অভিনেত্রী ও গায়িকা মেহের আফরোজ শাওন। গতকাল ধানমণ্ডি থানা থেকে তিনজন পুলিশ গিয়েছিলেন তার বাসায়। বাড়ির ইন্টারকমে ফোন পেয়ে পুলিশ আসার বিষয়টি শাওনকে জানান তার দুই সন্তানের সাহায্যকারী একটি মেয়ে। পুলিশ যে ধানমণ্ডি থানা থেকেই এসেছে, সেটি শাওন জানতে পেরেছেন তাদের বাড়ির মেইন গেটের সিকিউরিটি গার্ডের কাছ থেকে। কিন্তু এ সময়ে তার বাড়িতে পুলিশ আসার কারণ কী? সেই কারণ তিনি নিজেই ফেসবুক স্ট্যাটাসের মধ্যমে তুলে ধরেছেন সবার সামনে। শাওন লিখেছেন, “সন্ধ্যাবেলায় বাসার ইন্টারকমে রিং বাজছে। দুই পুত্রের সাহায্যকারী মেয়েটি ফোন ধরল। তারপর দৌড়ে এসে আতঙ্কিত গলায় বলল, ‘আপা পুলিশ আসছে, আপনারে খুঁজে’। তার চোখ কপালে। প্রায় ১১ বছর ধরে সে আছে আমাদের সাথে। এই ক'বছরে শুটিং ছাড়া বাসায় পুলিশের উপস্থিতি দেখে নাই সে। আমি ইন্টারকম ধরলাম। বাসার মেইন গেট থেকে সিকিউরিটি গার্ড ফিসফিস করে বলল, ‘ম্যাডাম, ধানমণ্ডি থানা থেইকা তিন জন পুলিশ আসছে। আপনি বাসায় আছেন কি-না জিগায়। (গলা আরো নামিয়ে) কী বলব? বলি আপনি দেশের বাইরে? কবে ফিরবেন ঠিক নাই?’ আমি তাদের উপরে আসতে দিতে বললাম।
বসার ঘরে তারা অপেক্ষা করছিলেন। আমি ঢুকতেই উঠে দাঁড়ালেন। একটি কাগজ আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললেন, ‘ম্যাডাম, আপনি ২০১৬-২০১৭ সালে ব্যক্তি ও কোম্পানি পর্যায়ে শিল্পী ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ করদাতা নির্বাচিত হয়েছেন। সরকারের তরফ থেকে পুরষ্কার স্বরূপ আপনাকে একটি ট্যাক্স কার্ড দেয়া হবে’।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কী লাগবে তা বুঝিয়ে দিয়ে চলে যাচ্ছিলেন তারা তিনজন। দরজার কাছাকাছি গিয়ে একজন ফিরে এলেন। ‘আপা, স্যার যেখানে বসে লিখতেন ঐ জায়গাটা একটু দেখা যাবে?’ আমি নিয়ে গেলাম তাকে হুমায়ূন এর লেখার টেবিলের কাছে। চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকলেন কিছুক্ষণ। বুকপকেট থেকে এক মুঠো শিউলি ফুল বের করে রাখলেন টেবিলের ওপর। টেবিলটা একটু ছুঁয়েও দিলেন যেন। তারপর চলে গেলেন। আচ্ছা তার চোখের কোণায় কি একটু জল চকচক করছিল! কী জানি। হয়তো ভুল দেখেছি আমি”।
Congratulations @shormi601! You have completed some achievement on Steemit and have been rewarded with new badge(s) :
Click on any badge to view your own Board of Honor on SteemitBoard.
For more information about SteemitBoard, click here
If you no longer want to receive notifications, reply to this comment with the word
STOPinteresting something
ami vabsilam kina ki hobe police asce