেয়। এরপরপরই গ্রামীণফোন, রবি এবং বাংলালিংক দেশে ফোরজি নেটওয়ার্ক চালু করে।
অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি এবং টেলিটকের কাছে ফোরজির লাইসেন্স হস্তান্তর করেন।
এসময় বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, ডাক, টেলিযোগাযোগ সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার উপস্থিত ছিলেন।
বিটিআরসির চেয়ারমন্যান শাহাজান মাহমুদ বলেন, গহ ছয় মাসের অক্লান্ত পরিশ্রমে দেশে ফোরজি চালু হলো। এটি একটি অত্যাধুনিক নেটওয়ার্ক। আশা করি টেলিকম অপারটেরগুলো সারাদেশে তাদের নেটওয়ার্ক বিস্তারিত করবে। এ সময় ‘অচিরেই বাংলাদেশে ফাইভ জি চালু হবে’ বলে ঘোষণা দেন তিনি।
সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার বলেন, ফোরজিতে বাংলাদেশের দেরি হলো কেন? এ প্রশ্নের উত্তর না খুঁজে আমরা ফোরজিতে মনোনিবেশ করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন ছিল ফোরজি চালু করবেন। তিনি তা বাস্তবায়ন করে দেখালেন।
আজ লাইসেন্স পাওয়ার পর শুরুতে গ্রামীণফোন ঢাকার কিছু অংশে ফোরজি চালু করে। অন্যদিকে বাংলালিংক ঢাকাসহ চট্টগ্রাম, খুলনা এবং সিলেটে একযোগে ফোরজি চালু করে। এছাড়াও রবি ঢাকায় ফোরজি নেটওয়ার্ক চালুর ঘোষণা দিয়েছে। যদিও সরকার সংস্থা টেলিটক ফোরজির লাইসেন্স পেলেও ফোরজি চালুর ঘোষণা দেয়নি।
বাংলালিক দুইশো এর বেশি বিটিএসের মাধ্যমে ফোরজি চালু করেছে। রবি ১৭৯ ও গ্রামীণ ফোন শুধু ঢাকায় ফোরজি চালু করেছে।
বিটিআরসি গত সপ্তাহে ঢাকায় নিলামের মাধ্যমে ফোরজি তরঙ্গ বরাদ্দ দেয়।
নিলামে অংশ নেয় গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক। গ্রামীণফোন নিলামে ১৮০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডে ৫ মেগাহার্জ তরঙ্গ কেনে। গ্রামীণফোনের এখন তরঙ্গের পরিমাণ ৩৭ মেগাহার্জ।
নিলামে বাংলালিংক ২১০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডে ৫ মেগাহার্জ এবং ১৮০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডে ৫.৬ মেগাহার্জ তরঙ্গ কেনে। অপারেটরটির মোট তরঙ্গের পরিমাণ ৩০.৬। নিলামে রবি ও টেলিটক অংশ না নিলে তাদের যে টুজি ও থ্রিজি ব্যান্ডে যে তরঙ্গ রয়েছে তা ফোরজি নেটওয়ার্ক বিস্তারে ব্যয় করতে পারবে। কেননা,
বিটিআরসি নতুন এক নির্দেশনায় অপারেটরগুলোকে টেক নিউট্রালিটি দিয়েছে। ফলে অপারটরগুলোর অব্যবহৃত বিভিন্ন ব্যান্ডের তরঙ্গ ফোরজিতে ব্যবহারে বাধা নেই।
রবি ও এয়ারটেল একীভূত হওয়ার ফলে তাদের তরঙ্গও একীভূত হয়েছে।
রবির এখন মোট তরঙ্গের পরিমাণ ৩৬.৪। টেলিটকের তরঙ্গ আছে ২৫.২ মেগাহার্জ।
বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে
মোবাইল ফোন গ্রাহক ছিল ১৪ কোটি ৫১ লাখ ১১ হাজার।
টাঙ্গাইলটাইমস
This post has received a 0.04 % upvote from @drotto thanks to: @rongtuli.